দেবতাত্মা হিমালয় সপ্তম শ্রেণীর বাংলা (হাতে কলমে) অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
সপ্তম শ্রেণীর বাংলা
"দেবতাত্মা হিমালয়"
প্রোবোধকুমার সান্যাল
হাতে-কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. বন্ধনীতে দেওয়া একাধিক উত্তরের মধ্যে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো :
১.১ লামারা রাজকীয় সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন রাজপুত্র (তিয্য রক্ষিত/শান্ত রক্ষিত/কুমার রক্ষিত)-কে।
উঃ। লামারা রাজকীয় সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন রাজপুত্র শান্ত রক্ষিতকে।
১.২ তিব্বতীদের প্রধান ব্যবসা (পশম/রেশম/তাঁতবস্ত্র)-এর।
উঃ। তিব্বতীদের প্রধান ব্যাবসা পশম-এর।
১.৩ কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক (বড়ো মন্দির/বড়ো মসজিদ/বড়ো গির্জা)।
উঃ। কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক বড়ো গির্জা।
১.৪ রবীন্দ্রনাথের হাতে লেখক তুলে দিয়েছিলেন (অমৃতবাজার পত্রিকা/ যুগান্তর/ আনন্দবাজার পত্রিকা)-র রবীন্দ্রজয়ন্তী
উত্তর -রবীন্দ্রনাথের হাতে লেখক তুলে দিয়েছিলেন যুগান্তর পত্রিকার রবীন্দ্রজয়ন্তী সংখ্যা।
২।ঘটনা ক্রম---
উত্তর- ২.৩ ২৫ বৈশাখের সন্ধ্যায় জন্মদিন উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রনাথ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি কবিতা পাঠ করবেন।
২.২ কবি তাঁর ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন।
২.৭ কবির জন্মদিনের কবিতা পাঠের জন্য কলকাতা-কালিম্পঙের মধ্যে টেলিফোনের বন্দোবস্ত হল।
২.৫ সেজন্য পাহাড়ে পাহাড়ে টেলিফোনের খুঁটি বসানো এবং তার খাটানো হল ক-দিন ধরে।
২.৬ বেতার কর্তৃপক্ষ কবির কণ্ঠস্বরটি ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে প্রচার করবেন, তাই এই ব্যবস্থা।
২.৪ প্রস্তুতির সময়ে নরম মখমল বসানো চেয়ারে বসে কয়েকবার ভাবলুম হ্যালো ক্যালকাটা.…...হ্যালো?
২.১ কলকাতা থেকে তৎক্ষণাৎ জবাব এল -- 'ও. কে'।
৩. নীচের বাক্যগুলিতে দাগ-দেওয়া শব্দগুলো অনুরূপ শব্দ পাঠ্য অংশটিতে পাবে। উপযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে বাক্যগুলি আবার লেখো :
৩.১ শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণের বিবরণ থেকেই প্রথম তিব্বতের কথা জানা যায়।
উঃ। শরৎচন্দ্র দাসের ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকেই প্রথম তিব্বতের কথা জানা যায়।
৩.২ এই পথে তিনজন বিশ্ববিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়েছিলেন।
উঃ। এই পথে তিনজন জগৎবিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়েছিলেন।
৩.৩ সবার অগোচরে আত্মগোপনের জন্য অন্যরকম পোশাক পরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র একদিন কলকাতা ছেড়ে গিয়েছিলেন।
উঃ। সবার অগোচরে ছদ্মবেশে নেতাজি সুভাষচন্দ্র একদিন কলকাতা ছেড়ে গিয়েছিলেন।
৩.৪ ভুল মানুষ মাত্রেরই হতে পারে, তবে নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ার সাহসও থাকা উচিত।
উঃ। ভুল মানুষ মাত্রেরই হতে পারে, তবে স্বীকারোক্তির সাহসও থাকা উচিত।
৩.৫ যাদের ওপর পরিচালনার ভার, এ কাজের জন্য আগে তাদের দাবি-ত্যাগের প্রমাণপত্র প্রয়োজন।
উঃ। কর্তৃপক্ষ, এ কাজের জন্য আগে তাদের ছাড়পত্র প্রয়োজন।
৩.৬ যাঁরা নিজের নামেই বিখ্যাত, ভারতের সেই বরণীয় মানুষদেরই সম্মাননার আয়োজন হয়েছে এই সভায়।
উঃ। স্বনামখ্যাত, ভারতবরেণ্য, মানুষেরই সম্বর্ধনার আয়োজন হয়েছে এই সভায়।
৪. নীচের বাক্যগুলিতে যে ইংরেজি শব্দগুলি আছে, তার বদলে বাংলা শব্দ বসিয়ে বাক্যগুলি আবার লেখো : (বাংলা;শব্দের জন্য পাশের শব্দঝুড়ির সাহায্য নিতে পারো।)
পথনির্দেশক, চিহ্ন, সম্প্রচার, ঘণ্টা, মহাকাব্য, দূরভাষ, খাবার ঘর, গাড়িচালক।
৪.১ ডাক্তার গৃহিণীর ডাইনিং হলে প্রাতরাশ সারা হল।
উঃ। চিকিৎসক গৃহিণীর খাবারঘরে প্রাতরাশ সারা হল।
৪.২ অত বড়ো এপিক পৃথিবীর কোনো কালের কোনো সাহিত্যে নেই।
উঃ। অত বড়ো মহাকাব্য পৃথিবীর কোনো কালের কোনো সাহিত্যে নেই।
৪.৩ কালিম্পঙে টেলিফোন ছিল না।
উঃ। কালিম্পঙে দূরভাষ ছিল না।
৪.৪ বেতার কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বর সঙ্গে সঙ্গে ব্রডকাস্ট করবেন।
উঃ। বেতার-কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বর সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রচার করবেন।
৪.৫ ভোরে আমার ড্রাইভার এল গাড়ি নিয়ে।
উঃ। ভোরে আমার গাড়িচালক এল গাড়ি নিয়ে।
১৫. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১৫.১ প্রাচীন পথ ধরে কোন্ তিনজন প্রসিদ্ধ বাঙালি অতীতে তিব্বতে গিয়েছিলেন?
উঃ। অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান, রাজা রামমোহন রায় ও শরৎচন্দ্র দাস।
১৫.২ কোন প্রাচীন পথের রেখা ধরে তাঁরা গিয়েছিলেন?
উঃ। গ্যাংটক থেকে নাথুলা গিরিসংকট হল মাত্র ছাব্বিশ মাইল। এখান থেকে জেলাপ-লা-এ গিরিসংকট তারপরই তিব্বত সীমানা। সেই পথ ধরে তারা গিয়েছিলেন।
১৫.৩ এখনকার পর্যটকরা এই প্রাচীন পথটি পরিহার করেন কেন?
উঃ। প্রাচীন পথে দুর্যোগ বেশি এবং দুঃসাধ্যও বটে, তাই এখনকার পর্যটকরা এই পথ পরিহার করেন।
১৫.৪ কোন্ দুই বিখ্যাত বাঙালি তিব্বতে গিয়ে বোধিসত্ত্ব উপাধি লাভ করেছিলেন?
উঃ। অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ও যশোরের রাজপুত্র শান্ত রক্ষিত।
১৫.৫ ছদ্মবেশে কে গিয়েছিলেন তিব্বতে?
উত্তর-শরত্চন্দ্র দাস।
১৫.৬ স্যার ফ্রান্সিস ইয়ংহাসব্যান্ডকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিলেন কোন বইটি?
উঃ। শরত্চন্দ্র দাসের তিব্বত ভ্রমণবৃত্তান্ত।
১৫.৭ কালিম্পঙের কোথায় পড়াশুনো করে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ও ইংরেজ অনাথ ছেলেমেয়েরা?
উঃ। গ্ৰেহামস হোম-এ পড়াশুনো করে।
১৫.৮ গৌরীপুর প্রাসাদে কারা ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী?
উঃ। অ্যাটর্নি হীরেন দত্ত রফীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রতিমা দেবী, অনিল চন্দ, মৈত্রেয়ী আর চিত্রিতা গৌরীপুর প্রাসাদে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গী ছিলেন।
১৫.১ লেখকের অনুরোধে কোন্ পত্রিকার জন্য অনেকবার লেখা দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ?
উঃ। লেখকের অনুরোধে যুগান্তর পত্রিকার জন্য রবীন্দ্রনাথ অনেকবার লেখা দিয়েছিলেন।
১৫.১০ ২৫ বৈশাখের সেই বিশেষ দিনটি যে ছিল শুক্লপক্ষ, লেখা থেকে সেকথা জানতে পারো কেমন করে?
উঃ। সেই দিন রাতে জ্যোৎস্না ছিল।
১৬. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :
১৬.১ কীভাবে গেলে পৌঁছানো যায় কালিম্পঙের হোমস হোম-এ? এই হোমটির বিশিষ্টতা কী?
উঃ। কালিম্পঙের ল্যান্ডমার্ক হল বড়ো গির্জা তারই পাশ দিয়ে চলে গেছে চড়াই-পথ এদিক-ওদিক ঘুরে অনেক উঁচুতে গ্রেহামস্ হোমের দিকে।
এই হোমটিতে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান এবং সাহেব সুবার অভিভাবকহীন ছেলেমেয়েরা পড়াশুনো করে মানুষ হয়। সমগ্র পাহাড় নিয়ে এ এক বিরাট কীর্তি। এই হোমের পরিচালন ব্যবস্থা সমস্তই খাঁটি সাহেব-মেমদের হাতে।
১৬.২ ২৫ বৈশাখের ‘যুগান্তর' পত্রিকার প্রথম পাতায় শিল্পীর আঁকা যে বিশেষ রেখাচিত্রটি প্রকাশ পেয়েছিল, তার বিষয় কী ছিল? রবীন্দ্র-জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে ছবির এই বিষয়টি তোমার যথার্থ মনে হয় কি না লেখো।
উঃ। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রেখাচিত্র।
রবীন্দ্র-জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে এই ছবিটি যথার্থ। একজন দেশবরেণ্য কবির প্রতি এর চেয়ে ভালো শ্রদ্ধার্ঘ্য হতে পারে না। হিমালয়ের চেয়ে তিনি বড়ো। পৃথিবীর উচ্চতম শিখর তিনি। তাই তাঁকে তাঁর চিত্র এঁকে দেওয়া খুবই আনন্দজনক এবং গর্বের বিষয়।
১৬.৩ ‘কাজটি দুরূহ, অনেকদিন সময় লাগবে—কোন্ কাজটি সম্পন্ন করবার ইচ্ছে লেখককে জানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ? কেন সে কাজ করার ইচ্ছে হয়েছিল তাঁর। কার সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন ওই কাজে?
উঃ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমগ্র মহাভারতখানা নিজের হাতে একবার লিখতে চেয়েছিলেন। এই
কাজটি সম্পন্ন করার ইচ্ছাই তিনি লেখককে জানিয়েছিলেন।
কারণ মহাভারতের মতো এতো বড়ো মহাকাব্য পৃথিবীর কোনো কালের কোনো সাহিত্যেই নেই।
এই কাজে তিনি বৈদাম্ভিক অ্যাটর্নি হীরেন দত্তের সাহায্য প্রত্যাশা করেছিলেন।
১৬.৪ ‘এ ছাড়া আর ঠাকুরবাড়ি কোথায় হে?’—কোন্ প্রসঙ্গে এই পরিহাস রবীন্দ্রনাথের-----
উঃ। লেখক প্রবোধকুমার সান্যাল কালিম্পঙে এসে একটি ছোটো বাড়িতে উঠেছিলেন, যেটির নাম ছিল ঠাকুরবাড়ি।
লেখকের সঙ্গে ২৫ বৈশাখের অপরাহ্ণে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেখা হল। লেখক কবিকে জানালেন তিনি। এখানকার এক ঠাকুরবাড়িতে এসে উঠেছেন। তখন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরিহাস করে লেখককে বলেছিলেন এ ছাড়া আর ঠাকুরবাড়ি কোথায়। অর্থাৎ পরিহাসের বিষয়টি হল বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রয়েছেন সেখানে ছাড়া আর কোথায় বা কোন বাড়ি আর ঠাকুরবাড়ি হতে পারে।
১৬.৫. 'কবি যেদিন আমাকে বাগে পেয়েছিলেন।’-‘বাগে পেয়েছিলেন' –এই বিশিষ্ট ক্রিয়াপদটির অর্থ কী? তাঁকে।কবির ‘বাগে পাওয়ার' কী পরিচয় রয়েছে লেখকের সে-দিনের বিবরণে?
উঃ। এই বিশিষ্ট ক্রিয়াপদটির অর্থ সামনে পাওয়া বা সুযোগ পাওয়া।
লেখক যখন কবিকে বললেন এখানকার এক ঠাকুরবাড়িতে এসে উঠেছি, তখন কবি বললেন এ ছাড়া আর ঠাকুরবাড়ি কোথায়। এরপর দু-চারটি কথার পরে তাঁর পরিহাস-সরস বাক্যবাণ ছুটতে লাগল। সেই বাণে লেখক বিশ্ব হচ্ছেন বারংবার এবং হাসির রোল উঠছে এপাশে-ওপাশে।
১৬.৬ ‘কালিম্পঙে টেলিফোন ছিল না, এই উপলক্ষ্যে তার প্রথম উদ্বোধন’—কোন্ বিশেষ উপলক্ষ্যে, কীভাবে এই উদ্বোধন সম্পন্ন হল?
উঃ। ২৫ বৈশাখের সন্ধ্যায় তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি নবরচিত কবিতা তোরযোগে পাঠ করবেন। সেজন্য কলকাতার বেতারকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ কলকাতা কালিম্পঙের মধ্যে টেলিফোনের।বন্দোবস্ত করেছিলেন। তখন কালিম্পঙে টেলিফোন না থাকায় সেটাই হল প্রথম উদবোধন। টেলিফোন ব্যবস্থার জন্য পাহাড়ে-পাহাড়ে টেলিফোনের খুঁটি বসানো এবং তার খাটানো হয়েছে গত কয়েকদিন থেকেই। টেলিফোনের কর্তৃপক্ষ এজন্য প্রচুর অর্থব্যয় করেছেন। কবি তাঁর ঘরের আসনে বসে টেলিফোনে কবিতা পাঠ করবেন এবং বেতার কর্তৃপক্ষ তাঁর কণ্ঠস্বরটি ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ব্রডকাস্ট করবেন, এই ছিল ব্যবস্থা। এই উপলক্ষে কয়েকজন বেতার বিশেষজ্ঞও এসেছিলেন।
১৬.৭ ‘কিন্তু নৃপেন্দ্রবাবুর ফরমাশ শুনতেই হলো’ –নৃপেন্দ্রবাবু কে? কী ছিল তাঁর ফরমাশ ? কীভাবে তা শুনেছিলেন লেখক?
উঃ। নৃপেন্দ্রবাবু অর্থাৎ নৃপেন্দ্র মজুমদার ছিলেন একজন বেতার-বিশেষজ্ঞ।
তিনি লেখককে কবি যে চেয়ারে বসবেন এবং কবিতা পাঠ করবেন সেই চেয়ারে বসে কলকাতাকে একবার ডাকতে বললেন। যদি লেখকের গলা না-ফাটে তবে আর ভয় নেই।
লেখক নধর মখমল বসানো চেয়ারে বসে কয়েকবার ডাকলেন হ্যালো, ক্যালকাটা, হ্যালো।
কলকাতা থেকে তৎক্ষণাৎ জবাব এল ‘ও. কে'।
১৬.৮ জন্মদিনে কবির স্বকণ্ঠে বেতার সম্প্রচারিত কবিতা শোনাবার মুহূর্তটি কীভাবে ধরা দিয়েছিল তাঁর শ্রোতাদের চেতনায়?
উঃ। কবি উঠে গিয়ে বসলেন যন্ত্রের সামনে। একটি আলোর নিশানা পেয়ে কবির দীর্ঘ দীপ্ত কণ্ঠের মূর্ছনা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল। একটা মায়াচ্ছন্ন স্বপ্নলোকের মধ্যে সবাই যেন হারিয়ে গেল। সবাই ভুলে গেল পরস্পরের অস্তিত্ব। শ্রোতাদের পায়ের নীচে কালিম্পং থরথর করতে লাগল কি-না সে কথা তখন আর কারো মনে রইল না। কবির কণ্ঠ ফিরে ফিরে আসবে যন্ত্রে সেই ভেবে তাদের রোমাঞ্চ পুলক অনুভূত হতে লাগল।
১৭. নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
১৭.১ এ লেখায় একটা হারিয়ে যাওয়া সময়ের ছবি আছে, ভারতবর্ষ তথা বাংলার শ্রেষ্ঠ |
কয়েকজন সত্তানের কথা আছে, যাঁদের সঙ্গে একসময় তিব্বতের নিবিড় যোগ রচিত হয়েছিল।
লেখাটি অনুসরণ করে বাংলার ওই শ্রেষ্ঠ মানুষগুলি সম্পর্কে তোমার যে ধারণা হয়েছে, নিজের
ভাষায় লেখো।
উঃ। ভারতবর্ষ তথা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্যে তিনজন জগৎপ্রসিদ্ধ বাঙালি গিয়েছিলেন
তিব্বতে। তার মধ্যে বাংলার চিরদিনের গর্ব ঢাকা বিক্রমপুরের সন্তান অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।
লেখক প্রবোধ কুমার সান্যালের এই রচনাটির মধ্য দিয়ে বাংলার তথা ভারতবর্ষের এইসব শ্রেষ্ঠ
সন্তানদের সঙ্গে তিব্বতের যোগ যে কত নিবিড় ছিল তা ধরা পড়েছে। জ্ঞান ঋষি দীপঙ্কর তিব্বতে গিয়ে বৌদ্ধধর্মের নির্মল স্বরূপকে প্রচার করেছিলেন। গৌতম বুদ্ধের পরেই তিব্বতবাসীরা তাঁর মূর্তিকে আজও বোধিসত্ত্ব নামে পূজা করে। এরপরে গেছেন রাজা রামমোহন রায়। তৃতীয় যে ব্যক্তি উনিশ শতকের শেষভাগে ছদ্মবেশেৎতিব্বতে গিয়েছিলেন তাঁর নাম শরৎচন্দ্র দাস। তাঁর কাছে আধুনিক ভারতবর্ষ ঋণী। তাঁর ভ্রমণবৃত্তান্ত শুনে আমরা
অন্য গুলি দেখন
(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)
(২) কার দৌড় কদ্দুর
(৩) বঙ্গভূমির প্রতি
(৪) পাগলা গণেশ
(৫) আত্মকথা
(৬) চিরদিনের কবিতা
(৮) নোট বই
(৯) স্মৃতি চিহ্ন
(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়
(১১) আঁকা- লেখা
(১২) খোকনের প্রথম ছবি
(১৩) ভারত তীর্থ
(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা
(১৬) দিন ফুরালো
(১৭) গাধার কান
(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার
(১৯) মেঘ-চোর
(২০) কুতুব মিনারের কথা
(২১) চিন্তা শীল
(২২) একুশের কবিতা
মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর