চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা "ঘুম ভাঙানি" হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
ঘুম ভাঙানি
মোহিতলাল মজুমদার
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. মোহিত লাল মজুমদারের লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো।
উঃ মোহিতলাল মজুমদারের লেখা দুটি কাব্যগ্রন্থ হল—স্মরগরল, হেমন্ত গোধূলি ।
২. তাঁর সম্পাদিত দুটি পত্রিকার নাম লেখো।
উঃ তাঁর সম্পাদিত দুটি পত্রিকা হল বঙ্গদর্শন ও বঙ্গভারতী।
৩. পূর্ণিমায় ফুটফুটে জোছনা যেমন, তেমনই অন্ধকার, অমাবস্যায়।
উঃ পূর্ণিমায় ফুটফুটে জোছনা যেমন, তেমনই ঘুটঘুটে অন্ধকার, অমাবস্যায় ৷
৪. ‘পিটিপিটি’ ও ‘মিটিমিটি' তাকানোর অর্থ হল।
উঃ ‘পিটিপিটি’ ও ‘মিটিমিটি' তাকানোর অর্থ হল পিটপিট করে চাওয়া ও মিটমিট করে চাওয়া।
৫. ‘লক্ষ্মীটি’ শব্দটি কবিতায় যে অর্থে ব্যবহার হয়েছে কোনো শিশুকন্যার উদ্দেশ্যে।
৬. কবিতায় কিছু শব্দ উচ্চারণে তার মূল চেহারা থেকে বদলে গেছে। বদলে যাওয়া চেহারার পাশাপাশি মূল শব্দগুি লেখো :
জোছনা—জ্যোৎস্না।
শ্যামা-পাখি—শ্যামাপাখি ৷
বিছনা—বিছানা।
আবছায়—আবছা
নিবে—নিভে।
৭. কবিতা থেকে ধ্বন্যাত্মক শব্দগুলি খুঁজে নিয়ে তা দিয়ে স্বাধীন বাক্য রচনা করো :
উঃ ফুটফুটে—ফুটফুটে বাচ্চাদের সবাই ভালোবাসে ।
ঝুম ঝুমঝুম- ঝুম নূপুর বাজে
ঝিমিঝিমি—ঝিমি ঝিমি বাজনা বাজে।
বনে বনে–বনে বনে নানা পাখি ডাকে।
ঠন ঠন- ঠন ঠন করে কাঁসর বাজে।
ঘুম ঘুম—ঘুম ঘুম চোখে মা বিছানা ছেড়ে উঠে এলেন।
ছোটো ছোটো—ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা মাঠে খেলা করছে।
গায়ে গায়ে—কলকাতায় অনেক বাড়ি গায়ে গায়ে ঠাসা।
ঘোর ঘোর-ঘোর ঘোর রাস্তা হাটতে বিরক্ত লাগে।
চুপি চুপি—চোরটা চুপি চুপি ঘোষবাবুদের বাড়িতে ঢুকে পড়ল ।
ভয়ে ভয়ে—ভয়ে ভয়ে থাকলে মানুষ আরও চেপে ধরে।
ঝুর ঝুরঝুর -ঝুর করে বালিগুলো ঝড়ে পড়ছে।
ডাকাডাকি—বেশি ডাকাডাকি করে লাভ নেই ওর ঘুম ভাঙবে না ।
ফুর ফুর—ফুর ফুর দখিণা বাতাস বয়।
মিটি মিটি—চাঁদ মিটি মিটি হাসে।
পিটি পিটি—বাঘ পিটি পিটি চায়।
৮। নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৮.১. কবিতায় কোন্ ঋতুর কথা রয়েছে?
উঃ কবিতায় বসন্ত ঋতুর কথা বলা হয়েছে।
৮.২. গান গেয়ে কারা ডাকে?
উঃ লণ্ঠনরা গান গেয়ে ডাকে।
৮.৩. জানালায় মুখ বাড়িয়ে বাইরে কী দেখা গেল ?
উঃ জানলায় মুখ বাড়িয়ে বাইরে সাদা জ্যোৎস্না দেখা গেল।
৮.৪. পাতাগুলোকে রুপোলি লাগছে কেন?
উঃ পাতাগুলির গায়ে জ্যোৎস্নার আলো পড়ে সাদা হয়ে রয়েছে তাই পাতাগুলি রুপালি লাগছে।
৮.৫. ‘ওঠো শোনো কান পেতে’–কান পাতলে কী শোনা যাবে?
উঃ কান পাতলে গান শোনা যাবে।
৮.৬. ‘চুপি চুপি ভয়ে ভয়ে' কবিতার কথক কোন্ কাজ করতে চায় ?
উঃ ‘চুপি চুপি ভয়ে ভয়ে কথক জোছনার আবছায় বাইরেটা দেখতে চায় ৷
৮.৭. তাঁর উদ্দেশ্য সফল হল কি?
উঃ না, তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি।।
৯. ভিজে জবজবে-র মতো আর কোন্ কোন্ শব্দ পাশাপাশি পাতায় লিখতে পারো তা কবিতাটি থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উঃ ফুটফুটে জোছনায় । চাঁদ চায় মিটিমিটি। ফাল্গুনে বনে বনে। চোখে কেন ঘুম ঘুম । গায়ে ঠন ঠন। চুপি চুপি ভয়ে ভয়ে ।শোনা যায় ফুর ফুর। বাতাসের ঝুর ঝুর। করছিল ডাকাডাকি।
জঙ্গল— গভীর জঙ্গলে বাঘ, সিংহ থাকে।
তৈরি করে—কুমোর মাটির নানারকম জিনিস তৈরি করে।
ভগিনী—ভগিনীরা ভাইকে ভাইফোঁটা দেয় ৷
১০. নীচের পক্তিগুলিতে ‘বনে’, ‘বোনে’, ‘বোনে’ শব্দ তিনটি উচ্চারণে এক হলেও অর্থে আলাদা। এই তিনটি শব্দের অর্থ লেখো এবং তা দিয়ে বাক্যরচনা করো।
ফাল্গুনে বনে বনে—এই বনের অর্থ হল জঙ্গলে।
পরিরা যে ফুল বোনে—এই বোনে মানে তৈরি করে।
চলে এসো ভাই বোনে—এই বোনে মানে ভগিনী।
১১. গায়, চায়, বাসি, নায়, ঘোর, সুর— এই শব্দগুলিকে
গায়-আমার বাবার গায় নতুন জামা।
গায়—মেয়েটি সুন্দর গান গায় ।
বাসি — বাসি খাবার খেতে নেই।
বাসি—আমি আমার বোনকে খুব ভালোবাসি।
ঘোর—ঘুমের ঘোরে সে পড়ে গেল।
ঘোর—পাহাড়ের ঘোর ঘোর পথ আমার খুব ভয় করে।
১১.দুটি অর্থে ব্যবহার করে আলাদা আলাদা বাক্য লেখো।
চায়—(চাওয়া)মেয়েটি আমার বাড়ি থাকতে চায়।
চায়—(তাকানো) বিড়াল পিটি পিটি চায় ।
নায়—(নৌকার মাঝি) মাঝিরা নায় নিয়ে মাছ ধরতে যায়।
নায়—(মতো)ছেলেরা পুকুরে নায় ।
সুর—(অঙ্গ বিশেষ) হাতির সুর খুব লম্বা হয় ৷
সুর—( গলার স্বর) মেয়েটির গলায় গানের সুর আছে।
১২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১২.১. কবিতায় কথক রাত জেগে বাইরে কী দেখে?
উঃ কবিতায় কথক রাত জেগে বাইরে দেখে জোছনার রুপোলি আলোয় গাছের পাতা রুপালি হয়ে গেছে।
১২.২. কবিতায় বর্ণিত বনভূমি নিঝঝুম কেন?
উঃ জ্যোৎস্না রাতে চাঁদ মিটি মিটি চাইছে। রাত তখন অনেক। সবাই ঘুমোচ্ছে। বনভূমিও ঘুমোচ্ছে। তাই বনভূমি নিঝঝুম।
১২.৩. ‘মোরা আছি গানে মেতে’—এখানে ‘মোরা” বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? তারা গান গেয়ে কী বলছিল?
উঃ এখানে ‘মোরা’ বলতে লণ্ঠনদের কথা বলা হয়েছে। তারা বলছিল ঝকঝকে পল্টন, আমোদের রোশাই।
১২.৪. কথক চুপি চুপি জুতোমোজা পায়ে দিয়ে বাইরে যেতে কী ঘটনা ঘটল তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ কথক চুপি চুপি জুতো মোজা পায়ে দিয়ে বাইরে যেতে তিনি দেখলে কোথাও সুর নেই, গান নেই। আমোদের রোশনাই নিবে গেছে, পরিদের কোনো খোঁজ নেই। শোনা যাচ্ছে বাতাসের ফুরফুর শব্দ। আকাশটা ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। শ্যামা পাখি ভোর হয়েছে জানান দিচ্ছে।
১২.৫. এমনই কোনো এক জ্যোৎস্না রাতে জানালা দিয়ে চাঁদের আলো এসে তোমার বিছানায় পড়ছে। তোমার ঘুম আসছে না। এই জ্যোৎস্না রাতে তোমার নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তুমি কয়েকটি বাক্য লেখো।
উঃ এমনই জ্যোৎস্নারাতে আমি বিছানায় একদিন শুয়ে আছি। জানালাটা খোলা। মুখের মধ্যে জ্যোৎস্নার আলো এসে পড়েছে। আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল ছোট্ট একটা উঁচুনীচু মাঠ। আর ছিল ছোট্ট একটা পুকুর। মাঠের মধ্যে ছিল ভেরেন্ডার ছোটো ছোটো ঝাড়। হঠাৎ আমার মনে হল একটু বাইরে যাব। তখন বেশি রাত হয়নি। ঠাকুমাকে বললাম ‘আমাকে একটু বাইরে নিয়ে যাবে'। ঠাকুমা আমাকে বাইরে বলতে ওই পুকুরপাড়ে মাঠের ধারে নিয়ে গিয়ে বসলেন। মাঠে একটা মাদুর পাতলাম। ঠাকুমা আমাকে চাঁদ সম্বন্ধে অনেক গল্প বললেন। পুকরে চাঁদটার ছবি আমাকে মোহিত
করেছিল। মাঝে মাঝে জল নড়ে, চাঁদটাও নড়তে থাকে। কখন জানিনা ঠাকুমার কোলেই ঘুমিয়ে পড়লাম। যখন ঘুম ভাঙলো তখন দেখলাম সকাল হয়ে গেছে, বিছানায় শুয়ে আছি ।
আর ও প্রশ্নের উত্তর
দু-এক কথায় উত্তর দাও :
১। কোন্ মাসে পরিরা ফুল বোনে ?
২। লণ্ঠন কারা ব্যবহার করে ?
৩। কে আবছায়া ভালোবাসে ?
৪। ডানায় শিশির মেখে কে ডাকাডাকি করছে?
৫। রাতটা কেমন ছিল?
সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। কথক বাইরে এসে কী দেখলেন?
উত্তর ঃ ফাল্গুন মাসে পরিরা ফুল বোনে।
উত্তর : চৌকিদাররা লণ্ঠন ব্যবহার করে।
উত্তর : কথক আবছায়া ভালোবাসেন।
উত্তর ঃ শ্যামাপাখি।
উত্তর : রাতটা ছিল জোছনার রাত।
উত্তর ঃ কথক বাইরে এসে দেখলেন কই গান? কই সুর? শুধু শোনা যাচ্ছে বাতাসের ফুর ফুর শব্দ। বাইরেটা একদম ফ্যাকাশে।
অন্য গুলির উত্তর দেখুন
(১) সবার আমি ছাত্র
(২) নরহরি দাস
(৩) বনভোজন
(৬) বনের খবর
(৭) মালগাড়ি
(৮) বিচিত্র সাধ
আর ও আমি সাগর পাড়ি দেবো
(১০) আলো
(১১) আমাজনের জঙ্গলে
(১২) দক্ষিণ মেরু অভিযান
(১৩) অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায়
(১৪) আমার মা-র বাপের বাড়ি
(১৫) দূরের পাল্লা
(১৬) নইলে
(১৭) ঘুম পাড়ানি ছড়া
(১৮) আদর্শ ছেলে
(১৯) যতীনের জুতো
(২০) ঘুম ভাঙ্গানি
(২১) মায়াদ্বীপ
(২২) বাঘা যতীন
আর ও বাঘা যতীন