তৃতীয়শ্রেণীর বাংলা আগমনী কবিতা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Wednesday 31 July 2024

তৃতীয়শ্রেণীর বাংলা আগমনী কবিতা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 

 

তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা
আগমনী
কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র
হাতে কলমে অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর


১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ শরৎ অতুর আগে কোন ঋতু আসে?
উঃ। শরৎ ঋতুর আগে 'বর্ষা' ঋতু আসে।

১.২ এই শরৎকালে বাঙালিদের কী কী উৎসব হয় ?
উঃ। শরৎকালে বাঙালিদের দুর্গাপূজা, কালীপূজা ইত্যাদি উৎসব হয়।

২. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :
২.১ শৎকালে প্রকৃতির রূপ কেমন থাকে?
উঃ শরৎকালে আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ ভেসে বেড়ায়। সূর্যের উত্তাপ কমে আসে। মাঠের ফসল সবুজে ভরে ওঠে। চারদিকে শিউলি ও কাশফুল ফুটতে দেখা যায়। ভোরের দিকে শিশির পড়ে। প্রকৃতিতে একটা স্নিগ্ধতা বিরাজ করে।

২.২ শরৎকালে মেঘ দেখতে কেমন হয়?
উঃ। শরৎকালের মেঘ দেখতে সাদা পেঁজা তুলোর মতো যা ছন্নছাড়ার মতো আকাশে এখানে ওখানে ভেসে বেড়ায়।

২.৩ শরৎকাল প্রসঙ্গে মনে পড়ে এমন দুটো সাদা জিনিসের নাম করো (একটা থাকে আকাশে, আর-একটা মাঠে)।
উঃ। আকাশে থাকে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘ আর মাঠে থাকে কাশফুল। এই দুটোই শরৎকালে দেখা যায়।
৩. বুঝতে-খুঁজতে, আকাশ-বাতাস— এই জোড়া শব্দগুলোর মধ্যে যেমন ছন্দের মিল আছে, তেমনভাবে ছন্দ মিলিয়ে নীচের তালিকাটি সাজাও
রোদ্দুর > সমুদ্দুর
প্রাচীন > অচিন
ধ্বনি > আগমনী
বর্ষা > ভরসা
হাঁক > ডাক


৪. যে শব্দটি বেমানান তাতে গোল দাগ দাও


৪.১ শীত, বসন্ত, হেমন্ত, বৈশাখ, গ্রীষ্ম।
 উঃ । বৈশাখ) ৪.২ মেঘ, আগুন, বৃষ্টি, জল, বজ্রপাত। উঃ। (আগুন)
৪.৩ দুর্গা, কাশ, বরফ, শরৎ, নীল আকাশ।
উঃ। বরফ
৫. পাশের শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো ঃ
সাদা, ঢাকের, আশ্বিন, নীল, কাশ, আনন্দে, তুলোয়, কালো, দুর্গাপুজো, ইদ, পেঁজা।


উঃ। শরৎ আমাদের সকলেরই খুব প্রিয় ঋতু। ভাদ্র-আশ্বিন এই দুই মাস শরৎকাল। এই সময় আকাশ থেকে বর্ষার কালো মেঘ সরে যায় এবং নীল আকাশে ছড়িয়ে থাকে সাদা রঙের পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। মাঠ ভরে থাকে কাশ ফুলে। বাতাসে ভাসে ঢাকের শব্দ। বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো এবং ইদ এই শরৎকালেই হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মেতে ওঠে উৎসবের আনন্দে।


৬. নীচের সূত্রগুলি ব্যবহার করে শরৎকাল সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য লেখো :
(নীল আকাশ – সাদা মেঘের ভেলা – কাশফুল — উৎসব – বেড়ানো - ছুটি - মজা)।
উঃ। শরৎকালে নীল আকাশে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘের ভেলা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় মাঠ-ঘাট কাশফুলে ভরে যায়। এ সময় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা ও ইদ পালিত হয়। পুজোর ছুটিতে সবাই বেড়ানোর জন্য দূর-দূরান্তে বেরিয়ে পড়ে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষের মনে খুশির মজা এনে দেয়। যার প্রভাব মনের মধ্যে সারাবছর থেকে যায়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

১। বর্ষা কখন যাব যাব করে?
উঃ। শরৎকাল আসার ঠিক আগে আগে বর্ষা যাব যাব করে।
। শীতকালে রোদ্দুর কেমন থাকে?
 উঃ। মিঠে অর্থাৎ মিষ্টি মধুর।
৩। শরৎকালে আকাশে মেঘগুলো কী ভাবে ?
উঃ। শরৎকালের মেঘগুলি ভেবে ঠিক করতে পারে না যে তাঁরা বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়বে না অন্য কোথাও উড়ে যাবে।
৪। শরৎকালে আকাশ মেঘের ডাক-কে ফাঁকির ফাঁক বলা হয়েছে কেন?
উঃ। শরতের মেঘে যতই জোরালো ডাক থাকুক না কেন সেভাবে বৃষ্টি হয় না। তাই একে ফাঁকির ফাঁক বলা হয়েছে।
৫। শরৎকালে আকাশ বাতাস কেমন থাকে?
উঃ। শরৎকালে আকাশ বাতাস আনমনা অর্থাৎ অন্যমনস্কা থাকে।
৬। শরৎকালে কার আগমনী বার্তা শোনা যায়?
উঃ। দুর্গাপূজার আগমনী বার্তা শোনা যায়।
৭। শরৎকালে থেকে থেকে কী শোনা যায়?
উঃ। শরৎকালে থেকে থেকে মেঘের বুক কাঁপানো ডাক শোনা যায়।
৮। আগমনী কবিতায় কোন্ ঋতুর কথা বলা হয়েছে?  

 

উঃ। শরৎ ঋতুর কথা বলা হয়েছে।