রাধারানী গল্প অনুসারে, তৎকালীন সমাজ জীবনের পরিচয় দাও - Online story

Tuesday 20 August 2024

রাধারানী গল্প অনুসারে, তৎকালীন সমাজ জীবনের পরিচয় দাও

  

‘রাধারাণী' গল্পানুসারে তৎকালীন সমাজজীবনের পরিচয় দাও।
উত্তর - সমাজের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ছাপ পড়ে সাহিত্যের অঙ্গনে। তাই সাহিত্যকে বলা হয় সমাজদর্পণ। ‘রাধারাণী' গল্পের প্রেক্ষাপট স্বল্প, তবু তার মধ্যেও তৎকালীন সমাজের ভালোমন্দ
তথা সমাজচিত্রের প্রকাশ ঘটেছে। যেমন—

জটিল বাস্তব ;-তারাধারাণীর পিতার মৃত্যুর পরে এক জ্ঞাতি মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে রাধারাণীদের সকল সম্পত্তি গ্রাস করে নেয়। সেই ব্যক্তি ডিক্রি জারি করে শুধু সম্পত্তিই নেয়নি, ভদ্রাসন থেকে বিধবা ও তার কন্যাকেও তাড়িয়ে দিয়েছে। সমাজের কুটিল বাস্তবতাই এখানে প্রকাশিত হয়েছে।


কায়ক্লেশে দিনযাপন:- সমস্ত সম্পত্তি হারিয়ে রিক্ত-নিঃস্ব রাধারাণীর মা বালিকা রাধারাণীকে নিয়ে একটি কুটিরে আশ্রয় নেন এবং কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে কোনোভাবে দিন অতিবাহিত করতে থাকেন। বাংলার সমাজজীবনের এমন চিত্র বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়।


ভালো মানুষ;-রথের মেলা ভেঙে যাওয়ার পরে ঘটনাচক্রে রুক্মিণীকুমারের সঙ্গে রাধারাণীর সাক্ষাৎ ঘটে নাটকীয়ভাবে। রাধারাণীর সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তি রাধারাণীদের
সংকটের কথা শুনতে পান। এর পরেই তিনি রাধারাণীর মালাগুলি কিনে নেন, অন্ধকার পথে বালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দেন, একটি শাস্তিপুরে কাপড় তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এমনকি নিজ নামাঙ্কিত একটি 'নোট'ও রাধারাণীদের উপহার দেন।
অর্থাৎ অচেনা ব্যক্তি হলেও অসহায় রাধারাণীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন উক্ত ব্যক্তি। এ থেকে বোঝা যায় সমাজে কম হলেও ভালো মানুষও সবসময়েই ছিল।


মুনাফাবাজ;- আলোচ্য গল্পে পদ্মলোচনের মতো মুনাফাবাজ লোকও বর্তমান ছিল; যে নিজের লাভ ছাড়া কোনো কাজই করে না। লেখক বলেছেন——... যখন সুদিন ছিল, তখন চারি টাকার কাপড়ে শপথ করিয়া আট টাকা সাড়ে বারো আনা, আর দুই আনা মুনাফা লইতেন। ভালো-মন্দ, আলো-অন্ধকার সমস্ত কিছু নিয়েই সমাজ, এমন সমাজের বাস্তব চিত্রই প্রকাশিত হয়েছে ‘রাধারাণী' গল্পে।



'তাঁহার নাম রুক্মিণীকুমার রায"
রায় বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তিনিরুক্মিণীকুমার রায়ের নামোল্লেখ করেন ?


উত্তর-এই উক্তিটির বক্তা হলেন রাধারাণীর বিধবা মা।
রথের মেলা ভেঙে গেলে অন্ধকার পিচ্ছিল পথে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে রাধারাণীর সাক্ষাৎ হয়। তিনি
বাড়ি পৌঁছে দেন এবংরাধারাণীদের অজ্ঞাতেই তাদের কুটিরে একটি কাগজের নোট রেখে আসেন। পরে ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে সেই
নোয়াট কুড়িয়ে পেয়ে মাকে দেখায়। রাধারাণীদের অক্ষরপরিচয় বুঝতে পারে নোটনীতে ভদ্রলোক তাঁর নাম লিখে গেছেন।
এই প্রসঙ্গেই বাধারানীর মা বুক্মিণীকুমারের নামোল্লেখ করেন,কারা নোটে তার নাম  লেখাটি ছিল।