চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা আমার ম-র বাপের বাড়ি হাতে কলমে প্রশ্নের উত্তর
চতুর্থ শ্রেণীর বাংশা
আমার মা-র বাপের বাড়ি
রাণী চন্দ
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১। রাণী চন্দের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ রাণী চন্দের লেখা দুটি বই—ঘরোয়া এবং জোড়াসাঁকোর ধরে।
২। তিনি কী কী সাম্মানিক উপাধি পেয়েছিলেন ?
উঃ তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছিলেন।
৩। শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে নিয়ে উপযুক্ত স্থানে বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
উত্তর- ৩.১ লাল লাল মোটা মোটা চাল দেখতে দেখতে টগবগ করে ফুটতে আরম্ভ করে।
৩.২ ঢালু জমিতে থই থই জল।
৩.৩ নন্দীদের বাঁধানো ঘাট থেকে ধুধু বিল দেখা যায় বহুদূর পর্যন্ত।
৩.৪ নৌকোও এগিয়ে চলে তরতর করে।
৪। ডানদিক ও বামদিকের স্তম্ভদুটি মেলাও
বসে বসে >
হোসেনমামা হুঁকো টানতে টানতে >
গাঙচিল উড়ে উড়ে >
দেখি।
এগিয়ে আসেন।
চলে।
ধলেশ্বরীর ঢেউ আছড়ে আছড়ে >
পড়ে নৌকার গায়ে।
নৌকা চলে।
পৌঁছাইয়া দিবা ।
এসে ঘাটে জমে।
খালের জলে লগি ঠেলে ঠেলে>
বেলা থাকতে থাকতে >
পাড়ার লোক ছুটতে ছুটতে >
৫। নীচের বাক্যগুলিতে কোন্ বচনের ব্যবহার হয়েছে লেখো :
৫.১ মা জলের দেশের মেয়ে। (একবচন)
৫.২ তিন মাঝি স্বর মিলিয়ে 'বদর বদর হৈ' বলে নৌকার পাল তুলে দেয়। (বহুবচন)।
৫.৩ গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা এসে ভিড় করে ঘাটে। (বহুবচন)
৫.৪ যে যার বাড়ি ফিরে যায়। (বহুবচন)
৫.৫ বাবনচাচার বড়ো ছেলে আলি হোসেন খাঁ। (একবচন)
৫.৬ সন্ধেবেলার শাঁখ বেজে ওঠে ঘরে ঘরে। (বহুবচন)
৫.৭ গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে আমাদের ঘিরে। (বহুবচন)
৫.৮ শুশুক ওঠে ক্ষণে ক্ষণে জলের উপর। (বহুবচন)
৫.৯ ধলেশ্বরী খ্যাপা নদী। (একবচন)
৫.১০ মাঝিরা নাকি নুন বেশি খায়। (বহুবচন)
৬। উত্তর : সম্বন্ধ পদ—মামার সঙ্গে, বালিশের ভিতর, ঢেউ-এর ধাক্কা, নদীর জল, মাটির হাঁড়ি, পাটাতনের নীচে, মাথার উপরে, বটগাছের শিকড়, খালের বাঁকে।
৭। উত্তর : মাটির কড়াইয়ের মাছের ঝোলের স্বাদ আলাদা।
ফুটবলের থেকে আমি ক্রিকেটের বেশি ভক্ত।
নদীর পাড়ের কুল গাছটায় বেশি কুল হয়।
ইতিহাসের পাতায় পাতায় ছড়িয়ে আছে ভারতের পুরনো গৌরব।
আমার গানের খাতাটা কে নিয়ে নিয়েছে।
৮ . নির্দেশ অনুযায়ী পুরুষ পরিবর্তন করো ঃ
৮.১ আমি মাটির কড়াইতে মাছের ঝোল রাঁধি। (উত্তম পুরুষ)
৮.২ মাঝিরা নৌকা নিয়ে কোনদিকে চলেছে তা ভাবা অসম্ভব। (প্রথম পুরুষ)
৮.৩ (তুমি) বসে বসে দেখ। (মধ্যম পুরুষ)
৮.৪ যে যার বাড়ি ফিরে যাই। (উত্তম পুরুষ)
৮.৫ পোলাপান লইয়্যা বাড়িতে গিয়া খাইমু। (উত্তম পুরুষ)
৮.৬ পুণি বইনদি কোথায় যাও? (প্রথম পুরুষ)
৮.৭ তাঁর এখন আর মাথা ঘোরার কথা মনে নেই। (মধ্যম পুরুষ)
.৮.৮ তোমার চলার গতি অতি শান্ত। (মধ্যম পুরুষ)
৮.৯ সে দুই পা একটু হেঁটে নিল। (প্রথম পুরুষ)
৮.১০ (আমরা) ‘বদর বদর হৈ' বলে নৌকায় পাল তুলে দিলাম। (উত্তম পুরুষ)
৯। নীচের শব্দগুলির বিপরীত লিঙ্গের শব্দ পাঠ্যাংশটি থেকে খুঁজে বের করো :
দাদি, মামি, ছোটোবোন, দিদিমা, বড়োছেলে, দিদি, বালিকা, বর, বৃদ্ধা, বান্ধবী, লক্ষ্মীছেলে, চাচি। দাদি—নানা
বালিকা—বালক। মামি – মামা। ছোটোবোন — ছোটোভাই। দিদিমা— দাদামশাই। বড়ো ছেলে—বড়োমেয়ে ৷
বান্ধবী—বান্ধব। বর—বউ। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা। লক্ষ্মী ছেলে-লক্ষ্মী মেয়ে। দিদি—দাদা। চাচি—চাচা।
১০। নীচের বাক্যগুলির কর্ম খুঁজে বের করো :
১০.১ মাঝিরা একে একে মাটির থালায় ভাত বেড়ে খেয়ে নেয়।
১০.২ হোসেনমামা এক কাঁদি পাকা কলা এনে নৌকাতে তুলে দেন।
১০.৩ এক মাঝি মাটির উনুনে কাঠ জ্বালে।
১০.৪ মাঝিরা নিশ্চিন্ত মনে নৌকা ভাসায়।
১০.৫ মা জলের দোলা সইতে পারে না ।
১১। রচনাংশ থেকে ঠিক ক্রিয়াপদ বেছে নিয়ে নীচের শূন্যস্থানগুলি পূরণ করো :
উত্তর-১১.১ মাঝিরা জলের গতির ওপরে নজর রাখে।
১১.২ ধলেশ্বরী নদী খ্যাপা।
১১.৩ হই-চই উচ্ছ্বাস আনন্দে বাকি বেলাটুকু কেটে যায়।
১১.৪ মুখে মুখে বার্তা চলতে থাকে।
১১.৫ মা আর দিদি নৌকোর ভিতরে শুয়ে পড়েন।
১১.৬ ‘রাম' নাম জপো।
১১.৭ বেশির ভাগ সময়ে ইলিশ মাছই থাকে।
১১.৮ মা ‘বাবনচাচা' ডাকতেন।
১১.৯ কার বাড়ির ‘নাইওরি’ আসছে রে মাঝি ?
১১.১০ তখনও বর্ষার সব জল সরে যায়নি।
১২। অনধিক দু-তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১২.১ পাঠ্যাংশে কাকে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে ?
উত্তর-: পাঠ্যাংশে লেখিকা রাণী চন্দের মা-কে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে।
১২.২ ‘ছই’ বলতে কী বোঝো?
উত্তর-:নৌকার ছাউনি অংশকে ‘ছই’ বলা হয়।
১২.৩ কাদের সঙ্গে ছই-এর বাইরে বসে থাকতে দেখা যায়?
উত্তর-:লেখিকা তাঁর দাদা ও মামার সঙ্গে ছই-এর বাইরে বসে থাকতো।
১২.৪ কাদের ‘বদর বদর হৈ' বলে চিৎকার করতে দেখা যায় ?
উত্তর-:তিন মাঝি ‘বদর বদর হৈ' বলে চিৎকার করে নৌকোয় পাল তুলে দিত।
১২.৫ . কোন নদীকে ‘খ্যাপা নদী’ বলা হয়েছে?
উত্তর-:ধলেশ্বরীকে খ্যাপানদী বলা হয়েছে।
১২.৬ বালির চরের প্রসঙ্গ পাঠ্যাংশে কীভাবে এসেছে?
উত্তর-: ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের বর্ণনা প্রসঙ্গে ‘বালির চর' কথাটি এসেছে।
১২.৭ নৌকোয় কী কী রান্না হয়েছিল ?
উত্তর-: নৌকোয় লাল লাল মোটা মোটা চালের ভাত এবং নুন মাখানো ইলিশ মাছ হলুদ ও লঙ্কা বাটা দিয়ে রান্না হয়েছিল।
১২.৮ নদীতে যেতে যেতে কোন কোন প্রাণীর দেখা মিলেছে ?
উত্তর-: নদীতে যেতে যেতে গাঙচিল ও শুশুকের দেখা মিলেছিল।
১২.৯ –‘গুণ টানা’ বলতে কী বোঝো ?
উত্তর-: পাড়ের দিকে অল্পজলে দড়ি দিয়ে বেঁধে নৌকোকে টেনে নিয়ে যাওয়াকে ‘গুণ’ টানা বলা হয়।
১২.১০ মাঝিরা কখন হাতে ‘লগি’ তুলে নেয় ?
উত্তর-:নৌকো যখন নদী থেকে খালে প্রবেশ করে তখন মাঝিরা হাতে ‘লগি’ তুলে নেয়।
১২.১১ ‘নাইওরি’কথাটির অর্থ কী?
উত্তর-: পূর্ববঙ্গে কোনো বিবাহিতা মেয়ে যখন শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি আসত, তখন তার যাত্রাকে ‘নাইওরি’ বলা হয়।
১২.১২ হোসেনমামা কী কী উপহার এনেছিলেন?
উত্তর-: হোসেনমামা এক কাঁদি পাকা কলা এবং দুটি কাঁঠাল উপহার এনেছিলেন।
১২.১৩ খালের বাঁকে বাঁকে কাদের কাদের বাড়ি চোখে পড়ে ?
উত্তর-:খালের বাঁকে বাঁকে জোলা, ভুঁইমালী, শেখমামার বাড়ি চোখে পড়ে।
১২.১৪ গরমের ছুটি আর পুজোর ছুটিতে মামাবাড়িতে আসার পথ বদলে যায় কেন ?
উত্তর-:গরমের ছুটিতে নদীতে জল কম থাকে আর পুজোর ছুটিতে নদী-খাল-বিল জলে ভরা থাকে। তাই মামাবাড়িতে আসার পথও বদলে যায়।
১৩। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৩.১ লেখিকার মা-র বাপের বাড়ি লেখিকার কী? সেখানে যাওয়ার যাত্রাপথটি বর্ণনা করো।
উঃ লেখিকার মা-র বাপের বাড়ি লেখিকার মামার বাড়ি। লেখিকার মামার বাড়ি দুটি নদী পেড়িয়ে যেতে হয়—ধলেশ্বরী এবং ইছামতী। তার মধ্যে ধলেশ্বরী ভয়ঙ্করী এবং ইছামতী শান্ত। নদীপথে যেতে যেতে লেখিকা এবং তার মা ও অন্যান্য ভাই বোনেরা নানা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখেছিলেন। মা ও দিদি নৌকোর ছাউনির ভিতরে থাকত। লেখিকা তার দাদাদের সঙ্গে নৌকার বাইরে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখত। ধলেশ্বরী পেড়িয়ে ইছামতীতে নৌকা আসতেই সবাই স্বস্তির নিশ্বাস নেয়। তারপর খালের ভিতর দিয়ে নৌকা টেনে পৌঁছে যায় মামার বাড়ি। যাওয়ার পথে গ্রামবাসীদের আন্তরিক ভালোবাসা পাথেয় করে নিয়ে যায়।
১৩.২ পাঠটির অনুসরণে ‘ধলেশ্বরী’নদীর পরিচয় দাও ৷
উঃ ধলেশ্বরী ক্ষিপ্র প্রকৃতির নদী। সে তালে বেতালে বয়ে চলে। উথাল-পাথাল ঢেউ নৌকায় এসে ধাক্কা মারে। চলার তাল ঠিক রাখতে জানে না ধলেশ্বরী। তাই নৌকোর যাত্রী এবং মাঝি মাল্লারা সর্বদা সাবধান থাকে।
১৩.৩ নৌকোয় রান্নাবান্না ও খাওয়াদাওয়ার বিশদ বিবরণ দাও ।
উঃ নৌকোই মাঝিদের ঘর। তাই নৌকোর পাটাতনের নীচে তারা রান্না করে, রান্না-খাওয়ার জিনিসপত্র রাখে । মাঝিরা বেশির ভাগ সময়ে ইলিশ মাছ খায়। নুন-মাখানো ইলিশ মাছ হলুদবাটা, লংকাবাটা দিয়ে রান্না করে, গন্ধটাও খুব সুন্দর বের হয়। লাল লাল মোটা চালের ভাত রান্না করে। নদীর জলেই চাল ধোয় ও রান্না হয়, নৌকো থেকে হাত বাড়িয়ে থালা-বাসন সব ধুয়ে নেয়। এবার বাসনপত্র সব রাখে পাটাতনের নীচে। যাত্রীরা বাড়ি থেকে নিয়ে আসা খাবার
১৩.৪ পাঠ্যাংশ অনুসরণে ‘ইছামতী’নদী সম্বন্ধে পাঁচটি বাক্য লেখো ।
উঃ ইছামতী— ইছামতী শান্ত নদী। তার চলার গতি অত্যন্ত ধীর। ইছামতী নদীর জলও কম। ইছামতী যেন
লক্ষ্মী মেয়ে। ইছামতী নদীতে খাল এসে মিশেছে। ইছামতী গঙ্গার শাখানদী। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সীমানা দিয়ে প্রধানত এই নদী প্রবাহিত।
১৩.৫ - লেখিকার দাদামশায়ের পরিবারের সঙ্গে বাবন খাঁ-দের পরিবারের সম্পর্ক কেমন ছিল? বিভিন্ন
ঘটনা উল্লেখ করে তোমার মতামতের সপক্ষে যুক্তি দাও ।
উঃ লেখিকার দাদামশায়ের বন্ধু ছিলেন বাবন খাঁ। বড়ো ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা, সম্মান করতেন লেখিকার দাদামশায়কে। সেই সূত্রে লেখিকার মা তাঁকে ‘বাবন চাচা' বলে সম্বোধন করতেন। অর্থাৎ দুই পরিবারের মধ্যে একটা সুসম্পর্ক ছিল। সেই
জন্য মেয়েকে আসতে দেখে বাবা যেমন ব্যস্ত হয়ে ওঠেন, তেমনি বাবন চাচাও লেখিকার মা-কে আসতে দেখে এক কাঁদি পাকা কলা এবং দুটি কাঁঠাল সঙ্গে দিয়ে দেন। এ থেকে বোঝা যায় যে দুই পরিবারের আন্তরিকতা অসামান্য ।
১৩.৬ লেখিকার মাকে কেন জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে?
উঃ ধলেশ্বরী এবং ইছামতী এই দুটি নদীই লেখিকার মায়ের বাপের বাড়ির দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। আবার ইছামতী নদী থেকে খাল কাটা হয়েছে, সেই খালের পাড়েই লেখিকার মার বাপের বাড়ি। তাই লেখিকার মা-কে জলের দেশের মেয়ে বলা হয়েছে।
১৩.৭ পাঠ্যাংশে বাংলার পল্লিজীবনের বিভিন্ন ধরনের মানুষের মিলেমিশে একসঙ্গে থাকার যে ছবি
ফুটে উঠেছে তা নানা ঘটনা উল্লেখ করে লেখো ।
উঃ ‘আমার মা’র বাপের বাড়ি’ গল্পাংশে পল্লিজীবনের এক সুন্দর ছবি ফুটে উঠেছে। সেখানে জাত-পাতের
কুসংস্কার নেই। তাই তো লেখিকার দাদামশায়ের অন্যতম বন্ধু বাবন খাঁ, যাকে বাড়ির ছোটোরা বাবনচাচা বলে সম্বোধন করে। বন্ধুর মেয়ে বাবনচাচার কাছে নিজের মেয়ের সমান ' তাই বাবনচাচার ছেলে ‘বইনদি’কে আসতে দেখে কলার কাঁদি ও দুটি কাঁঠাল দিয়ে দেয়। গ্রামবাসীদের মধ্যে অদ্ভুত এক অন্তরের টান, যা বোঝা যায় খালের ধারে সবার উপস্থিতির দৃশ্যের মাধ্যমে।
১৩.৮ তোমার নৌ-ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি অনুচ্ছেদ রচনা করো। যারা নৌকা চড়োনি তারা
একটি কাল্পনিক নৌ-ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লেখো ।
উঃ আমার মামাবাড়ি ব্যারাকপুর। বছরে বেশ কয়েকবার আমি মামাবাড়ি যাই। তখন আমাদের গঙ্গা পাড় হতে হয় লঞ্চে। লঞ্চ অনেকটা নৌকোরাই মতো, শুধু ইঞ্জিনে চলে। তা ছাড়া সবই প্রায় এক। প্রথম প্রথম খুব ভয় করত। তবে এখন আর ভয় হয় না। যেদিন বেশি হাওয়া থাকে সেদিন নৌকো খুব দুলতে থাকে। পাড়ের থেকে বেশি ঢেউ থাকে মাঝগঙ্গায়। মনেহয় এবার বুঝি নৌকা কাত হয়ে জল তুলে নেবে। আবার যখন গঙ্গা শান্ত থাকে, তখন যত ছোটো ছোটো মাছ কিলবিল করে, ফড়িং জলের ওপর লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। আমিও গঙ্গায় শুশুক দেখেছি। সবচেয়ে মজার কথা—আমি গঙ্গায় বান আসা দেখেছি। বান পাড় দিয়ে আসে। নদীতে তখন জল থৈ থৈ করে। নৌকোগুলো তখন সব মাঝগঙ্গায় চলে আসে। বান চলে গেলে ক্রমশ গঙ্গা শান্ত হয়ে যায়। প্রতিদিন গঙ্গায় কত লোক স্নান করতে
আসে। মাঝে মাঝে মনে হয় এই নদী দুটি পাড়কে, দুই পাড়ের লোকজনকে যেন একসুতোয় বেঁধে রেখেছে।
১৩.৯ তোমার দেখা দুটি নদী এবং সেখানে ও তার আশেপাশে থাকা বিভিন্ন প্রাণী আর উদ্ভিদ নিয়ে দুটি
পৃথক অনুচ্ছেদ রচনা করো ।
১৭. উঃ বিমান, বজ্র, বটগাছ, বজরা নৌকো, বৈঠা, বেলুন, বাঁশ, বাড়ি, বাউল, বক, বড়শি, বধু, বালক, বালিকা, বলদ, বিড়াল, বৃদ্ধ, বাইচ, বাঁদর, ঝুড়ি, বুড়া, বস্তা, বালতি, বন, গ্যাস বেলুন, বালি।
অন্য গুলির উত্তর দেখুন
(১) সবার আমি ছাত্র
(২) নরহরি দাস
(৩) বনভোজন
(৬) বনের খবর
(৭) মালগাড়ি
(৮) বিচিত্র সাধ
আর ও আমি সাগর পাড়ি দেবো
(১০) আলো
(১১) আমাজনের জঙ্গলে
(১২) দক্ষিণ মেরু অভিযান
(১৩) অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায়
(১৪) আমার মা-র বাপের বাড়ি
(১৫) দূরের পাল্লা
(১৬) নইলে
(১৭) ঘুম পাড়ানি ছড়া
(১৮) আদর্শ ছেলে
(১৯) যতীনের জুতো
(২০) ঘুম ভাঙ্গানি
(২১) মায়াদ্বীপ
(২২) বাঘা যতীন
আর ও বাঘা যতীন