'চিঠি ' অষ্টম শ্রেণীর বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Thursday 11 July 2024

'চিঠি ' অষ্টম শ্রেণীর বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 



অষ্টম শ্রেণির বাংলা

         চিঠি

মাইকেল মধুসূদন দত্ত

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

হাতে-কলমে

১.১ মধুসূদন দত্ত কোন কলেজের ছাত্র ছিলেন? 

উঃ মধুসূদন দত্ত হিন্দু কলেজের ছাত্র ছিলেন।


১.২ পদ্মাবতী নাটকে তিনি কোন্ ছন্দ ব্যবহার করেছিলেন।

উঃ। 'পদ্মাবতী' নাটকে তিনি অমিত্রাক্ষর ছন্দ ব্যবহার করেছিলেন।


২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো

২.১ মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর 'প্রিয় ও পুরাতন বন্দু' গৌরদাস বসাককে কোথা থেকে পাঠ্য চিঠিটি লিখেছিলেন? তাঁর যাত্রাপথের বিবরণ পত্রটিতে কীভাবে ধরা পড়েছে আলোচনা করো।


উঃ। সীলোন নামক জাহাজে বসে এই পাঠ্য চিঠিটি তাঁর প্রিয় ও পুরাতন বন্ধুকে লেখেন মাইকেল মধুসুদন দত্ত সেই সময় জাহাজটি লন্ডন যাবার উদ্দেশ্যে ভূমধ্যসাগরের মধ্য দিয়ে উত্তর আফ্রিকার উপকূল দিয়ে চলছিল।

পত্র লেখকের ভাষায় সীলোন নামক জাহাজটি একেবারে রূপকথার রাজ্যের ভাসমান প্রাসাদের ন্যায়, এর সেলুনগুলো একেবারে রাজপ্রাসাদের মতো এবং কেবিনগুলো রাজকুমাদের বসবাসের উপযোগী। জাহাজটিকে এমন অপূর্ব জাঁক জমকের ব্যবস্থা আছে যা কল্পনা করা যায় না। এখানে সবরকম সুবিধা রয়েছে। জাহাজটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ভূমধ্যসাগরের মধ্য দিয়ে উত্তর আফ্রিকার পর্বতাকীর্ণ উপকূলের নিকট দিয়ে ভেসে চলেছে। আগের দিন জাহাজটি মলটার ছিল গত রবিবার ছিল আলেকজান্দ্রিয়ায়। কিছুদিনের মধ্যেই তিনি ইংল্যান্ড পৌঁছে যাবেন, কবির ধারণা খুব দ্রুত গতিতেই তিনি চলেছেন। লেখক জানিয়েছেন, যে পেশা শিখতে তিনি এসেছেন তাতে সাফল্য অর্জন করতে এবং খ‍্যাতিলাভ করতে।তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আগামী কাল সকালে তারা জিব্রেলটারে পৌছাতে পারবেন। পরিশেষে লেখক জানিয়েছেন সমুদ্র খুবই শান্ত অনেকটা যেন আমাদের দেশের হুগলি নদীর মতো। আবহাওয়া না গরম না ঠান্ডা, তবে আহাজ আটলান্টিক ও বিসকে উপসাগরে ঢুকলে সবকিছু অন্যরকম হয়ে যাবে।



২.২ মধুসুদনের জীবনের উচ্চাশার স্বপ্ন কীভাবে পরটিতে প্রতিজ্ঞাসিত হয়ে উঠেছে?

উঃ। কবি মধুসুদনের জীবনের স্বপ্ন ছিল বিদেশ যাত্রা। বিদেশি ভাষার প্রতি ছিল তার অকৃত্রিম অনুরাগ। তিনি বিলিতে গেলেই বড়ো কবি হবেন। এই কথা তিনি বিশ্বাস করতেন। দীলোন নামক জাহাজে চড়ে ইংল্যান্ড যাত্রাপথে লেখক চিঠিতে জানিয়েছিলেন কেন তিনি বিদেশে যেতে চান 'ইন্ডিয়ান ফিল্ম' পত্রিকায় এই ভ্রমনের একটি সুদীর্ঘ বিবরণ লেখার ইচ্ছা তিনি প্রকাশ করেছেন। লেখক আরও জানিয়েছেন যে তিনি বিদেশে যাচ্ছেন নাম, অর্থ, যশ ও প্রতিপত্তি অর্জন করতে । তিনি যে পেশায় যাচ্ছেন তাতে সফল হতে মনোনিবেশ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এর মধ্য দিয়ে লেখকের জীবনের উচ্চাশার স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটেছে।



২.৩ বিদেশে পাড়ি জমানোর সময়েও তাঁর নিজের দেশের কথা কীভাবে পত্রলেখকের মনে এসেছে?

উঃ। লেখক মধুসূদন দত্ত বিদেশে পাড়ি জমালেও স্বদেশকে মুহুর্তের জন্য ভোলেননি। দেশ ও স্বজাতির প্রতি তাঁর অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল। জাহাজে চলাকালীন বিভিন্ন পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি দেশের কথা বলেছেন। ইংল্যান্ডের প্রায় কাছাকাটি পৌঁছেও লেখকের মনে হয়েছে মাত্র ২২দিন আগেও তিনি কলকাতায় ছিলেন। বন্ধু গৌরদাসকে পত্রে তিনি জানিয়েছেন দেশের মানুষের স্পর্শ পেতে তিনি ব্যাগ্র। তিনি আরও লিখেছেন, এই জাহাজে যদি পাঁচ-ছয়জন ও দেশের মানুষ পাওয়া যেত তাহলেই তিনি একটি গোষ্ঠী তৈরি করে নিতে পারতেন। এপ্রসঙ্গে তিনি জনৈক বন্ধু 'হরি' কোথায় আছে জানতে চেয়েছেন জিব্রেলটারে পৌঁছে লেখকের মনে হয়েছিল এটি হুগলি নদীর মতো। এখানকার আবহাওয়া আমাদের দেশের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মতো, খুব গরমও না খুব ঠান্ডাও না। শরৎকালে ইউরোপের ঠান্ডা আমাদের দেশের ঠান্ডার চেয়ে অনেক বেশি। আর শীতকালে তো কথাই নেই তখন ইউরোপের ঠান্ডা বাংলার ঠান্ডার চেয়ে প্রায় ছয় গুণ বেশি। এই জলবায়ুর কথাও তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন। কবি ভেবেছিলেন যে স্যানটি বোধহয় খুব ঠান্ডা হবে কিন্তু তা দেশের সঙ্গে সানগ্লাস্যপূর্ণ দেখে তিনি মনে শাস্তি অনুভব করেছেন।




২.৪ একথা যেন আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। কোন কথা? সে-কথাকে বস্তার অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে কেন।

উঃ। শৈশব কাল থেকে লেখক মধুসুদন বিলেতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে তিনি জ্ঞান অর্জনও করেছিলেন। যে দেশ সম্বন্ধে এমনভাবে চিন্তা করে এসেছেন প্রতিটি মিনিটে তিনি যে তার নিকটবর্তী হয়ে চলেছেন। তার স্বপ্ন যে বাস্তবায়িত হতে চলেছে এই কথাটিই তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না। লেখক পথে যে দেশ সম্বন্যে মনে মনে চিন্তা করে আসছেন আজ সে দেশে থেকে তিনি স্বয়ং দেখছেন যে সত্যি বাস্তব ব্যাপার কল্পিত কাহিনির থেকে বিভিন্ন তাই তাঁর অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। জীবনে একটা বিদেশের সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চেয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। তাই সেই কাঙ্কিত স্থানে পুনরায় তিনি পৌছতে চলেছেন।তার স্বপ্ন যে বাস্তবে কখনও পূরণ হবে একথা তিনি ভাবতে পারেন নি। এই ভাবনা তাঁর যেন অবিশ্বাস্য বলে মনে হচ্ছে।



২.৫ প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে ফুন্যতার ছবি পত্রটিতে কীভাবে ফুটে উঠেছে তা প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতিসহ আলোচনা করে।


উঃ। প্রিয় বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা ও উচ্ছ্বাস লেখক মধুসুদনের প্রতিটি চিঠিতেই ধরা পড়েছে। বিভিন্ন উদ্ভি দেখে তা বোঝা যায়। যেমন, বিদ্যাসাগরকে লেখা পরটিতে তিনি বলছেন আমার বিষয়আশয় তত্ত্বাবধান করবেন, যে জলরাশি থেকে আপনি আমাদের উদার করেছেন, আবার দিয়ে না সেই বিপদে পড়ি। আরো বলেছেন, হে প্রিয় বন্ধু আপনি মনে করবেন না যে আমি অলস ভাবে দিন কাটাছি। তার প্রিয় রচনা মেঘনাদ বধ কাব্য কতটা ভালো হয়েছে তা জানার জন্য রাজনারায়ণের আন্তরিক ার উপর কতটা নির্ভরশীল তা তিনি আন্তরিকভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বন্ধু গৌরদাস বসাকতে দেখা ডিউটি লেখক মনুদানের বন্ধুত্বপূর্ণ মানসিকতা এক অনন্য উদাহরণ। তিনি চিঠিতে বলেছেন যে ইংল্যান্ড দিয়ে তিনি উঠি না দেওয়া অবধি গৌরদাস যেন চিঠি না দেয়।




২.৭ এই কাৰ্যা অদ্ভুত রকম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে–কোন কাব্যের কথা বলা হয়েছে? সে কাব্যের জনপ্রিয়তা বলতে লেখক কোন কোন প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন?

উঃ। মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা মেঘনাদবধ কাব্যের কথা বলা হয়েছে।

কবি মধুসূদনের জীবিতকালেই 'মেঘনাদ বর্ষ" কাব্যটি অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। এই প্রাসাদে বাগান ‘মেঘনাদ বর্ধ’ কাব্যটিকে কেউ বলেন সিলটনের আবের চেয়েও ভালো হয়েছে। আনোকে বলেছেন আরাটি অভিমানের কাছাকাছি। কিন্তু ভার্জিল, তাসো বা কালিদাসের তুলনা তিনি মেনে নিতে রাজি কিন্তু মিলটানের তুলানা নয় । তার রোমান্টিকতার ধারে কাছে লেখক পৌৗঁছোতে পারবেন না বলে, মানে করেন। তাঁরা যাতে মিলটন ই স্বর্গীয় কবি আর লেখাকের মতো নশ্বর কবিদের পক্ষে কোনোদিন তাঁর আছে পৌঁছানো যাবে না বলেই দেখা যানে করেন।



২.৮ প্রিয় বন্ধুর প্রতি, সর্বোপরি সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাণের যে পরিচয় রাজনারায়ণ বসুকে লেখা পত্রটিতে পাওয়া যায়, তা বিশ্লেষণ করো।

উঃ। রাজনারায়ণ বসুকে লেখা চিঠিটিতে আমরা এক অনন্য মনুসুমনকে প্রত্যক্ষ করি। একদিকে বালুর প্রতি কবির অকৃত্রিম অনুরাগ, অপর দিকে তিনি সাহিত্য অনুরাগী। মেঘনাদ মারা, কবি শেষ করেছেন ৭৫০ লাইনে। মেঘনাদকে কাব‍্যে মেরে ফেলতে লেখককে অনেক অশ্রু ফেলতে হয়েছে। মেঘনাদবধ কাব্য জনপ্রিয় হয়েছে, সেখক খুশি হলেও মিজটিনের সঙ্গে তাঁর তুলনা মেনে নিতে পারেন নি। আনেকে বলেছেন এটি কালিদাসের কাছাকাছি, সেটা মানতে লেখক বাড়ী নন। কিন্তু তিনি মনে করেন মিলটনের রচনা স্বর্গীয় তার । কাছে পৌঁছানোযায় না।কাব্য সম্বন্ধে তিনি বন্ধুর মতামতের উপর থেকেছেন।কাব্য প্রসঙ্গে তিনি বিদেশি কাব‍্যের কথা এনেছেন।এ থেকে

বোঝা যায় যে শুধু দেশীয় সাহিত্য নয় বিদেশি সাহিত্যের প্রতিও করির তীব্র অনুরাগ ছিল।তিনি শুনেছেন কাব্য পড়ে অনেক হিন্দু মহিলারাও কেঁদে ফেলেছেন। তাই বন্ধুর কাছে তাঁর অনুরোধ এবং রাজনারায়ণের প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস ও অনুরাগের কথা জানিয়ে লেখক লিখেছেন  বহু মানুষের সমর্থন থেকে ও তার অভিমত কবির কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।



২.৯ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ৩ নভেম্বর ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে লেখা মধুসূদনের চিঠিটির বিষয়বস্তু

সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উঃ। প্রিয় বন্ধু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে লেখক অনেক যত্ন করে চিঠি লিখেছেন। লেখক তাঁকে তাঁদের বিষয়আশয় তত্ত্বাবধান করতে বলেছেন। কেন তিনি লন্ডনে যেতে চান না আগের চিঠিতে তাঁকে জানিয়েছেন। এ থেকে বিদ্যাসাগরের প্রতি মধুসূদনের আস্থা ও শ্রদ্ধার দিকটি ফুটে উঠেছে। যে জটিলতা ও দুরবস্থা থেকে বন্ধু বিদ্যাসাগর মহাশয় বারবার তাকে উদ্ধার করেছেন আর যেন তাঁকে বিপদে পড়তে না হয় সেই বিষয়েও বন্ধু বিদ্যাসাগরের প্রতি তিনি আবারও নির্ভরশীলতার কথা জানিয়েছেন।

শীতে ইউরোপে দারুণ ঠান্ডা শরৎকালেও ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হয়েছে, এমন সব জামাজোব্বা পরে থাকতে হচ্ছে যা আমাদের দেশের ছোটো খাটো মোট-এর সমান। শীতের দেশের চেয়ে এখানে ছয় গুণ বেশি শীত পড়ে। এৎপ্রসঙ্গে মধুসূদন ‘বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী' ভারতচন্দ্রের কাব্যের এই লাইনটি স্মরণ করেছেন এবং বিস্ময়বোধ করেছেন ইউরোপের শীতকাল সম্পর্কে ভারতচন্দ্র কী লিখতেন। বন্ধু যেন না মনে করেন লেখক কেবল অলস জীবনযাপন করছেন, তিনি এখানে ফ্রেঞ, ইটালিয়ান, জার্মান প্রভৃতি ভাষা শিখছেন। সেই সংবাদ জানিয়েই লেখক মধুসূদনৎচিঠিটি শেষ করেছেন ।

২.১০ বিদ্যাসাগরকে লেখা পত্রটিতে মধুসূদনের জীবনে তাঁর ভূমিকার যে আভাস মেলে তা বিশদভাবে আলোচনা করো ।

উঃ। বিদ্যাসাগরের ভূমিকা মধুসূদনের জীবনে যে অনেকখানি তা তিনি নিজে জানতেন। তাই তিনি সর্ব ব্যাপারেয়বিদ্যাসাগরের উপর নির্ভর করতেন। তিনি বিদ্যাসাগরের স্নেহছায়া থেকে বঞ্চিত হতে চান না, তা তিনি বন্ধুকে জানিয়েছেন, তিনি অলস ভাবে দিন কাটাচ্ছেন না ফ্রেঞ্চ, ইটালিয়ান শিখছেন, মন দিয়ে জার্মান ভাষা চর্চা করছেন। তিনি তার ভালো মন্দ আশা ভালোবাসা সব কিছুই বিদ‍্যাসাগরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান।


অন্য গুলি দেখুন

বোঝাপড়া

অদ্ভুত আতিথেয়তা

চন্দ্রগুপ্ত

বনভোজনের ব‍্যাপার

সবুজ জামা

চিঠি

আলাপ

পরবাসী

পথচলতি

একটি চড়ুই পাখি

দাঁড়াও

অন্য টা দেখুন দাঁড়াও

পল্লীসমাজ

ছন্নছাড়া

গাছের কথা

হাওয়ায় গান

কি করে বুঝবো

পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি

নাটোরের কথা

অন‍্যটা দেখুন নাটোরের কথা

গড়াই নদীর তীরে

জেলখানায় চিঠি

স্বাধীনতা

আদাব

অন্যটা দেখুন আদাব

শিকল পরার গান

হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়

ঘুরে দাঁড়াও

সুভা

পরাজয়

মাসিপিসি

টিকিটের অ্যালবাম

লোকটা জানলই না



পথের পাঁচালী (১)

পথের পাঁচালী(২)

পথের পাঁচালী(৩)

পথের পাঁচালী বইয়ের অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর

ভাষাচর্চা (১)

ভাষা চর্চা (২)