গাধার কান সপ্তম শ্রেণীর বাংলা (হাতে কলমে)অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
সপ্তম শ্রেণীর বাংলা
" গাধার কান"
শরবিন্দু বন্দোপাধ্যায়
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
হাতে-কলমে
১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ “শহরের মধ্যে বেশ একটু সাড়া পড়ে গেছে”—এই সাড়া পড়ার কারণ কী?
উঃ। শহরের দুটি নামী স্কুল টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের মধ্যে ফুটবল ম্যাচের কারণে সাড়া পড়ে গেছে।
১.২ “এই দুই স্কুলের ছেলেদের মধ্যে চিরকালের রেষারেষি”—কোন্ দুই স্কুলের কথা বলা হয়েছে?
উঃ। টাউন স্কুল ও মিশন স্কুলের কথা বলা হয়েছে।
১.৩ ‘হিঃ হিঃ—তুক করা হল না’—বত্তা কে? কাকে সে এ কথা বলেছে? কখন বলেছে?
উঃ। বক্তা হল টুনু। সে সমরেশকে এ কথা বলেছে। সমরেশ গাধা না-পেয়ে ফিরে এসে মাঠে নামবার সময় সে এই কথা বলেছে।
১.৪ গল্পে ফুটবল খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু শব্দ রয়েছে। যেমন—হাফ ব্যাক, রাইট-ইন, গোল-কিপার, সেন্টার , ফরোয়ার্ড, ব্যাক-এরিয়া ইত্যাদি। আরও কিছু শব্দ তুমি গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো। এ ছাড়াও নিজস্ব কিছু সংযোজনও করতে পারো।
উঃ। গল্পে আছে—রেফারি, ব্যাক, গোল, কর্নার, কিক, ফাউল, পেনাল্টি অফসাইড।
২. নীচের শব্দগুলি কোন্ মূল শব্দ থেকে এসেছে?
উঃ। ভুরু – ভ্রু।
গাধা – গর্দভ।
দুপুর – দ্বিপ্রহর।
চোখ – চক্ষু।
বাঁশি- বংশী।
পাঁচ – পঞ্চম।
৩. গদ-পরিবর্তন করো ঃ সন্দেহ, সজ্জিত, সর্বনাশ, উপস্থিত, মজবুত, শব্দ।
উঃ। সন্দেহ—সন্দেহজনক।
সজ্জিত—সজ্জা।
সর্বনাশ—সর্বনাশা।
উপস্থিত—উপস্থিতি।
৪. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
উঃ। রেষারেষি—মিটমাট।
ক্ষীণ—স্থূল।
বিষণ্ণ—আনন্দিত।
বিষম—সুষম।
উৎসাহ— নিরুৎসাহ।
৫. সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
উঃ। আশ্চর্য=আঃ + চর্য।
দুশ্চিন্তা দুঃ + চিন্তা।
উপস্থিত—উপ + স্থিত।
-
৮. গল্প অনুসরণে নিজের ভাষায় লেখো :
৮.১ ‘আজকের খেলাটা যে খুব জমবে তাতে সন্দেহ নেই”—কোন্ বিশেষ দিনের কথা বলা হয়েছে? সে-দিনের সেই ‘খেলা’র মাঠের দৃশ্যটি নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উঃ। সে-দিন বলতে এখানে টাউন স্কুল এবং মিশন স্কুলের ফুটবল ম্যাচের বিশেষ দিনটির কথা বলা হয়েছে। সে দিন চারটে না বাজতে বাজতে সবাই মাঠের চারপাশে জমতে শুরু করে, মাঠের দুধারে কাতার দিয়ে দুটি দলের ছেলেরা দাঁড়ায়। দুপক্ষের খেলোয়াড়রা তখন মাঠে নামেনি, তারা সজ্জিত হচ্ছে।
৮.২ ‘সমরেশদা কোথায় গেছে”—এই সমরেশদার পরিচয় দাও। সে কোথায় কোন্ উদ্দেশ্যে গিয়েছিল? তার উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল কি?
উঃ। সমরেশদা হল টাউন স্কুলের ফুটবল টিমের হাফ-ব্যাক। সমরেশ শহরে একটা গাধার কান মলতে গিয়েছিল। তার বিশ্বাস এটি একটি তুক। এটি করলে তাদের দল খেলায় জিততে পারবে।
না, তার উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সারা দুপুর ধরে ঘুরে বেড়িয়েও ঘাটে, মাঠে এমনকি ধোপার বাড়িতেও একটিও গাধা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
৮.৩ ‘এই সময় মাঠে রেফারির বাঁশি বেজে উঠল’ –‘রেফারি’টি কে? তাঁর সম্পর্কে ছেলেদের ধারণা কীরূপ ছিল? খেলার মাঠে তিনি কেমন ভূমিকা পালন করলেন?
উঃ। রেফারি হলেন দিব্যেন্দুবাবু।
দিব্যেন্দুবাবু জিলিপি খেতে বড়ো ভালোবাসেন। তাঁর সম্পর্কে ছেলেদের ধারণা ,খেলা শুরুর আগে যে পক্ষ তাকে পেট ভরে জিলিপি খাওয়াবে তিনি তাদের জিতিয়ে দেবার চেষ্টা করেন।
খেলার মাঠে রেফারি দিব্যেন্দুবাবু মিশন স্কুলের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন।
একজন খেলোয়াড় টুনুর পায়ে বুটসুদ্ধ লাথি মারলেও দিব্যেন্দুবাবু পেনাল্টি দেওয়ার দলে টাউন স্কুলের বিরুদ্ধে অফসাইড দেন।
৮.৬ গল্পে বলা হয়েছে—আজ টুনুই আমাদের হিরো।'—তোমার টুনু চরিত্রটি কেমন লাগল? সত্যিই কি নায়কের সমান তার প্রাপ্য?
উঃ। টুনু চরিত্রটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। কারন গাধার কানমলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সে নিজে কানমলা খেয়েছে। তবুও মনের জোর নিয়ে সে বলেছে যে, কখখোনো তারা হারবে না। অবশ্যই তার নায়কের সম্মান। প্রাণা। সে সাহসী, কুসংস্কারমুক্ত, দলের প্রতি অনুগত এবং প্রতিজ্ঞা রক্ষায় অবিচল। মাঠে মার খেয়ে আঙুল ভেঙ্গে যাওয়া আর ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে সে এক আশ্চর্য খেলা খেলেছে এবং টাইন স্কুলকে জন উপহার দিয়েছে।
৮.৭ গিরীন কীভাবে খেলার মাঠে টুনুকে ক্রমাগত উৎসাহ আর সাহস জুগিয়েছিল তা আলোচনা করো।
উঃ। গিরীন টুনুকে নিজের চোট দেখিয়ে তার চোটের কথা ভুলিয়ে দিয়েছিল। তা ছাড়া গিরীশ টুনুকে বলেছিল যে, টুনুকে পারতেই হবে। একমাত্র সে-ই পারবে। এইভাবে গিরীন খেলার মাঠে টুনুকে উৎসাহ জুগিয়েছিল।