অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস আঁট অধ্যায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
অষ্টম শ্রেণী
ইতিহাস
আট অধ্যায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন- কার উদ্যোগে এবং কেন সিমলা বৈঠক বার্থ হয় ?
উঃ। মুসলিম লিগ ভারত বিভাজনের দাবিতে অনড় থাকার তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড ওয়াভেল ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাডেল প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা এবং কাংগ্রেস ও মুসলিম লিগ-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্থাপনের জন্য সিমলা বৈঠক আহ্বান করেন। কিন্তু জিন্নাহর অনড় মনোভাবের জন্য এই বৈঠক ব্যর্থ হয়।
প্রশ্ন-লাহোর অধিবেশনের গুরুত্ব কী ছিল?
উঃ। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশগুলিকে নিয়ে মুসলমানদের জন্যে একটি পৃথক সার্বভৌম মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের দাবি উত্থাপিত হয়। এটি লাহোর
প্রস্তাব নামে পরিচিত। তবে এই প্রস্তাবে 'পাকিস্তান' কথাটির উল্লেখ না থাকলেও এটি পরবর্তীকালে 'পাকিস্তান প্রস্তাব' নামে পরিচিত হয়।
প্রশ্ন- সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা কী ?
উঃ। ভারতে ব্রিটিশ শাসনকে সুদৃঢ় করতে এবং প্রদেশের ধর্ম ও বর্ণগত বিভেদকে প্ররোচনা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট আইনসভার নির্বাচনে সম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য বিধানমণ্ডলীতে কিছু আসন বরাদ্দ করেন। যা সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নামে পরিচিত। এই নীতি অনুসারে ভারতীয় মুসলিম শিখ, ভারতীয় খ্রিস্টান, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান প্রভৃতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আইনসভায় পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়, ব্রিটিশ সরকারের এই নীতির ফলে তৎকালীন ভারতে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বৃদ্ধি পায়৷
প্রশ্ন- প্রত্যক্ষ সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়?
উঃ। লর্ড ওয়াভেল সাংবিধানিক বিধি মেনে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসকে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনে আহ্বান জানান। ক্যাবিনেট মিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী কংগ্রেস সরকারে যোগ দিলেও মুসলিম লিগ তাতে অসম্মত হয়। কংগ্রেসের নির্বাচনে চমকপ্রদ সাফল্য ও লিগের ভরাডুবিতে হতাশাগ্রস্ত জিন্নাহ্ নিজের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের আহ্বান জানান। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট দিনটি থেকে পাকিস্তানের জন্য গণ আন্দোলন শুরু হয়। ওই দিনে কলকাতায় ভয়াবহ দাঙ্গা শুরু হয় কিছুদিনের মধ্যেও পূর্ববঙ্গ, বিহার, যুক্তপ্রদেশ, পাঞ্জাব প্রকৃতি জায়গায় মারাত্মক সংঘর্ষ শুরু হয়। যা জিন্নাহ্র রাজনৈতিক লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করেছিল।
.প্রশ্ন- দি ইন্ডিয়ান ইনডিপেন্ডেন্ট অ্যাক্ট কবে পাশ হয় ?
উঃ। ১৯৪৭ সালের ৪ জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দি ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্টস অ্যাক্ট পাস হয় এবং ১৮ জুলাই তা সম্মতি লাভ করে আইনে পরিণত হয়। এই আইনে বলা হয় যে, ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হবে এবং দেশীয় রাজ্যগুলি তাদের ইচ্ছামতো যে কোনো ডোমিনিয়নে যোগ দিতে পারবে।
প্রশ্ন- মুসলমানদের একটা অংশ কীভাবে হিন্দুদের থেকে আলাদা একটি সংগঠিত সম্প্রদায় হিসেবে ভাবতে শুরু করে ?
উঃ। উনিশ শতকের শেষ দিকেও ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমান সম্প্রদায় বলে নির্দিষ্ট কোনো বিষয় বোঝাত না।
অঞ্চলভেদে মুসলমানদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও জীবনযাপনের তারতম্য ছিল এবং বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানদের মধ্যে জনসংখ্যার হারও সমান ছিল না। বাংলা ও পাঞ্জাবে যেমন মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই ছিল মুসলমান। কিন্তু ঔপনিবেশিক
সরকার মুসলমানদের মধ্যে যাবতীয় বৈচিত্র্য ও তারতম্যকে মুছে দিয়ে ভারতের সমস্ত মুসলমানকে একটি ধর্মসম্প্রদায় বলে চিহ্নিত করতে থাকে। এর ফলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সংস্কৃতিক পরিচয়ের বদলে ধর্মীয় পরিচয়ই মুসলমানদের ক্ষেত্রে প্রধান পরিচয় হয়ে ওঠে। তার ফলে মুসলমানদের একটা অংশ ব্রিটিশ শাসকের মতো করেই নিজেদের হিন্দুদের থেকে আলাদা একটা সংগঠিত সম্প্রদায় হিসেবে ভাবতে শুরু করে।
প্রশ্ন- সৈয়দ আহমদ কেন জাতীয় কংগ্রেসের বিরোধিতা করেন? সব মুসলমান সম্প্রদায় কি
সৈয়দ আহমদের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছিলেন ?
উঃ। স্যার সৈয়দ আহমদ জাতীয়তা বিরোধী মানুষ ছিলেন না। কিন্তু জাতি বিষয়ে তাঁর ভাবনার সঙ্গে কংগ্রেসের অমিল ছিল। তিনি মনে করতেন যে কংগ্রেস আসলে সংখ্যাধিক্য হিন্দুদের প্রতিনিধি সভা। তাই তিনি জাতীয় কংগ্রেসের সরাসরি বিরোধী ছিলেন। তিনি মুসলিমদের জাতীয় কংগ্রেসে
যোগ না দিতে উপদেশ দেন।
উত্তর ভারতীয় মুসলমান সম্প্রদায়রা সৈয়দ আহমদের নেতৃত্ব মেনে নেননি। মুসলিম নেতা বদরুদ্দিন তৈয়াবজি জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সৈয়দ আহমদের পাশ্চাত্যকরণের বিষয়টি উলেমারা কখনোই পছন্দ করেননি।
প্রশ্ন-. গান্ধিজি কীভাবে খিলাফৎ আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে আসেন ?
উঃ। গান্ধিজি হিন্দু মুসলিম ঐক্যে বিশ্বাসী ছিলেন, তাই তিনি মুসলিম নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে গান্ধি খিলাফৎ আন্দোলনের সমর্থনে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। ওই বছরেই মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার বিধিতে
হিন্দু-মুসলমান সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি অগ্রাহ্য করা হলে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন সাংবিধানিক রাজনীতিতে বিশ্বাস হারান। এর ফলে মুসলিম লিগের নেতৃত্বেও পরিবর্তন ঘটে। এই অবস্থায় গান্ধিজি মুসলমান জনগোষ্ঠীর মধ্যে
কংগ্রেসের ভিত্তি প্রসারিত করতে খিলাফত সমস্যাকে অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের অন্যতম দাবিরূপে অন্তর্ভুক্ত করে নেন। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয় খিলাফত কমিটি গাণির প্রস্তাবকে সমর্থন করায় গান্ধিজি ও খিলাফতিরা একযোগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার কর্মসূচি প্রচার করা শুরু করেন।
প্রশ্ন- কোন ঘটনাকে 'সাম্প্রদায়িকতা' বলে ব্যাখ্যা করা হয়। এই তত্ত্ব কি ইতিহাসগত ভাবে সঠিক ?
উ। উগ্র হিন্দু মতামত কংগ্রেসের মধ্যে প্রাধান্য পেলে স্বরাজ্যপন্থী নেতারাও হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হন। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও পাঞ্চাবে কংগ্রেসের মধ্যে কোনো মুসলমান প্রার্থী ছিল না। এর প্রভাব লক্ষ্য করা যায় আইন অমান্য আন্দোলনে মুসলমানদের কম অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে। জাতীয় আন্দোলন থেকে মুসলমানদের পুরে
থাকার এই প্রবণতাকেই 'সাম্প্রদায়িকতা' বলে ব্যাখ্যা করা হয়। এই ঘটনা একটু খুঁটিয়ে দেখলে বোঝা যায় যে ১৯৩০-এর দশকেও রাজনৈতিক দিক থেকে মুসলমানদের মধ্যে আলাপ আলাপ অবস্থান ছিল। তাই মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা বলে নির্দিষ্ট অবস্থানকে চিহ্নিত করা ইতিহাসগতভাবে সঠিক নয়।
প্রশ্ন- ঔপনিবেশিক শাসনে মুসলমান সমাজ কীভাবে পিছিয়ে পড়েছিল।
উঃ ব্রিটিশ প্রশাসন ভারতে একটি ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থা আপাতভাবে চালু করেছিল। সরকারি চাকরি, শিক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়কে গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বলা হতো। কিন্তু সরকার কার্যত সুযোগসুবিধার ক্ষেত্রে ধর্মীয় পরিচয়কেই বড়ো করে দেখত। ফলে হিন্দু ও মুসলমান এই দুই সম্প্রদায়ের সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে প্রশাসনের বিভাজন নীতি প্রকট হতো। বিভাজনের এই প্রক্রিয়া ইংরেজি শিক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রকট হয়েছিল। ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে ফারসির বদলে সরকার ইংরেজি ভাষাকে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে ইংরেজি শিক্ষার হার ছিল কম। এর ফলে সরকারি চাকরি ও অন্যান্য সুযোগসুবিধার ক্ষেত্রে মুসলমানরা ক্রমেই পিছিয়ে পড়তে থাকে। এই কারণে উনিশ শতকের শেষদিক থেকে মুসলমানদের মধ্যে একটা ধারণা গড়ে উঠতে থাকে যে তারা হিন্দুদের থেকে বর্ণিত। এই সময় মুসলমানদের স্বার্থ বলে যা প্রচার করা হতো তা আসলে ছিল শিক্ষিত মুসলমানদের স্বার্থ। বিশেষ করে দেশ তথা বাংলার মতো অঞ্চলে বিরাট
সংখ্যক গরিব ও নিরক্ষর মুসলমান কৃষকদের ভালোমন্দ ওই স্বার্থচিন্তার মধ্যে থাকত না।
প্রশ্ন- পাকিস্তান প্রস্তাব কী? এই প্রস্তাব কীভাবে বিস্তার লাভ করে ?
উঃ ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে মহম্মদ আলি জিন্নাহের সভাপতিত্বে মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক স্বশাসিত রাষ্ট্রের প্রস্তাব করা হয়। এই প্রস্তাবই 'পাকিস্তান প্রস্তাব' নামে পরিচিত।
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বিরোধিতা করে মুসলিম লিগ। সেই সময় প্রায় সব কংগ্রেস নেতাই জেলে বন্দি ছিলেন। এই সময়ই পাকিস্তানের ধারণাটিকে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। প্রকাশ্যেই বলা হতে থাকে মুসলিম লিগকে সমর্থন করার অর্থ ইসলামকে সমর্থন করা। বহু মুসলমান নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র পাকিস্তান গঠনের দাবীকে সমর্থন জানাতে থাকে। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেস নেতা রাজাগোপালচারী জিন্নাহর
কাছে একটি সমঝোতা পত্র পেশ করেন কিন্তু তাতে পাকিস্তানের স্বীকৃতি না থাকায় জিন্নাহ ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে সিমলা অধিবেশনে লিগ নিজেদের সমস্ত ভারতীয় মুসলমানদের প্রতিনিধি বলে দাবি করে। লর্ড ওয়াভেলের সভাপতিত্বে লিগ ও কংগ্রেসের মধ্যে সিমলা বৈঠকে সমতার দাবিতে জিন্নাহ্ অনড় থাকায় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। মুসলিম জনগণের বিভিন্ন অংশের মানুষদের কাছ থেকে আলাদা হবার প্রচারে সাড়া পাওয়া যেতে থাকে। পেশাদার ও ব্যবসায়ী গোষ্ঠীদের কাছে পাকিস্তানের। মহম্মদ আলি জিন্নাহ
অর্থ ছিল হিন্দুদের তরফ থেকে প্রতিযোগিতার অবসান। এর পাশাপাশি পিরও উলেমাও পাকিস্তান
প্রস্তাবকে সমর্থন ও ধর্মীয় বৈধতা দেয়।
প্রশ্ন- মুসলমান সমাজে মুসলিম লিগের গ্রহণযোগ্যতা কীভাবে বেড়ে ওঠে?
উঃ। ভারতীয় উপমহাদেশে সমস্ত ধরনের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব মুসলিম লিগ কখনোই করতে না। বাংলায় এ.কে. ফজলুল হক এর কৃষক প্রজা পার্টি নীচু জাতির হিন্দু ও মুসলমান উভয় কৃষকদের
প্রশ্ন-১. কংগ্রেসে যোগদানকারী একজন মুসিলম নেতার নাম লেখো।
উঃ। বদরুদ্দিন তৈয়াবজি।
২. উলেমারা সৈয়দ আহমদের কোন নীতিকে পছন্দ করেননি ?
উঃ সৈয়দ আহমদের পাশ্চাত্যকরণের নীতিটিকে উলেমারা কখনো পছন্দ করেননি।
৩. কত খ্রিস্টাব্দে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের মৃত্যু হয়।
উঃ। ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের মৃত্যু হয়।
৪. বিংশ শতকের শুরুতে কারা উলেনাদের দ্বারা গভীর ভাবে প্রভাবিত হন?
উঃ মহম্মদ আলি ও সৌকত আলি উলেমাদের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হন।
৫. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার রচয়িতা কে?
উঃ ভি. পি নেন।
৬. কত খ্রিস্টাব্দে কোথায় মহামেডান এডুকেশন কনফারেন্স-এর অধিবেশন হয় ?
উঃ। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় মহামেডান এডুকেশন কনফারেন্স-এর অধিবেশন হয়।
৭.কত খ্রিস্টাব্দে ভারত বিভাগের পরিকল্পনা কংগ্রেস ও লিগ মেনে নেয় ?
উঃ। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে লর্ড মাউন্টব্যাটেন-এর ভারত বিভাগের পরিকল্পনা কংগ্রেস ও লিগ মেনে নেয়।
৮. কত খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশন বসে?
উঃ। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশন বসে।
৯. কত খ্রিস্টাব্দে কাদের প্রস্তাব লিগ ও কংগ্রেস উভয়েই মানতে অস্বীকার করে?
উঃ ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ক্রিপস মিশনের প্রস্তাব।
১০.১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে কোন কংগ্রেসি নেতা কার কাছে একটি সমঝোতা প্রস্তাব পেশ করেন ?
উঃ - ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসি নেতা সি রাজাগোপালাচারী জিন্নাহর কাছে একটি সমঝোতা প্রস্তাব পেশ করেন।
১১. কত খ্রিস্টাব্দে সিমলা অধিবেশন বসে? উঃ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে সিমলা অধিবেশন বসে।
১২. মুসলিম লিগের লাহোর প্রস্তাবের খসড়া কে রচনা করেন ?
উঃ সিকান্দর হায়াৎ খান।
১৩.. কত খ্রিস্টাব্দের কোন তারিখে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুই স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয় ?
উঃ। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান ও ১৫ আগস্ট ভারত নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
১৪.. কাকে 'খলিফা বা মুসলিম জগতের ধর্মগুরু' মনে করা হয়? কবে এই পদের অবসান ঘটে?
উঃ। তুরস্কের সুলতানকে। ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে তুরস্কের খলিফা পদের অবসান ঘটে।
১৫.কত খ্রিস্টাব্দ থেকে গান্ধিজি কোন আন্দোলনের সমর্থনে সোচ্চার হয়ে ওঠেন?
উঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে গান্ধিজি খিলাফত আন্দোলনের সমর্থনে সোচ্চার হয়ে ওঠেন।
১৬. কত খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়?
উঃ ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ আন্দোলন তুলে নেওয়া হয়।
১৭.কে স্বরাজ্য পন্থীদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় উৎসাহী ছিলেন?
উঃ। মহম্মদ আলি জিন্নাহ।
১৮. কত খ্রিস্টাব্দে বাংলা ও পদ্মাবে কংগ্রেসের মধ্যে কোন মুসলমান প্রার্থী ছিল না?
উঃ। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে।
১৯. 'সম্প্রদায়িকতা কী? ।
উঃ- জাতীয় আন্দোলনের থেকে মুসলমানদের সরে থাকার প্রবণতাকেই 'সাম্প্রদায়িকতা' বলে।
২০. ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে কার ঘোষণায় সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার কথা বলা হয় ?
উঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রামেন ম্যাকডোনাল্ড-এর ঘোষণায়।