অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সাত অধ্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Thursday, 29 August 2024

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সাত অধ্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 


                 


অষ্টম শ্রেণী
                   ইতিহাস
                আট অধ্যায়
   অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন ।
               ভেবে দেখো খুঁজে দেখো

১. নীচের বিবৃতিগুলির সঙ্গে তার নীচের কোন ব্যাখ্যাটি সবচেয়ে মানানসই খুঁজে নাও ঃ
(ক) বিবৃতি : গান্ধি পাশ্চাত্য আদর্শের বিরোধী ছিলেন।

ব্যাখ্যা ১ : গান্ধি রক্ষণশীল মানুষ ছিলেন।
ব্যাখ্যা ২ : গান্ধি মনে করতেন পাশ্চাত্য আদর্শ ভারতের প্রকৃত স্বরাজ অর্জনের পথে বাধা।
ব্যাখ্যা ৩ : গান্ধি চাইতেন সমস্ত ভারতের মানুষ সরল জীবনযাপন করুক।
উঃ। গান্ধি মনে করতেন পাশ্চাত্য আদর্শ ভারতের প্রকৃত স্বরাজ অর্জনের পথে বাধা।

(খ) বিবৃতি : ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে রাওলাট আইন তৈরি করা হয়েছিল।
ব্যাখ্যা ১ : ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধির প্রভাব কমানোর জন্য।
ব্যাখ্যা ২ : ব্রিটিশ-বিরোধী ক্ষোভ ও বিপ্লবী আন্দোলনগুলি দমন করার জন্য।
ব্যাখ্যা ৩ : ভারতীয়দের সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য।
উঃ। ব্রিটিশ বিরোধীক্ষোভ ও বিপ্লবী আন্দোলনগুলি দমন করার জন্য।

(গ) বিবৃতি : গান্ধিজি খিলাফৎ আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন।
ব্যাখ্যা ১ : ভারতের জাতীয় আন্দোলনে মুসলমানদের সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করার জন্য।
ব্যাখ্যা ২ : তুরস্কের সুলতানের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর জন্য।
ব্যাখ্যা ৩ : মুসলমান সমাজের উন্নতির দাবি জোরালো করে তোলার জন্য।
উঃ। ভারতের জাতীয় আন্দোলনে মুসলমানদের সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়ের জন্য।



(ঘ) বিবৃতি : ভারতীয়রা সাইমন কমিশন বর্জন করেছিল।
ব্যাখ্যা ১ : ভারতীয়রা স্যর জন সাইমনকে পছন্দ করত না।
ব্যাখ্যা ২ : স্যর জন সাইমন ছিলেন ভারতীয়দের বিরোধী।
ব্যাখ্যা ৩ : সাইমন কমিশনে কোনো ভারতীয় প্রতিনিধি ছিলেন না।
উঃ। সাইমন কমিশনে কোনো ভারতীয় প্রতিনিধি ছিলেন না।



(ঙ) বিবৃতি ঃ সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্বভার নেন।
ব্যাখ্যা ১ : রাসবিহারী বসুর অনুরোধ রক্ষা করার জন্য।
ব্যাখ্যা ২ : আজাদ হিন্দ বাহিনীর সাহায্যে ব্রিটিশ অধিকৃত ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর জন্য।
ব্যাখ্যা ৩ : জাপান সরকারকে সাহায্য করার জন্য।
উঃ। রাসবিহারী বসুর অনুরোধ রক্ষার জন্য।




২. ক স্তম্ভের সাথে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

বিহারের চম্পারন।    > কৃষক আন্দোলন
স্বরাজ্য দল              > চিত্তরঞ্জন দাশ
বিনয়-বাদল-দীনেশ > অলিন্দ যুদ্ধ
ভগৎ সিং                  > লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা
পট্টভি সীতারামাইয়া > হরিপুরা কংগ্রেস





৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০ শব্দ) :
(ক) দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দোলন মহাত্মা গান্ধির রাজনৈতিক জীবনে কী প্রভাব ফেলেছিল ?
উঃ। দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধিজির রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়েছিল। ভারতবর্ষে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার আগে গান্ধিজি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য বিরোধী একটি আন্দোলন চালিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন ধর্ম-ভাষা অঞ্চলের মানুষকে
সঙ্গে নিয়ে তিনি লড়াই চালান। সেই আন্দোলন থেকেই ধীরে ধীরে গান্ধিবাদী 'সত্যাগ্রহ'-র ধারণা তৈরি হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দোলনের সুবাদে গোড়া থেকেই গান্ধির একটা সর্বভারতীয় ভাবমূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছিল।


(খ) গান্ধির সত্যাগ্রহ আদর্শের মূল ভাবনা কী ছিল?
উঃ। গান্ধি মনে করতেন সত্যের খোঁজ করাই মানবজীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য, ফলে সত্যের প্রতি আগ্রহ বা সত্যের প্রতি নিষ্ঠা রাজনৈতিক আন্দোলনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। তাঁর মতে সত্য পালনের পথ হলো শাস্তিপূর্ণ ও অহিংস পথে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের পন্থাকে গান্ধিজি মানতেন না। তিনি মনে করতেন অহিংস ও সত্যাগ্রহের আদর্শ জনগণকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।


(গ) স্বরাজ্যপন্থীদের মূল দাবিগুলি কী ছিল?

উঃ স্বরাজপন্থীদের দাবি ছিল সরকারি আইন পরিষদকে বয়কট না করে তাতে অংশ নেওয়া উচিত। এইভাবে সরকারি নীতি ও কাজে বাধা দেওয়া যাবে। অর্থবিল বা বাজেট প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা। জাতীয় স্বার্থের পরিপুরক বিল ও প্রস্তাব
উত্থাপন করে সরকারকে বিব্রত করা। সরকারি অর্থনৈতিক শোষণ বন্ধ করা।


(ঘ) কাকে কেন সীমান্ত গান্ধি বলা হত?
উঃ। খান আবদুল গফফর খানকে সীমান্ত গান্ধি বলা হয়। গান্ধির অনুগামী হওয়ায় তাঁকে সীমান্ত গান্ধি বলা হয়।


(ঙ) ভারত ছাড়ো আন্দোলনে মাতঙ্গিনী হাজরার ভূমিকা কী ছিল ?
উঃ। ৭০ বছরের মাতঙ্গিনী হাজরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন। তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠে। মেদিনীপুর জেলার তমলুকের বৃদ্ধা বিদ্রোহিনীর নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সমর্থনে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষের মহামিছিল তমলুক থানা ও আদালত ভবন দখল করার জন্য অগ্রসর হয়। এই সময় পুলিশের গুলিতে মাতঙ্গিনী হাজরা মারা যান। তাঁর এই আত্মত্যাগ পরবর্তী প্রজন্মের নারীদের স্বাধীনতা আন্দোলনের
প্রেরণা জোগায়।


৪. নিজের ভাষায় লেখো (১২০-১৬০টি শব্দ ) :
(ক) গান্ধির অহিংস সত্যাগ্রহের আদর্শটি ব্যাখ্যা করো। ঐ আদর্শের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রথমদিকে নরমপন্থীদের আদর্শের একটি তুলনামূলক আলোচনা করো।
উঃ। গান্ধির সত্যাগ্রহ ও অহিংসার আদর্শটি পরস্পর সম্পর্কিত। এই দুটিকে একসঙ্গে “অহিংসা সত্যাগ্রহ” ও বলা হয়। গান্ধি মনে করতেন সত্যের খোঁজ করাই মানবজীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য। ফলে সত্যের প্রতি আগ্রহ বা সত্যের প্রতি নিষ্ঠা রাজনৈতিক আন্দোলনেরও চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। রাজনৈতিক প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পথকেও গান্ধি সমালোচনা করেন। গান্ধিজির আদর্শের সঙ্গে প্রথমদিকের নরমপন্থী নেতাদের কিছু অমিল দেখা যায়। গান্ধিজি গণ আন্দোলনের উপর জোর দিতেন, তাঁর ডাকে কৃষক, শ্রমিক, কারিগর, নারী-পুরুষ সবই এক পতাকাতলে এসে দাঁড়িয়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন স্বরাজ অর্জন ও দেশের মানুষের আর্থিক ও সামাজিক মুক্তি। কিন্তু নরমপন্থীদের আন্দোলনে শিক্ষিত সম্প্রদায় প্রাধান্য পেয়েছিল। তাঁদের মূল্য লক্ষ্য ছিল ঔপনিবেশিক স্বায়ত্তশাসন অর্জন। তাঁরা ব্রিটিশের কাছে আবেদন নিবেদনের মাধ্যমে ভারতবাসীর দাবি দাওয়াগুলি পূরণ করতে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হননি।

(খ) অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল? ঐ আন্দোলন রদ করা বিষয়ে গান্ধির সিদ্ধান্তের সঙ্গে কী তুমি কি একমত? তোমার বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি দাও।
উঃ। অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।—
(১) কৃষক, কারিগর, নারী-পুরুষ, শিক্ষিত-অশিক্ষিত এই আন্দোলনে যোগ দিয়ে একে গণ আন্দোলনের রূপ দিয়েছিল।
(২) এই আন্দোলনে দলে দলে মেয়েরা সব বাধা অতিক্রম করে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নাম লেখায়।
(৩) স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ত্যাগ করে মানুষ বেরিয়ে আসে।
(৪) জাতীয় বিদ্যালয় তৈরি হয়, স্বদেশি দ্রব্য ব্যবহার করার জন্য প্রচুর দেশীয় শিল্প গড়ে ওঠে।
না, আমি এই আন্দোলন করার বিষয়ে গান্ধির সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন হিংসা প্রবেশ করেছে এই অজুহাতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এটা ঠিক হয়নি বলে আমার মনে হয়, কারণ দলমত নির্বিশেষে সব মানুষ সেই সময় এগিয়ে এসেছিলেন। কয়েকজনের অপরাধের শাস্তি সবাইকে দেওয়া ঠিক হয়নি বলে এই যুগে বসে আমার মনে হয়।
(গ) আইন অমান্য আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণের চরিত্র কেমন ছিল? সূর্য সেন ও ভগৎ সিং এর সংগ্রাম কি গান্ধির মতামতের সহগামী ছিল?
উঃ। ১৯২১ সালে গান্ধিজি আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেন। দ্রুতই দেশ জুড়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ হরতাল ও বিক্ষোভে যোগ দিতে থাকে। সরকারকে কর দেওয়া বন্ধ করে দেয়। বিদেশি দ্রব্য বয়কট করে।
কৃষকরা রাজস্ব দিতে অস্বীকার করে। ব্যাপক সংখ্যায় নারীরা এই আন্দোলনে যোগ দেন। দেশজোড়া বিভিন্ন হরতালে সাইমন কমিশনকে কালো পতাকা দেখানো হয়। বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি বিদেশি কাপড় বর্জন করা ও ভূমি রাজস্ব
কর না দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৩২-১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ আন্দোলনের জন্য জেলে যায়।
সুতরাং এই আন্দোলন ছিল গণমুখী আন্দোলন। গান্ধিজির আন্দোলনের চরিত্র ছিল অহিংস এবং সত্যাগ্রহের আদর্শের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এখানে কোনো রকম হিংসার আশ্রয় না নেওয়ার কথাই প্রচার করা হয়েছিল। সেখানে সূর্য সেন ও ভগৎ সিং প্রমুখ ছিলেন সশস্ত্র আন্দোলনে বিশ্বাসী। গুপ্তহত্যা, বিপ্লবী অভ্যুত্থান অর্থাৎ হিংসাত্মক পথে এঁরা স্বাধীনতা অর্জনে সচেষ্ট হন। সুতরাং তাঁরা গান্ধির মতামতের সহগামী ছিলেন না।
(ঘ) জাতীয় রাজনীতিতে সুভাষচন্দ্র বসুর উত্থানের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করো। সুভাষচন্দ্রের রাজনৈতিক চিন্তার উপর কোন কোন বিষয় ছাপ ফেলেছিল বলে তোমার মনে হয় ?
উঃ। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে সুভাষচন্দ্র বসু সর্বদাই ছিলেন পূর্ণ স্বরাজের পক্ষে। ভারতের সাধারণ মানুষ গান্ধির নেতৃত্বে বিভিন্ন আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল। সুভাষচন্দ্র বসু গান্ধিজির আদর্শের সঙ্গে সহমত না হলেও তাঁর নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিলেন। তারপর চিত্তরঞ্জন দাশের নেতৃত্বে সুভাষচন্দ্র সিভিল সার্ভিসে যোগ না দিয়ে বাংলার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি জেলে যান। চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যুর পর সুভাষচন্দ্র পূর্ণ স্বরাজের পক্ষে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবিত যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাকে তিনি নাকচ করেন। এই বিষয়কে
কেন্দ্র করে ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের কলকাতা অধিবেশনে গান্ধির সাথে সুভাষের বিরোধ শুরু হয়। এইভাবে সুভাষের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।
নানা বিষয় সুভাষচন্দ্রের রাজনৈতিক চিন্তার উপর প্রভাব ফেলেছিল—
একদিকে ছিল বিংশ শতকের জার্মানজাতীয়তাবাদী ভাবধারার প্রভাব। সোভিয়েত রাশিয়ার অর্থনৈতিক সাম্যের আদর্শকেও তিনি কিছুটা গ্রহণ করেছিলেন। তার সঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দের সাংগঠনিক ভাবনাচিন্তাও সুভাষচন্দ্রকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
(ঙ) ভারত ছাড়ো আন্দোলন কি গান্ধির অহিংস সত্যাগ্রহের আদর্শ মেনে চলেছিল? নৌ-বিদ্রোহকে স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ হিসাবে কীভাবে তুমি ব্যাখ্যা করবে?
উঃ। ভারত ছাড়ো আন্দোলন অহিংস আন্দোলন রূপে শুরু হয়েছিল। অহিংস পদ্ধতিতে আন্দোলন শুরু করলেও শেষ পর্যস্ত মহাত্মা গান্ধির অহিংস সত্যাগ্রহের আদর্শ সবসময় টিকে ছিল না। গান্ধি নিজেই 'করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে' ডাক দিয়ে
আন্দোলনের মেজাজ বদলে দিয়েছিলেন। ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলা, লাইন উড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছিল। হরতাল বিক্ষোভের পাশাপাশি নানা জায়গায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছিল। বিভিন্ন অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা
সম্পূর্ণ অচল করে দেওয়া হয়। এমনকি কয়েকটি অন্যলে আন্দোলনকারীরা 'জাতীয় সরকার' তৈরি করেছিলেন।
১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত নৌ বিদ্রোহ অবশ্যই ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ। ভারত ছাড়ো আন্দোলন, আজান হিন্দ ফৌজের কার্যাবলী, সেনানায়কদের দিল্লিতে বিচারের নামে প্রহসন এই সবকিছুই ভারতীয় নৌসেনা, স্থলসেনা সবাইকেই কম বেশি প্রভাবিত করেছিল। তাই স্থলবাহিনী নিরস্ত্র সত্যাগ্রহীদের উপর গুলি চালাতে অস্বীকার করে। নৌসেনারা ইংরেজদের অত্যাচার, বৈষম্য মেনে নিতে অস্বীকার করে শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহে অংশ নেয়। ভারতের সাধারণ মানুষ বিদ্রোহীদের পাশে এসে দাঁড়ায়। সেনা ও সাধারণ মানুষ একযোগে ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এই অভূতপূর্ব দৃশ্য অন্য কোনো দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দেখা যায়নি। এককথায় এই আন্দোলন ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করেছিল। বস্তুত নৌ-বিদ্রোহই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অবসানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয়।
৫. (ক) কল্পনা করে লেখো : (২০০টি শব্দের মধ্যে)
ধরো তুমি অসহযোগ আন্দোলনে যোগদানকারী একজন সাধারণ