'নইলে' চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা হাতে কলমে প্রশ্নের উত্তর
চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
নইলে
অজিত দত্ত
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. কবি অজিত দত্ত কোন্ বিখ্যাত পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন?
উঃ কবি অজিত দত্ত বিখ্যাত ‘প্রগতি’ পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২. তাঁর লেখা দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উঃ তাঁর লেখা দুটি কবিতার বই হল— ‘কুসুমের মাস’, ‘ছায়ার আলপনা'
৩. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
উঃ বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি—ভ্যাবাচাকা, মজবুত, আধাআধি, দোকান
৪. কথা বলার সময় মূল শব্দ কখনো তার চেহারা বদলে ফেলে। যেমন কবিতায় রয়েছে—
নইলে, ‘অভ্যেস’, ‘আধাআধি' ইত্যাদি শব্দ। এদের পাশাপাশি শব্দগুলির প্রকৃত রূপটি লেখো। আরও কিছু শব্দ তুমি খুঁজে নিয়ে লেখো।
উঃ নইলে—নাহলে। অভ্যেস—অভ্যাস। আধাআধি—অর্ধেক অর্ধেক। রইলে—রয়ে গেল। রত্ন—রতন। গল্প—গল্প স্টেশন—ইস্টিশন।
৫. কবিতা থেকে বিশেষণ শব্দগুলিকে খুঁজে নিয়ে বাক্যরচনা করো :
উঃ সুস্থির—আমার ছোট্ট ভাইটি কখনোই সুস্থির হয়ে বসে না।
ভ্যাবাচাকা—পরীক্ষার ফল দেখে সোমা ভ্যাবাচাকা হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
মজবুত—শচীনের হাত দুটো খুব মজবুত, না হলে এমন ব্যাট করতে পারত না ৷
আধাআধি—জন্মদিনে মামা যে বড়ো চকলেট দিয়েছে, আমি আর দাদা সেটা আধাআধি করে খেয়েছি।
৬. শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও :
চাপা—পিষ্ট হয়ে যাওয়া ।
চাঁপা—ফুলবিশেষ।
পড়ে—পতিত হয়ে
পরে—পরবর্তীকালে
চড়ে—হাতের তালু দিয়ে আঘাত/থাপ্পড়/আরোহন।
চরে—গুপ্তদূত বিচরণকারী।
বাড়িঘর, বাসস্থান, গৃহ ।
বারি—জল।
তাড়া—ধাবিত/ধাওয়া করা/গোছা বা আঁটি বা বাণ্ডিল।
তারা—সে শব্দের বহুবচন/মাকালী/গ্রহ তারা।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৭.১. ভাত খাওয়ার প্রসঙ্গে কবি পাথর চিবানোর অভ্যেস আছে কিনা জানতে চেয়েছেন কেন ?
উঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তার পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষকে সরকার থেকে যে চাল দেওয়া হত তাতে চালের তুলনায় কাঁকর থাকত বেশি। তাই ভাত খাওয়ার সময় ভাত অপেক্ষা কাকর মুখে পড়ত বেশি। তাই কবি সমাজকে ব্যঙ্গ করে পাথর চিবোনোর অভ্যাস করতে বলেছেন ।
৭.২. ‘অপেক্ষা’, ‘তাড়াহুড়ো’, ‘দ্রুতগতি’ ও ‘শারীরিক দক্ষতা’– এই শব্দগুলি তোমার পঠিত কবিতাটির কোন্ কোন্ স্তবকের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত তা শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে নাও ৷
উঃ অপেক্ষা—চতুর্থ অর্থাৎ শেষ স্তবকে অপেক্ষার কথা বলা হয়েছে। সরকারি দোকান থেকে ধুতি পেতে হলে লম্বা লাইনে ১২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে।
তাড়াহুড়ো, দ্রুতগতি——শব্দ দুটি দ্বিতীয় স্তবকের সঙ্গে সম্পর্কিত। দৌড়, লাফ, ঝাঁপ, তাড়াতাড়ি করে চলতে না জানলে লরির তলায় চাপা পড়তে হবে। কেননা শহরে সবাই খুব ব্যস্ত। সময় কারোর জন্য থেমে থাকবে না ।
শারীরিক দক্ষতা—প্রথম স্তবকে শারীরিক দক্ষতার কথা বলা হয়েছে। কেননা ভিড় ট্রামে চড়তে হলে কুস্তি এবং ঝুলে থাকতে জানতে হবে।
৭.৩. রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে গেলে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করতে হবে?
উঃ রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে হলে দৌড়তে জানতে হবে। সঙ্গে লাফ-ঝাঁপ এমনকি উড়তেও জানতে হবে। কেননা কলকাতা শহরের রাস্তাঘাট পার হতে গেলে এই অভ্যাসগুলি আয়ত্ত করতে হবে।
৭.৪. বাড়ির বাইরের পৃথিবীতে মানিয়ে চলবার জন্য তুমি নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করবে?
উঃ বাড়ির বাইরের পৃথিবীটা যেমন, তার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে। যেমন—ট্রামে চড়তে হলে কুস্তি অর্থাৎ ঠেলাগুঁতো দিতে হবে, ঝুলে থাকতে হবে। রাস্তা পার হতে গেলে দৌড়, লাফ-ঝাঁপ দিতে হবে। প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য দোকানের লম্বা লাইনে ঠান্ডা মাথায় ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে।
৭.৫. এই কবিতাটি পড়ে যে যে ছবিগুলি তোমার চোখের সামনে ভেসে উঠছে সেই ছবিগুলি খাতায় এঁকে ফেলো।
উঃ
৮. প্রতিশব্দ লেখো ঃ
মজবুত—শক্ত।
ভাত—অন্ন।
চাল—তণ্ডুল।
পা—চরণ।
৯. বর্ণবিশ্লেষণ করো :
রাস্তা—র্ + আ + স্ + ত্ + আ
কুস্তি—ক্ + উ + স্ + ত্ + ই
মজবুত—ম্ + 'অ + জ্ + অ + ব্ + উ + ত্ + অ কাকুতি—ক্ + আ + ক্ + উ + ত্ + ই
১০.অর্থ লেখোঃ
প্যাচ—কৌশল।
কুস্তি—মল্লযুদ্ধ।
প্র্যাকটিস—অনুশীলন।
ভ্যাবাচাকা—হতবুদ্ধি।
সুস্থির-স্থির/চুপচাপ/শান্ত ৷
১১. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
কিছু—অনেক। সুস্থির—অস্থির। অভ্যেস—অনভ্যেস। আধাআধি — পুরোপুরি। মজবুত—পলকা।
১২. ‘চাল’ও ‘বেশ’শব্দদুটিকে আলাদা আলাদা অর্থে ব্যবহার করে বাক্যরচনা করো :
উঃ চাল (চালচলন)—শুভর ঢাল চালন দেখলে বোঝা যায়, ও খুব দুষ্টু।
চাল (দান দেওয়া)—শকুনির চালেই পাণ্ডবরা বনে গেল।
বেশ (সাবাশ)—রনিতার গান শুনে ওস্তাদজি বললেন আহা! বেশ বেশ।
বেশ (ভালো)–একা একা বেশ আছি।
১৩. কবিতায় তুমি কয়টি প্রশ্নবোধক বাক্য খুঁজে পেলে লেখো।
উঃ ক) প্যাচ কিছু জানা আছে কুস্তির?
খ) ঝুলে কি থাকতে পারো সুস্থির?
গ) প্র্যাকটিস করেছ কি দৌড়?
ঘ) লাফিয়ে ঝাপিয়ে আর ভোঁ উড়ে?
ঙ) দাঁত আছে মজবুত সব বেশ?
চ) পাথর চিবিয়ে আছে অভ্যেস?
ছ) দাঁড়াতে পারো তো বারো ঘণ্টা?
১৪. শূন্যস্থান পূরণ করো :
১৪.১. যেখানে কুস্তিগিরেরা অভ্যাস/শরীরচর্চা করেন, সেই জায়গাটিকে বলা হয় মল্লভূমি ।
১৪.২. বাংলার একজন বিখ্যাত কুস্তিগির হলেন গোবর গুহ (যতীন্দ্র চরণ গুহ)।
১৪.৩. ট্রাম ছাড়া একটি পরিবেশ-বান্ধব যান হল ট্রেন।
১৪.৪. ‘প্র্যাকটিস’ শব্দের অর্থ হল অনুশীলন।
১৪.৫. মন বলতে বোঝানো হয়ে থাকে হৃদয় কে।
১৫. বাক্য সম্পূর্ণ করো :
১৫.১. ট্রামে চড়তে অসুবিধা হবে, যদি কুস্তি না জানো।
১৫.২. বাড়ি থেকে বেরোনোই মুশকিল, যদি সাহসী না হও/দৌড়তে না জানো
১৫.৩. ভাত খাওয়া দুষ্কর হবে, যদি দাঁত মজবুত না হয়।
১৫.৪. দোকানে গিয়ে দাঁড়িয়েই থাকতে হবে, যদি কাকুতিও কর।
১৫.৫. সকলের সঙ্গে মানিয়ে চলা যাবে না, যদি এই সব অভ্যাস আয়ত্ত না করি।
অন্য গুলির উত্তর দেখুন
(১) সবার আমি ছাত্র
(২) নরহরি দাস
(৩) বনভোজন
(৬) বনের খবর
(৭) মালগাড়ি
(৮) বিচিত্র সাধ
আর ও আমি সাগর পাড়ি দেবো
(১০) আলো
(১১) আমাজনের জঙ্গলে
(১২) দক্ষিণ মেরু অভিযান
(১৩) অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায়
(১৪) আমার মা-র বাপের বাড়ি
(১৫) দূরের পাল্লা
(১৬) নইলে
(১৭) ঘুম পাড়ানি ছড়া
(১৮) আদর্শ ছেলে
(১৯) যতীনের জুতো
(২০) ঘুম ভাঙ্গানি
(২১) মায়াদ্বীপ
(২২) বাঘা যতীন
আর ও বাঘা যতীন