স্মৃতি চিহ্ন সপ্তম শ্রেণীর বাংলা (হাতে কলমে)অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Thursday 4 July 2024

স্মৃতি চিহ্ন সপ্তম শ্রেণীর বাংলা (হাতে কলমে)অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর





সপ্তম শ্রেণীর বাংলা

স্মৃতি চিহ্ন

কামিনী রায়

হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর




★নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও ঃ

(ক) মহৎ মানুষদের জীবন-কথা আমরা পাঠ করে থাকি কেন?

উঃ। তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁদের মতো হয়ে ওঠার জন্য আমরা মহৎ মানুষদের জীবন-কথা পাঠ করি।



(খ) অত্যাচারী কোন্ কোন্ সাম্রাজ্যলোভী জাতির কথা তুমি ইতিহাস পড়ে জেনেছ? 

উঃ। শক, হূন, মুঘল, পাঠান ও



(গ) অতীত ইতিহাসের ধূসর হয়ে আসা কোন্ স্মারক / সৌধ/মিনার তুমি দেখেছ? 

উঃ। কুতুব মিনার দেখেছি।

(ঘ) তোমার দৃষ্টিতে কাদের কথা সমাজের সকলের চিরকাল মনে রাখা উচিত? 

উঃ। যারা সাধারণ মানুষের মধ্যে ইংরেজ প্রভৃতি জাতির কথা আমি ইতিহাস পড়েছি। তাদের জন্য কাজ করেছেন তাদের কথা সমাজের সকলের চিরকাল মনে রাখা উচিত।



(ঙ) মানুষ নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে চায় কেন?

উঃ। মহান হতে পারার আত্মতৃপ্তির জন্য মানুষ নিজেকে স্মরণীয় করে রাখতে চায়।


১. নীচের বিবৃতিগুলির মধ্যে যেগুলি ঠিক তাদের পাশে ‘/' চিহ্ন আর যেগুলি ভুল তাদের পাশে ‘x' চিহ্ন দাও :

১.১ ইট-পাথরে গড়া সৌধ কাউকে চিরস্মরণীয় করে রাখে না।

 উঃ।√


১.২ যাঁরা নিজেদের সৌধ গড়ে কীর্তিকে অমর করে রাখতে চান তাঁরা বরেণ্য।

 উঃ X

১.৩ সাধারণ মানুষের মনে যাঁরা স্থান পেয়েছেন, তাঁদের নাম ভেসে যায়। 

উঃ। X

১.৪ এমন বহু সহায়-সম্বলহীন, দরিদ্র মানুষ আছেন, মহাকাল যাঁদের স্মৃতি মুছে দিতে পারেনি। 

উঃ।√


১.৫ মানবহৃদয়-ভূমি অধিকার করতে গেলে মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে হবে। 

উঃ √



২. কবিতা থেকে শব্দ চয়ন করে নীচে প্রদত্ত কবিতাংশের শূন্যস্থান পূরণ করো :


২.১. “ওরা ভেবেছিল---- আপনার নাম।"

 ২.২. মনোহর ---- বিশাল ----।

২.৩ ইষ্টক ----  -রচি চিরদিন ।

 ২.৪. রেখে ------


উঃ। মনে। 

হৰ্ম্মরূপে, অক্ষরে। 

প্রস্তরে, তরে। 

যাবে।



৩. নীচে দেওয়া শব্দগুলির বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :


উঃ। মনোহর—একরকম।

 বিশাল — ক্ষুদ্র। 

মূঢ়—বুদ্ধিমান।

 ব্যর্থ—সফল। 

ভগ্ন—অভগ্ন। 

লুপ্ত – প্রচলিত। 

শুষ্ক-আর্দ্র।

অধিকার—অনধিকার। 

দৃঢ়—শিথিল। 

অক্ষুণ্ণ-ক্ষুণ্ণ।

 ধৌত—অধ্যৈত। 

নিত্য— অনিত্য। 

সমুজ্জ্বল – অনুজ্জ্বল।




৪. নীচের বিশেষ্যগুলিকে বিশেষণে ও বিশেষণগুলিকে বিশেষ্যে রূপান্তরিত করো :

নাম, মনোহর, প্রস্তর, মুঢ়, ব্যর্থ, ভগ্ন, স্তূপ, স্মৃতি, রক্ষা, মানব, হৃদয়, প্রতিষ্ঠা, দৃঢ়, দরিদ্র।

উঃ। নাম—নামী। 

মনোহর—মনোহারী। 

প্রস্তর–প্রস্তরময়। 

মূঢ়—মুঢ়তা। 

ব্যর্থ—ব্যর্থতা। 

ভগ্ন— ভগ্নাংশ।

স্তূপ—স্তূপাকার। 

স্মৃতি—স্মর্তব্য। 

রক্ষা—রক্ষিত। 

মানব—মানবিক। 

হৃদয়—হৃদয়গ্রাহী। 

প্রতিষ্ঠা—প্রতিষ্ঠিত।

 দৃঢ়—দৃঢ়তা।

দরিদ্র-দারিদ্র্য।




৫. নীচের শব্দগুলিকে বাক্যে ব্যবহার করো :

উঃ ।

অক্ষর-সোনার অক্ষরে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম লেখা আছে।

চিরদিন—যাঁরা গুণিজন, তাঁদের নাম লোকে চিরদিন মনে রাখে।

স্মৃতি—সুখের স্মৃতি সর্বদাই অমলিন থাকে।

মানব—মানব জাতি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম।

রক্ষাদেশের সম্মান রক্ষা করা প্রতিটি দেশবাসীর কর্তব্য।

অধিকার—স্বাধীনতা সকলের জন্মগত অধিকার।

সম্বল—সহায়-সম্বলহীন ব্যক্তিরাও দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন।

প্রতিষ্ঠা—মন্দিরে দেবতা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।




৬. নীচের শব্দগুলির সন্ধিবিচ্ছেদ করো :

উঃ। মনোহর-মন + হর। 

মনস্কাম — মনঃ + কাম। 

ব্যর্থ- বি + অর্থ। 

সিংহাসন-সিংহ + আসন।

প্রতিষ্ঠা— প্রতি + ইষ্ঠা। 

সমুজ্জ্বল — সমঃ + উজ্জ্বল। 

প্রস্তর— প্রঃ + তর।





৭. নীচের শব্দগুলির গদ্যরূপ লেখো :

উঃ। আপনার—নিজের। 

রচি—রচিত।

 তরে—জন্য।

 খসিছে — খসছে।

 ভূমে — ভূমিতে।

 আছিল – ছিল।

 হের—দেখো।




৮. সমার্থক শব্দ লেখো :

উঃ। মন—চিত্ত, হৃদয়, মানস। 

হৰ্ম্ম—প্রাসাদ, অট্টালিকা।

 মুঢ়—মূর্খ, নির্বোধ। 

দরিদ্র-গরিব, নিঃসহায়।

নদী—স্রোতস্বিনী, তটিনী, প্রবাহিনী।




৯. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত ও যথাযথ উত্তর দাও :

৯.১. ‘স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটি কার রচনা? 

উঃ। ‘স্মৃতিচিহ্ন' কবিতাটি কবি কামিনী রায়ের রচনা।



৯.২. কবিতাটি তাঁর কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

 উঃ। কবিতাটি তাঁর 'নির্মাল্য' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।


৯.৩. কবিতাটি কী জাতীয় রচনা? 

উঃ। কবিতাটি একটি সনেট।


৯.৪. কবিতাটিতে কবি কাদের ‘মূঢ়' ও ‘ব্যর্থ মনস্কাম' বলেছেন?

উঃ। যারা অর্থ ও প্রতিপত্তির দ্বারা নিজেদেরকে চিরস্মরণীয় করতে চায় তাদের কবি ‘মূঢ়’ ও ‘ব্যর্থ মনস্কাম' বলেছেন।


৯.৫. তাদের স্মৃতি কীভাবে লুপ্ত হয়ে যায়?

উঃ। তাদের তৈরি সৌধের ভগ্নস্তূপের সাথে সাথে তাদের স্মৃতিও লুপ্ত হয়ে যায়।


৯.৬. কারা মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করে ?

উঃ। যারা মানুষের জন্য কাজ করে তারা মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন লাভ করে।


৯.৭. “কাল’কে কবিতায় কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

 উঃ। ‘কাল’কে কবিতায় সময়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।


৯.৮. কবিতায় ‘শুষ্ক তৃণ' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ?



উঃ কবিতায় শু' বলতে কবি সেই সকল নামগুলির কথা বলেছেন যাঁরা নিজেদের নাম ইট-পাথরের

স্মৃতিসৌধে চিরদিন ধরে রাখতে চেয়েছিলেন। সময়ের জলস্রোতে তারা শুভ তৃণ বা শুকনো ঘাসের মতো ভেসে গেছে।


১০। তিন-চারটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :




১০.১. 'ওরা ভেবেছিল মনে'-কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা কী ভেবেছিল?

উঃ । এখানে যশলোভী বলতে বড়ো বড়ো সাম্রাজ্যবাদীদের কথা বলা হয়েছে।

তারা ভেবেছিল, তাদের তৈরি করে-যাওয়া সব মনোহর প্রাসান ও ইট পাথরের সৌধের দ্বারা তারা নিজেদের নাম বিশাল অক্ষরে ধরে রাখবে এবং মানুষ তাদের চিরকাল মনে রাখবে।


১০.২. 'মুঢ় ভরা'-কবিতায় তাদের মূঢ় বলার কারণ ?

উঃ। এখানে যশলোভী মানুষদের কথা কবি বলেছেন। তারা ভেবেছিল তাদের দ্বারা নির্মিত সৌধ তাদের চিরস্মরণীয় করে রাখে। কিন্তু তা আসলে ভুল। তাদের ভাবনা ব্যর্থ হয়েছে। মানুষকে মনে রাখা হয় তার কাজের জন্য। যারা সাধারণের জন্য কাজ করেন মানুষ তাদের চিরকাল মনে রাখে। তাই কবি সেইসব মানুষদের মৃত বলেছেন।




১০.৩, কে বা রক্ষা করে রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে? তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না কেন?

উঃ প্রাচীনকালে নির্মিত স্মৃতিসৌধের নির্মাতাদের নাম ও পরিচয়ের কথা এখানে বলা হয়েছে।

কালের প্রকোপে সবকিছুরই বিনাশ হবে। যতই চেষ্টা করা হোক তা বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাই যশলোভী নির্বোধ মানুষদের তৈরি এই সকল সৌধ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। কালের বদলে তাদের স্মৃতিমলিন হয়ে যেতে বসেছে।


১০.৪. দরিদ্র ছিল তারা'- কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের রাজত্ব কীভাবে অক্ষর রয়েছে বলে কার মনে করেন ?

উঃ। যারা মানুষের মনের মাঝে নিজেদের সিংহাসন প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন, তাঁদের কথা বলা হয়েছে। যাদের হয়ে রয়েছে।



১০.৫. কালস্রোতে কাদের নাম ধুয়ে যায়? সেই স্রোত কাদের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না?

উঃ। সেই সব মানুষের দল যারা ইট-কাঠের সৌধ তৈরি করে নিজেদের নাম বিশাল অক্ষরে চিরদিন ধরে রাখতে চায় তাদের নাম কালস্রোতে ধুয়ে যায়।

...যারা মানুষের হৃদয় অধিকার করে রয়েছে মানুষের মনের মাঝে যাদের আসন পাতা সেই কালস্রোত সেই সমস্ত মানুষদের স্মৃতি গ্রাস করতে পারে না। মনের মণিকোঠায় চিরদিন তাঁরা থেকে যান।



১০.৬. 'মানবহৃদয়-ভূমি করি অধিকার'- কারা কীভাবে মানবহৃদয়-ভূমি অধিকার করে?

উঃ। যারা মানুষের জন্য কাজ করে, যারা মানুষের মধ্যে মিশে থাকে, তারা মানবহৃদয় ভূমি অধিকার করে।



১০.৭. কবিতায় কবি কোন স্মৃতিকে কেন 'অবিনশ্বর' ও 'নিত্যসমুজ্জ্বল' বলেছেন?

উঃ। যাঁরা দরিদ্র, সহায়-সম্বলহীন ছিল, যারা মানুষের মনের মধ্যে দৃঢ় সিংহাসন স্থাপন করেছিল, কবি তাঁদের কথা বলেছেন। কারণ তাঁদের নাম কোনো প্রস্তর নির্মিত সৌধ নয় যে কালের প্রভাবে জীর্ণ হবে। তাই তাদের নাম 'অবিনশ্বর' ও 'নিত্যসমুজ্জ্বল' হয়ে থাকবে।



১০.৮. তোমার দৃষ্টিতে মানুষের স্মরণীয় হয়ে থাকার শ্রেষ্ঠ পন্থাটি কী?

উঃ। আমার দৃষ্টিতে মানুষের স্মরণীয় হয়ে থাকার শ্রেষ্ঠ পন্থাটি হল মানুষের জন্য কাজ করা। মানুষের মধ্যে মিশে যদি তাদের দুঃখ দূর করা যায় ও তাদের মুখে হাসি ফোটানো যায় তবেই মানুষ তাঁকে স্মরণীয় করে রাখে। নিজের কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার দ্বারাই মানুষের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকা যায়।

১১। স্মরণীয় কয়েকজন বাঙালি মনীষীর চিত্র ও বাণী সম্বলিত একটি চার্ট তৈরি করো।

উঃ।

“জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”

—স্বামী বিবেকানন্দ

“ভাগো বাংলার যুবক সম্প্রদায়, স্বদেশসেবার পুণাযজ্ঞে আজ আমি তোমাদের আহ্বান করছি। — নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু



অন্য গুলি দেখন

(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)

ছন্দে শুধু কান রাখো (২)

(২) কার দৌড় কদ্দুর

(৩) বঙ্গভূমির প্রতি

বঙ্গভূমির প্রতি (২)

(৪) পাগলা গণেশ

(৫) আত্মকথা

(৬) চিরদিনের কবিতা

(৭) ভানু সিংহের পত্রাবলী

(৮) নোট বই 

(৯) স্মৃতি চিহ্ন

(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়

(১১) আঁকা- লেখা

(১২) খোকনের প্রথম ছবি

(১৩) ভারত তীর্থ

(১৪) স্বাধীনতা সংগ্ৰামে নারী

(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা

(১৬) দিন ফুরালো

(১৭) গাধার কান

(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার

(১৯) মেঘ-চোর

 (২০) কুতুব মিনারের কথা

(২১) চিন্তা শীল

(২২) একুশের কবিতা


প্রথম পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন

আর ও প্রশ্ন প্রথম পরীক্ষা

ভাষাচর্চা অনুশীলন

মাকু প্রশ্ন (১)

মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

মাকু প্রথম পরীক্ষা

মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর

মাকু বইয়ের প্রশ্নের উত্তর

মাকু ছোট প্রশ্ন বড়ো পাতা ধরে