সবার আমি ছাত্র চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা (হাতে-কলমে)অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Monday 8 July 2024

সবার আমি ছাত্র চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা (হাতে-কলমে)অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 




চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা

সবার আমি ছাত্র

সুনির্মল বসু

হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর


১। সুনির্মল বসুর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।

উঃ ‘ছন্দের টুংটাং’, ‘বীর শিকারি' সুনির্মল বসুর লেখা দুটি বই।


২। তিনি ১৯৫৬ সালে কী পদক পেয়েছিলেন? 

উঃ ভুবনেশ্বরী পদক


৩। নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :

৩.১ কার উপদেশে কবি দিলখোলা হন? 

উঃ খোলা মাঠের উপদেশে ।



৩.২ পাষাণ কবিকে কী শিক্ষা দিয়েছিল?

উঃ আপন কাজে কঠোর হওয়ার শিক্ষা দিয়েছিল।



৩.৩ কবি কার কাছ থেকে কী ভিক্ষা পেলেন ?

উঃ শ্যামবনানীর কাছ থেকে সরসতার ভিক্ষা পেলেন।



৩.৪ কে কবিকে মধুর কথা বলতে শেখাল?

উঃ কবিকে চাঁদ মধুর কথা বলতে শেখাল।


৩.৫ নদীর কাছ থেকে কী শিক্ষা পাওয়া যায় ?

উঃ নদীর কাছ থেকে আপন বেগে চলার শিক্ষা পাওয়া যায়।




৪. সন্ধি করে লেখো :

উঃ রত্ন + আকর = রত্নাকর। 

মেঘ + আলোক = মেঘালোক। 

কমলা + আসনা = কমলাসনা।



৫. সমার্থক শব্দ লেখো : চাঁদ, সূর্য, পাহাড়, বায়ু, নদী, পৃথিবী, সাগর

চাঁদ > শশী

সূর্য > তপন

পাহাড় > গিরি

 বায়ু > বাতাস

 নদী > তটিনী

পৃথিবী > ধরা

 সাগর> জলধি



৬. বাক্যরচনা করো :

উদার—দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের হৃদয় ভীষণ উদার ছিল।

মহান—আমাদের দেশে অনেক মহান ব্যক্তি জন্মেছিলেন।

মন্ত্রণা—কারও কাছ থেকে কু-মন্ত্রণা নিতে যেয়ো না ।


শিক্ষা—শিশু প্রথম শিক্ষা লাভ করে মায়ের কাছ থেকে।

সহিষ্ণুতা—শান্তিপূর্ণ জীবন চাও তো সহিষ্ণুতা অবলম্বন করো ।

সন্দেহ—লোকটাকে দেখে পুলিশ সন্দেহ করে ধরে নিয়ে গেল।

কৌতূহল—যতই কৌতূহল বাড়বে ততই শিখতে পারবে।

ঝরনা—হিমালয় পর্বতে প্রচুর ঝরনা দেখতে পাওয়া যায় ৷



৭. নীচের বিশেষণ শব্দগুলির বিশেষ্য রূপ লেখো :

উঃ কর্মী—কর্ম। 

মৌন—মৌনতা।

 মধুর মাধুর্য, মধুরতা। 

কঠোর—কঠোরতা।

 বিরাট—বিরাটত্ব ।



৮. নীচের বিশেষ্য শব্দগুলির বিশেষণ রূপ লেখো :

উঃ শিক্ষা—শিক্ষিত।

 মন্ত্র—মন্ত্রণা। 

বায়ু—বায়বীয়। 

মাঠ—মেঠো। 

তেজ—তেজি।





৯. কবিতা থেকে সর্বনাম শব্দগুলি খুঁজে নিয়ে লেখো : (অন্তত ৫টি

উঃ আমায়, আমি, তাহার, তার, আপন, আমার, মোর।


১০. গদ্যরূপ লেখো :

১০.১. ‘কর্মী হবার মন্ত্র আমি বায়ুর কাছে পাইরে।'

উঃ বায়ুর কাছ থেকে আমি কর্মী হবার মন্ত্র পেয়েছি।


১০.২. ‘সূর্য আমায় মন্ত্রণা দেয় আপন তেজে জ্বলতে।'

উঃ সূর্য আমাকে আপন তেজে জ্বলার মন্ত্রনা দেয়।


১০.৩. ‘ইঙ্গিতে তার শিখায় সাগর, অন্তর হোক রত্নআকর।’

উঃ সাগর ইঙ্গিত দিয়ে শেখায় অন্তর রত্নাকর হোক।



১০.৪. 'শ্যামবনানী সরসতা আমায় দিল ভিক্ষা।'

উঃ আমাকে শ্যামবনানী সরসতার ভিক্ষা দিল।


১০.৫. ‘শিখছি সে সব কৌতূহলে সন্দেহ নাই মাত্র।'

উঃ কৌতূহলে সেসব শিখছি মাত্র সন্দেহ নেই।


১১. ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা' বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ কবিতায় আকাশ-বাতাশ-পাহাড়-প্রান্তর, সূর্য-চন্দ্র-সাগর-নদী এবং মৃত্তিকা-পাষাণ- ঝরনা ও শ্যামবনানীকে শিক্ষক বলা হয়েছে। এরাই কবিকে নানাভাবে নানান শিক্ষা দান করেছে। কবি আকাশের কাছ থেকে উদার হওয়ার শিক্ষা লাভ করেছেন। বায়ু অর্থাৎ বাতাস শিখিয়েছে কর্মী হওয়ার মন্ত্র। পাহাড় শিখিয়েছে মৌন মহান হওয়ার শিক্ষা। খোলা মাঠ অর্থাৎ উন্মুক্ত প্রান্তরের কাছ থেকে পাওয়া গেছে দিলখোলা অর্থাৎ উদারচিত্ত হওয়ার উপদেশ। সূর্য মন্ত্রণা অর্থাৎ পরামর্শ দিয়েছে কীভাবে আপন তেজে জ্বলে বেঁচে থাকা যায়। চাঁদ শিখিয়েছে মিষ্টি হাসি হেসে মধুর কথা বলতে। সাগর বা সমুদ্র শেখায় অন্তরকে রত্নআকর করে গড়ে তুলতে। নদী শিখিয়েছে আপন বেগে চলতে। মাটির কাছে পাওয়া গেছে সহিষ্ণু হওয়ার শিক্ষা । পাষাণ বা পাথর দিয়েছে আপন কাজে কঠোর হওয়ার দীক্ষা। ঝরনা জাগিয়েছে মানবহৃদয়ে গানের সুর। শ্যামবনানী দিয়েছে সরসতা লাভের ভিক্ষা। এভাবে বিশ্বের প্রতিটি প্রাকৃতিক শক্তির কাছ থেকে কবিতায় শিক্ষা অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাই কবিতায় ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা' শব্দটি বোঝানো হয়েছে।



১২. প্রকৃতির কার কাছ থেকে আমরা কীরূপ শিক্ষা পেতে পারি লেখো :




১. আকাশ > উদার হওয়ার শিক্ষা আমরা পেতে অসীম আকাশের কাছ থেকে।

২. বাতাস > নিরন্তর বয়ে চলেছে বাতাস। তাই তার কাছ থেকে আমরা মুহূর্ত মাত্র অলস না হয়ে থেকে কর্ম করে। যাওয়ার শিক্ষা অর্জন করতে পারি।


৩. পাহাড় > যুগযুগব্যাপী পাহাড় মৌন হয়ে আছে। পাহাড়ের কাছ থেকে আমরা মৌন হওয়ার শিক্ষা লাভ করে। ব্যক্তিত্বকে গাম্ভীর্যময় করে তুলতে পারি ।




৪.মাঠখোলা :- খোলামাঠের কাছে আমরা উজাড় হৃদয়ে মানুষকে তথা সমগ্র জীবসম্প্রদায়কে ভালোবাসা দেওয়ার শিক্ষা পেতে পারি।


৫.সূর্য-অনন্ত তেজের আকার হল সূর্য। সূর্যের কাছ থেকে আমরা তেজবিতা অবলম্বনের শিক্ষা লাভ করতে পারি। অর্থাৎ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো তেজ আমরা পেতে পারি সূর্যের কাছ থেকে।


৬.চাঁদ:- সমাজজীবনে বাঁচতে গেলে আমাদের প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। অর্থাৎ অন্যের সঙ্গে হাসিমুখে বাকা বিনিময় করা, মধুর সুরে কথা বলা ইত্যাদি আমরা শিখতে পারি চাঁদের অপূর্ব মাধুর্য দেখে।


১৩. প্রকৃতির আরও কিছু উপাদানের কথা তুমি লেখো আর তাদের থেকে কী শিক্ষা তুমি নিতে পারো তা উল্লেখ করো।

উঃ কবিতায় কবি নিজেই আরও কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে সাগর, নদী, মাটি, পাষাণ, ঝরনা এবং শ্যামবনানীর উল্লেখ করেছেন। মাটির কাছ থেকে আমি সহিঞ্চুতা অবলছনের শিক্ষা লাভ করতে পারি। জীবনে বাঁচতে গেলে আমাদের চলার পথে প্রতি মুহূর্তে হয়তো বিভিন্ন প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। সুতরাং সহিষ্ণুতা অবলম্বন করতে না শিখলে যে-কোনো মুহূর্তে জম্মের মুখে পড়তে হবে। পাষাণ যেভাবে কঠোর হয়ে আছে, সেভাবে আমি নিজের কাজে কঠোর হওয়ার প্রতিজ্ঞা নিতে পারি। করনা যেভাবে নিরন্তর প্রবাহিণী হয়ে মানবহৃদয়ে সংগীতের মুর্ছনা জাগায় তাতে আমি আমার হৃদয়েও সংগীতের সুর জাগিয়ে তুলতে পারি। শ্যামবনানী অর্থাৎ শ্যামল বনরাজি তার সরসতা দিয়ে মানবদৃষ্টিকে করে সজীব, সতেজ। আমি শ্যামবনানীর কাছ থেকে হৃদয়ে সরসতা অর্জনের শিক্ষা নিতে পারি। কবিতায় কবির উল্লিখিত ওই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ছাড়াও আরও নানাবিধ প্রাকৃতিক উপকরণ তথা বিভিন্ন প্রাণীসমুহের কাছ থেকে কিংবা বিভিন্ন গাছপালার কাছ থেকেও হাজার রকমের শিক্ষা অর্জন আমি করতে পারি।



১৪. এমন একজন মানুষের কথা লেখো যার কাছ থেকে অহরহ তুমি অনেক কিছু শেখো।

উঃ জীবনের বেশির ভাগ সময় আমি কাছে গাই আমার মাকে। আমার মায়ের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখি। সূর্য ওঠার আগে ঘুম থেকে ওঠা, প্রাতঃকৃত্য শেষ করে নিজের কাজে মনঃসংযোগ করা আমি মায়ের কাছ থেকে শিখেছি।

মাকে আমি দেখি, সকাল থেকে দুধওয়ালা, খবরকাগজওয়ালা, মাছওয়ালা, কাপড় ধোলাইকারী এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে যা যা প্রয়োজন তা মধুর বাক্য বিনিময়ের মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার অভ্যাস। মায়ের কাছে শিখি আমি প্রফুল্ল মনে বাস্ত হাতে সংসারের হাজার কাজ গুছিয়ে নেওয়া। মায়ের কাছে শিখি আমি সঠিক সময়ে সব কাজ ঠিকঠাক করে নেওয়া । এভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মায়ের কাছে আমি শিখি জীবনে সুস্থভাবে এবং হাসিমুখে বেঁচে থাকার আরও অনেকরকম শিক্ষা।



অন্য গুলির উত্তর দেখুন

(১) সবার আমি ছাত্র

(২) নরহরি দাস

(৩) বনভোজন

(৪) তোত্তোচানের অ্যাডভেঞ্চার

(৫)   ছেলে বেলায় দিনগুলি

(৬)  বনের খবর

(৭)  মালগাড়ি 

 (৮)  বিচিত্র সাধ

(৯)  আমি সাগর পাড়ি দেবো

আর ও আমি সাগর পাড়ি দেবো

(১০)  আলো

(১১)  আমাজনের জঙ্গলে

(১২)  দক্ষিণ মেরু অভিযান

(১৩) অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায়

(১৪) আমার মা-র বাপের বাড়ি

(১৫) দূরের পাল্লা

(১৬) নইলে

(১৭) ঘুম পাড়ানি ছড়া

(১৮) আদর্শ ছেলে

(১৯)  যতীনের জুতো

(২০)   ঘুম ভাঙ্গানি

(২১)   মায়াদ্বীপ

(২২)  বাঘা যতীন

আর ও  বাঘা যতীন



বিজ্ঞান মেধা পরীক্ষা

English question