অষ্টম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা প্রথম অধ্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Sunday 15 September 2024

অষ্টম শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শারীরিক শিক্ষা প্রথম অধ্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 


          অষ্টম শ্রেণি
       স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা
               প্রথম অধ্যায়

অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর



Section - 1 :  Recap zone

১. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো :
(a) দক্ষতা সম্পর্কিত উপাদান – (পেশাশক্তি/নমনীয়তা/গতি/দেহ উপাদান)
 উঃ। গতি

(b) স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপাদান – (গতি/ভারসাম্য/পেশি সহনশীলতা/ক্ষমতা)
উঃ। পেশি সহনশীলতা।

(c) ১৯০৭ সাল থেকে পরপর তিনবার ট্রেডস কাপ জেতে – (ডালহৌসি / মোহনবাগান/কুমারটুলি) ক্লাব।
উঃ। মোহনবাগান ক্লাব।

২. বাঁদিকের সঙ্গে ডানদিকের অংশ মেলাও।
উত্তর:-
গতি      >  নুন্যতম সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্ব
প্রতিক্রিয়া সময়। >  নির্দেশ ও কাজ শুরুর মধ্যবর্তী সময়
নমনীয়তা    > অস্থিসন্ধির সঞ্চালন ক্ষমতা
ক্ষিপ্রতা    > শাটল রান



৩. রচনাধর্মী প্রশ্ন ঃ
(a) শারীরশিক্ষার লক্ষ্যগুলি বর্ণনা করো।
উঃ। শারীরশিক্ষার উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য হল ব্যক্তিসত্ত্বার পূর্ণবিকাশ। বুক ওয়াল্টার এর সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন এর উদ্দেশ্য হল সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মান অনুসারে পরিচালিত সঠিক পথ প্রদর্শক নির্দেশাবলি এবং নির্বাচিত অখণ্ড শারীরিক ক্রিয়াবলি; ছন্দময় কার্যক্রম ও জিমনস্টিকস কার্যক্রমের মাধ্যমে শারীরিক, সামাজিক এবং মানসিকভাবে পরিপূর্ণ ও সুবিন্যস্ত মানুষের বিকাশ ঘটানো। বলা যেতে পারে শারীরশিক্ষার বিভিন্ন কার্যসূচির দ্বারা মানুষের শারীরিক, মানসিক প্রাক্ষোভিক, সামাজিক, বৌদ্ধিক ও নান্দনিক গুণাবলির বিকাশ ঘটানো যার দ্বারা ব্যক্তি সমাজে সুস্থ সবলভাবে বাঁচতে ও সুনাগরিক রূপে পরিচিত লাভ করতে পারে।


(b) আধুনিক জীবনে শারীরশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করো।
উঃ। সুপ্রাচীন কাল থেকে মানুষ শারীরশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিয়েছে। ব্যক্তিজীবনে ও সমাজ জীবে শারীরশিক্ষার একটি বিশেষ ভূমিকা ও অবদান আছে। বলা যেতে পারে শারীরশিক্ষা হল ছুটন্ত ঘোড়ার মতো, যা শরীর ও মনকে জীবনপথে সমান তালে এগিয়ে নিয়ে চলে। শারীরশিক্ষার ক্রীড়াকৌশল ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে একজন মানুষে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশ ঘটিয়ে তাকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলি  কার্যকারিতা বৃদ্ধি, স্নায়ু ও পেশির সমন্বয়ে উন্নত দক্ষতা অর্জনে সর্বজনগ্রাহ্য ব্যবহারবিধি আয়ত্ত করা। খেলাধূলা ও।বিনোদনের মাধ্যমে সারাদিনের কাজে হারানো শক্তির পুনরুদ্ধার – এসবই হলো শারীরশিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তা। শারীরশিক্ষার প্রয়োজনীয়তার দিকগুলি হল জৈবিক, মানসিক, সামাজিক ও সুস্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা। শারীরশিক্ষার দ্বারা শিশুর সর্বাঙ্গীন বিকাশ, বৃদ্ধি, বৌদ্ধিক গুণাবলির বিকাশ, মূল্যবোধ তথা নেতৃত্বদান ও গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ, সৃজনশীলতা, জাতীয় সংহতি রক্ষা ও আন্তর্জাতিক বোঝাপড়া প্রভৃতি জ্ঞান সঞ্চারিত হয়।


(c) শারীরিক সক্ষমতায় উপাদান কাকে বলে? উপাদানগুলির নাম লেখো।
উঃ। শারীরিক সক্ষমতা হলো কাজ করার ক্ষমতা যা ব্যক্তির পেশির সঙ্গে সম্পর্কিত। এর সাহায্যে ব্যক্তি তার দৈনন্দিন কাজে ক্লান্ত না হয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে পারে এবং কাজ শেষ হওয়ার পরেও তার মধ্যে কাজ করার মানসিকতা ও শক্তি বজায় থাকে।
শারীরিক সক্ষমতার উপাদান গুলিকে দুভাগে ভাগ করা যায়। (i) স্বাস্থ্য সম্পর্কিত উপাদান, (ii) দক্ষতা সম্পর্কিত উপাদান।
 (d) শারীরিক সক্ষমতার দক্ষতা সম্পর্কিত উপাদানগুলির নাম লেখো এবং যে-কোনো দুটি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।
b) উঃ। শারীরিক সক্ষমতার দক্ষতা সম্পর্কিত উপাদানগুলি ছয়টি ভাগে বিভক্ত। (i) গতি (ii) ক্ষিপ্ৰতাঁ (iii) প্রতিক্রিয়া সময়
(iv) ক্ষমতা (v) সমন্বয়সাধন ও (vi) ভারসাম্য।

গতি ঃ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দ্রুত সঞ্চালনের সক্ষমতাকে গতি বলা হয়। গতিসঞ্চালন মূলক কার্যাবলির জন্য গতির একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। যে কোনো স্বল্পপাল্লার দৌড়ে গতির বিশেষ প্রয়োজন হয়।

ক্ষিপ্রতা ঃ খুব দ্রুততার সঙ্গে শরীরের দিক পরিবর্তনের সক্ষমতাকে আমরা ক্ষিপ্রতা বলে থাকি। গতি সঞ্চালনমূলক খেলাধূলায় ক্ষিপ্রতার একটি ভূমিকা রয়েছে। সমস্ত ধরনের বলগেম, খো-খো, কাবাডি খেলা, শাটল রান ইত্যাদির ক্ষেত্রে
ক্ষিপ্রতার প্রয়োজন হয়।

(e) স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার উপাদানগুলি কী কী ?
উঃ। সুস্থ, সবল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপনে শারীরিক সক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শারীরিক সক্ষমতার উপাদানগুলিকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। (i) পেশিশক্তি, (ii) পেশি সহনশীলতা, (iii) দেহ উপাদান, (iv) হৃদ-শ্বসনতান্ত্রিক সহনশীলতা এবং (v) নমনীয়তা।

(f) শারীরিক সক্ষমতার উপযোগিতা ব্যক্ত করো।
উঃ। শারীরিক সক্ষমতা প্রত্যেক মানুষের জীবনে একটি মূল্যবান সম্পদ। সুস্থ, সবল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনে শারীরিক সক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শারীরিক সক্ষমতার মূল উৎস হলো ব্যায়াম। সঠিক পদ্ধতিতে শরীরচর্চা ও বিজ্ঞানসম্মত অনুশীলনে এর উপকারিতা লাভ করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্যের বিকাশ
(i) শরীরের অভ্যন্তরীণ যন্ত্র ও তন্ত্রগুলির উন্নতি যেমন- ফুসফুস, হূৎপিণ্ড, পরিপাকতন্ত্র,
(ii) শ্বসনতন্ত্র, পেশিতন্ত্র ইত্যাদি।
(iii) পেশির শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি।
(iv) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ।
(v) গতিহীনতার রোগ হতে মুক্তি।
(vi) বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী সঠিক ওজন বৃদ্ধি হওয়া।


শারীরিক বিকাশ
(i) সৌন্দর্যমণ্ডিত দেহভঙ্গি লাভ ।
(ii) শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ।

সামাজিক বিকাশ
(i) দারিদ্র্য দূরীকরণ ঘটে।
(ii) সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের উন্নতি ঘটে।


মানসিক বিকাশ
(i) যে-কোনো পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি।
(ii) দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।


(g) ১৯১১ সালের আই এফ এ শিল্ডের ফাইনাল খেলা সম্বন্ধে তুমি যা জানো লেখো।
টা। ১৯১১ সালের আই এফ এ শিল্ডের ফাইনাল খেলায় মোহনবাগান এবং ইস্ট ইয়র্ক অংশগ্রহণ করে। এই ফাইনাল খেলার হারজিতের সঙ্গে ভারতীয়দের জাতীয় সম্মান তথা বাঙালির আত্মসম্মান জড়িয়ে গিয়েছিল। সকল মোহনবাগান
খেলোয়াড়রা দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছিল। বাংলায় এই ফাইনাল খেলা নিয়ে অদ্ভুত এক প্রাণচপলতা ও উন্মাদনা জেগে উঠেছিল।ফাইনাল খেলার প্রথমাসে ইস্ট ইয়র্ক-এর খেলোয়াড়, জ্যাকসনের বাড়ানো গোলমুখী কিক সুকুলের
গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। সাহেব দর্শকরা আনন্দে মোহনবাগান খেলোয়াড়দের কুশপুতুল তুলে ধরল এবং কাগজের শিশু হাতে নিয়ে নাচতে লাগল। সাহেবদের এই ব্যাঙ্কা-টিটকিরিতে গোটা মোহনবাগান দলটা যেন জ্বলে উঠল। হাফটাইম এর পর মোহনবাগানের মুহুর্মুহু আক্রমণ শুরু হল। এরপর শিবদাস ভাদুড়ী বিপক্ষ দলের গোলের সামনে একটা বল পেয়ে বলটাকে সজোরে গলিয়ে দিলেন গোলপোস্টের মধ্যে এবং গোলশোধ হল মোহনবাগানের খেলা শেষের আর কয়েক মিনিট যখন বাকি তখনই মোহনবাগানের খেলোয়াড় অভিলাষ ঘোষ বিপক্ষের গোলে বল ঠেলে
দিলেন। জয়ের আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠল সকল বাঙালি। মোহনবাগানের শিশু জয়ে সমগ্র বাংলা বিজয় উৎসবে মুখরিত হয়ে উঠল। খেলার মাঠে মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা জাতীয়তাবোধ ছড়িয়ে দিতে সফল হয়েছিলেন। মোহনবাগানের শিশু জয় ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনুঘটকের কাজ করেছিল। ইস্ট-ইয়র্ককে হারিয়ে মোহনবাগান ক্লাব দেশের মানুষের মনে দেশাত্মবোধ ও বৈপ্লবিক চেতনা জাগিয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছিল।



(h) ১৯১১ সালে ঐতিহাসিক আই এফ এ শিল্ড জয়ী মোহনবাগান খেলোয়াড়দের নাম লেখো।
উঃ ১৯১১ সালে আই.এফ.এ শিশু মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা হলেন গোলে : হীরালাল মুখার্জী, ব্যাক ঃ এস সুকুল ও সুবীর চ্যাটার্জী। হাফব্যাক ঃ মনমোহন মুখার্জী, রাজেন সেনগুপ্ত ও নীলমাধব ভট্টাচার্য। ফরোয়ার্ডেঃ যতীন রায়, হাবুল সরকার, অভিলাষ ঘোষ, বিজয়দাস ভাদুড়ী ও শিবদাস ভাদুড়ী।



৪. শূন্যস্থান পূরণ করো ও
(a) শারীরশিক্ষার লক্ষ্য ব্যক্তিসত্তার....... ।
উত্তর-পূর্ণবিকাশ


(b) শারীরিক সক্ষমতা যাদের উপর নির্ভরশীল তাদের শারীরিক সক্ষমতার – বলে
উত্তর:-উপাদান

(c) দ্রুততার সঙ্গে দিক পরিবর্তনের ক্ষমতা নির্ভর করে....... উপর।
উত্তর-ক্ষিপ্রতার

(d) 50 মিটার দৌড়...... নির্দেশ করে।
উত্তর- ব্যক্তিগত ক্রীড়া

 (e) সুষম খাদ্য ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ যন্ত্র ও ......সুস্থ রাখে।
উত্তর-পেশিকে
(f) প্রতিদিন শারীরিক ক্রিয়াকলাপে--- বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রগুলির উপর প্রভাব বিস্তার করে।
উত্তর- স্বাস্থ্যের বিকাশ।

 (g) অস্থিসন্ধির সর্বোচ্চ সঞ্চালনের ক্ষমতা নির্ভর......উপর।
উঃ। নমনীয়তার।




৫. বাঁ দিকের সাথে ডানদিকের সম্পর্ক নির্ণয় করো :

উত্তর-
বাঁদিক                         ডানদিক
১৮৫৪              > হাওয়া ভরতি চামড়ার বলে কলকাতার ফুটবল খেলা শুরু ।
 নগেন্দ্র প্রসাদ > বয়েজ স্পোটিং ক্লাব
জীতেন্দ্র কৃষ্ণ দেব > শোভাবাজার ফুটবল ক্লাব
মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাব > ভূপেন্দ্রনাথ বসু
ডালহৌসি ক্লাব > ১৯০৫ সালে আই এফ. এ শিল্ড নিয়েছিল