তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা নদীর তীরে একা অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা
প্রবন্ধ:-নদীর তীরে একা
লেখক:-জীবন সর্দার
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১. নিচে অনুসারে উত্তর দাও।
১. প্রকৃতি বলতে কী বোঝো?
উঃ । আমাদের চারপাশের গাছপালা, মাটি, পশুপাখি, মান, পাহাড়, নালা, খাল বিল এই সমস্তকে আমাদের পরিবেশ বা প্রকৃতি বলে।
| আমরা গাছের পাতা, ফুল, ফল, কান্ড থেকে খাবার পাই। গাছপালা ভূমিক্ষয় রোধ করে। গাছপালা
গাছপালা থেকে ওষুধ, জ্বালানি, আসবাবপত্রের কাঠ পাওয়া যায়। গাছকে আশ্রয় করে নানা রক
ও প্রাণীরা বেঁচে থাকে। গাছ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে।
৫. তুমি প্রকৃতির কোলে পুরো একটা দিন কাটানোর সুযোগ পেলে কোন জায়গাটি বেছে নেবে ? তোমার পছন্দের জায়গার পাশে
৬. ফাকা ঘরে ঠিক শব্দ বসাও :
উত্তর-
৬.১ নৌকোয় বসে দেখি মাঠে গরু চরছেআর ছেলেরা গাছে চড়ছে।
৬.২ প্রতিদিন আশা করে নদীর ধারে যাই জোয়ারের জল আসা দেখব বলে।
৬.৩ আমিও দমবার পাত্র নইমনুও নয়।
৬.৪ বহুদিন পরে গাঁ ফিরে গা জুড়িয়ে গেল।
পাখিটিকে উড়িয়ে দিয়েছি। (বাঁধা /বাধা)
৬.৫ কোনো বাধা না মেনে বাঁধা পাখি টিকে উড়তে দিয়েছি।
৬.৬ সোনার চুড়ির আওয়াজ শোনা গেল।
৭. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
সেতু—পুল।
ছোটো নৌকা – ডিঙি।
বদলে-পালটে।
তীর-কিনারা।
নির্মোক – খোলস ।
বস্তু—মাটি।
গুণ—লক্ষণ।
৮. নীচের বাক্যগুলি থেকে কাজ, ব্যক্তি, বস্তু, গুণ আলাদা করে লেখো :
৮.১ যেখানে মেন মাটি তেমন তার দশা। উঃ। কাজ হয় (উহ্য)। ব্যক্তি-
৮.২ আমি ফুরসত পেলে, একটা না-একটা নদীর তীরে যাই। উঃ। কাজ—যাই। ব্যক্তি—আমি। বস্তু-
৮.৩ সেগুলো হয়তো শীত পড়তে না-পড়তেই হাজির হবে। উঃ। কাজ—হাজির হবে। ব্যক্তি—সেগুলো
৮.৪ তার চড়ায় চখা দেখেছি, কাদাখোঁজা দেখেছি।
উঃ। কাজ—দেখেছি। ব্যক্তি—আমি (উদ্য)। বস্তু—চড়ায়। গুণ-
৮.৫ দামোদরে এখন জোয়ার-ভাটা খেলে না।
উঃ। কাজ—খেলে না। ব্যক্তি—জোয়ার-ভাটা। বস্তু—দামোদরে। গুণ....
৯। বর্ণ বিশ্লেষণ করো ঃ
গরু—গ্ + অ + র্ + উ।
সরালস্=স + অ + র্ + আ + ল।
'ইষ্টিশন—ই + স + ট্ + ই + শ্ + অ +ন।
প্রজাপতি—প্+র্+জ্ + আ + প + ত্ +ই।
চৈত্র—চ্+ঐ+ত+র্+অ।
১০. এলোমেলো বর্ণ সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
দা খোঁ কা চা > কাদাখোঁচা
সা কা দালো > সাদাকালো
য থাম বা নহি > মহিষবাথান
ঠা না ও মা > ওঠানাম
রাতি কে ম। > কেরামতি
১১. বাক্য বাড়াও :
১১.১ সেই খোঁজ নেওয়া ছিল আমার খেলা। (কীসের খোঁজ ?)
উঃ। ওই নদীতে কেমন নদী, সেই খোঁজ নেওয়া ছিল আমার খেলা।
১১.২ দুজনে নদীর কথা বলি। (কোন্ কোন্ নদী ?) উঃ। দুজনে দামোদর, রূপনারায়ণ, ইছামতী নদীর কথা বলি।
১১.৩ গল্গুন আসবে। (কখন?
উঃ। শীতের সময় খঞ্জন আসবে।
১১.৪ চরে না গেলে দেখা যাবে না। (কী)
উঃ। চখা কিংবা বড়ো জাতের হাঁস চরে না গেলে দেখা যাবে না।
১১.৫ চলাচল দেখতে পাব। (কাদের?
উঃ। এবারে ওপারের পাখির, প্রজাপতির চলাচল দেখতে পাব।
১২. বাক্য সাজিয়ে লেখো :
১২.১ সেই মাঝির ডিঙি খুব চিনি আমি ভালো। উঃ। সেই মাঝির ডিঙি আমি খুব ভালো চিনি।
১২.২ সাদাকালো নজরে আমার একটা মাছরাঙা পড়ল।
উঃ। আমার নজরে একটা সাদাকালো মাঝরাস্তা পড়ল।
১২.৩ আমার সেখানে কঠিন নয় পক্ষে পৌঁছে যাওয়া। উঃ। আমার পক্ষে সেখানে পৌঁছে যাওয়া কঠিন নয়।
১২.৪ প্রজাপতির পাব দেখতে চলাচল।
উঃ। প্রজাপতির চলাচল দেখতে পাব।
১২.৫ জল নেই তবে, খুব চওড়া নদীতে বটে।
উঃ। খুব চওড়া বটে, তবে নদীতে জল নেই।
১৩. দু-এক কথায় উত্তর দাও :
১৩.১ লেখকের প্রিয় তিনটি নদী কী কী?
উঃ। লেখকের প্রিয় তিনটি নদী হল – দামোদর, রূপনারায়ন, ইছামতী।
১৩.২ এখানে তাঁর প্রিয় ঘাটের কথাও রয়েছে। ঘাটটির নাম কী?
উঃ। তাঁর প্রিয় ঘাটটির নাম হল 'খাদিনান।
১৩.৩ লেখক কার নৌকোয় উঠলেন?
উঃ। লেখক মনু নামে এক মাঝির নৌকোয় উঠলেন।
১৩.৪ জোয়ার-ভাটা বলতে কী বোঝো?
উঃ। নদীর জল চাঁদের অবস্থানের জন্য বেড়ে গেলে হয় জোয়ার আর কমলে হয় ভাটা।
১৩.৫ লেখক কেন দামোদরের তীরে এসেছেন?
উঃ। লেখক ভরা-বর্ষায় নদীর অবস্থা কেমন হয় তা দেখার জন্য দামোদরের তীরে এসেছেন।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
১. লেখক নদীর তীরে একা যেতেন কেন?
উঃ। লেখক প্রকৃতি পড়ুয়া হতে চান তাই তিনি নদীর ধারে একাই যেতেন।
এ কোন নদীর তীরে লেখকের বসার সুযোগ ছিল না? উঃ। লেখকের ইছামতীর তীরে বসার সুযোগ ছিল না।
৩. নদীরা কখন রং পালটে নিল?
উঃ। শরতে পরপর ক-দিন ঝমঝম করে বৃষ্টির ফলে নদীরা রং পালটে নিল।
৪. লেখক কোন্ পথে এবং কীভাবে যেতে ভালোবাসেন?
উঃ। লেখক জলের কিনারা ধরে এবং হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।
৫. লেখক কোন্ ঘাটের পথে পাড়ি দিলেন?
উঃ। লেখক পশ্চিমে দামোদরের তীরে খাদিনান ঘাটের পথে পাড়ি দিলেন।
৬. লেখক কোন্ ঘাটে ডিঙি পেয়ে গেলেন?
উঃ। লেখক মহিষরেখা ঘাটে একটা ডিঙি পেয়ে গেলেন।
৭.কোন্ দুটি নদীতে জোয়ার-ভাটা হয়?
উঃ। রূপনারায়ন ও ইছামতী নদীতে জোয়ার-ভাটা হয়।
৮, লেখক প্রথম কোন্ পাখি দেখতে পান? তার রং কেমন?
উঃ। লেখক প্রথম মাছরাঙা (ফটকা) দেখতে পান। পাখিটার রং সাদাকালো।
৯. শীতকালে কোন্ পাখি দেখা যাবে?
উঃ। শীতকালে খঞ্জন পাখি দেখা যাবে।
১০. রূপনারায়নের চড়ায় লেখক কখন কী পাখি দেখেছেন ?
উঃ। রূপনারায়নের চড়ায় লেখক কার্তিক মাসে সরাল দেখেছেন।
১১. নদীর চরে না গেলে কোন্ কোন্ পাখি দেখা পাওয়া যাবে না?
উঃ। নদীর চরে না গেলে চখা কিংবা বড়ো জাতের হাঁসের দেখা পাওয়া যাবে না।
১২. দামোদরের তীরে কী দেখার মতো?
উঃ। দামোদরের তীর ধরে সবজি ফসল ছিল দেখার মতো।
১৩. মহিষবাথান কোথায় অবস্থিত?
উঃ। দামোদরের উপর বম্বে রোডের পুলের কাছে মহিষবাথান অবস্থিত।
১৪. গল্পে দেওয়া নদীগুলির নাম ছাড়া আরও দুটি নদীর নাম লেখো।
উঃ। আরও দুটি নদী হলো—অজয় ও তিস্তা।
১৫. নদীর মুখের গেট দিয়ে কী হয়?
উঃ। নদীর মুখের গেট দিয়ে গঙ্গার জল আসা যাওয়া ঠিক হয়।