মায়াতরু | পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | হাতে কলমে | অনুশীলনী প্রশ্নের - Online story

Thursday, 24 October 2024

মায়াতরু | পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | হাতে কলমে | অনুশীলনী প্রশ্নের

 




পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
মায়াতরু
অশোক বিজয় রাহা
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর


১. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ তোমার চেনা এমন দুটি গাছের নাম লেখো অন্ধকারে যাদের দেখলে মনে হয় যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে।
উত্তর : আমার চেনা দুটি গাছের নাম হল জাম গাছ ও খেজুর গাছ। অন্ধকারে যাদের দেখলে মনে হয় যেন মানুষের মতো হাত নেড়ে ডাকছে।


১.২ দুই বন্ধু আর ভাল্লুককে নিয়ে যে গল্পটি আছে তা তোমরা শুনেছ। যদি না শুনে থাক, তাহলে শিক্ষকের থেকে জেনে নিয়ে গল্পটি নিজের খাতায় লেখো।
উত্তর ঃ রমেশ এবং পরেশ দুজন বন্ধু ছিল। একদিন ওরা দুজনে বেড়াতে বেরোল। পথ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যেতে হত। দুজনে জঙ্গলের মধ্যে অনেকটা দূর চলে গেল।
এই সময় একটা ভালুক বেরোল। আস্তে আস্তে ভালুক ওদের কাছে এগিয়ে আসতে লাগল। জঙ্গলে পালাবার কোনো উপায় ছিল না। প্রাণ বাঁচাবার জন্য ওদের মধ্যে একজন তাড়াতাড়ি দৌড়ে একটা গাছের ওপর উঠে পড়ল। সে নিজের বন্ধুর কথা চিন্তা করল না। দ্বিতীয়জন মাটিতে মরার মতো পড়ে রইল।
ভালুক ওর নাক-কান শুঁকে চলে গেল। দ্বিতীয় জন বেঁচে গেল। ভালুকটা চলে যাবার পরে প্রথম বন্ধু গাছ থেকে নামল। সে দ্বিতীয় জনকে জিজ্ঞাসা করল – ভাই, ভালুকটা তোর কানে কী বলল?
দ্বিতীয়জন বলল, ভালুক বলেছে—বিপদের সময় পালিয়ে যাওয়া বন্ধুর সঙ্গে আর কখনো থাকবে না।



১.৩  নানারকম রঙিন মাছ তুমি কোথায় দেখেছ ?
উত্তর : চিড়িয়াখানায় আমি নানারকম রঙিন মাছ আমি অ্যাকুইরিয়াম-এ দেখেছি।

১.৪  ভোরের আলো তোমার কেমন লাগে? তখন তোমার কোথায় যেতে ইচ্ছে করে?
উত্তর : ভোরের আলোর মধ্য দিয়ে একটি নতুন দিনের সূচনা হয়। ভোরের আলো খুব স্বচ্ছ, নির্মল। তাই ভোরের আলো আমার খুব ভালো লাগে।
ভোরবেলা খোলা আকাশের নীচে, মাঠে অথবা নদীর ধারে যেতে আমার ইচ্ছে করে।


১.৫ আলোয় এবং অন্ধকারে একই গাছের দুরকম চেহারা তোমার চোখে কীভাবে ধরা পড়ে?
উত্তর : গাছে আলো পড়লে তা ঝলমল করে ওঠে। তার ওপর যদি এক পশলা বৃষ্টি হয় তবে পাতার ওপর বৃষ্টির জলবিন্দুগুলি আলোর ঝলকানিতে হিরার মতো ঝলমল করে। আবার সেই গাছটির ওপর অন্ধকার নেমে এলে কালো ছায়া সৃষ্টি করে যা রাতেরবেলায় দেখলে অনেকসময় আমাদের ভয় করে।
২. ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
উত্তর-
       'ক'স্তম্ভ         ক'স্তম্ভ
         গাছ          >  বৃক্ষ
          বন        >  অরণ্য
         ভূত         > অশরীরী
         ঝালর      >  পর্দা
          কম্প    > কাপুনি



৩. কবিতা অবলম্বনে শূন্যস্থান পূরণ করো :
৩.১  এক যে ছিল ........।
উত্তর : এক যে ছিল গাছ।
৩.২  বিষ্টি হলেই আসত........কম্প দিয়ে......।
উত্তর : বিষ্টি হলেই আসত আবার কম্প দিয়ে জ্বর।
৩.৩ .......হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ .....মাছ।
উত্তর ঃ মুকুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হিরার মাছ
৩.৪ ....... পশলার.......I
উত্তর : এক পশলার শেষে।

৩.৫ বনের মাথায় ঝিলিক মেরে........ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে........ করত সে .....।
উত্তর : বনের মাথায় ঝিলিক মেরে চাঁদ উঠত যখন ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গরগর।




৪. কবিতাটি অবলম্বনে একটি গল্প তৈরিকরো ঃ

একটি গাছ ছিল সন্ধে হলেই.......। আবার কখনও হঠাৎ বনের.......। যখন বৃষ্টি শেষ হয়ে যেত.......।ভোরবেলায় কত কী যে.......আর যখন সকাল হত.....I


উত্তর : একটি গাছ ছিল সন্ধে হলেই ভূতের নৃত্য শুরু করত। আবার কখনও হঠাৎ বনের মাথায় চাঁদের আলো পড়েগাছগুলি ঝলমল করত। যখন বৃষ্টি শেষ হয়ে যেত গাছের পাতায় বৃষ্টির জলবিন্দুগুলি হিরার টুকরো মনে হত।ভোরবেলায় কত কী যে ঘটত সবই আবছা আলোয় এলোমেলো হয়ে যেত আর যখন সকাল হত তখন সুর্যের আলো পড়ে রূপালি ঝালরের মতো গাছটা ঝিকমিক করত।


৫ শব্দগুলির অর্থ লিখে তা দিয়ে বাক্যরচনা করো :
ঝাঁক, ঝিলিক, ঘাড়, মুকুট, ঝিকিমিকির।
উত্তর : ঝাঁক—(দল) – আকাশে এক ঝাক বালিহাঁস উড়ে গেল।
ঝিলিক—(হঠাৎ চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া) –  আকাশে বিদ্যুতের ঝিলিক দেখে মনে হচ্ছে বৃষ্টি হবে।
ঘাড় – (কাঁধ) – ঘাড়ে মাল বইলে  ব্যথা করবে।
মুকুট—(মাথায় পরা অলংকারযুক্ত টুপি)—সম্রাট আকবর মুকুট পরে রাজ সভায় বক্তব্য করতেন।
ঝিকিমিকির—(ঝিকিমিকি) – রাতেরবেলায় জোনাকির আলো দেখা যায়।

৬. কোনটি কী জাতীয় শব্দ শব্দঝুড়ি থেকে বেছে নিয়ে আলাদা করে লেখো ঃ
শব্দঝুড়ি : গাছ, যে, বা, রুপালি, জুড়ত, তুলে, হয়ে, ঝিকিমিকি, লক্ষ, সে, কম্প, জ্বর

উত্তর-বিশেষ‍্য-
গাছ
লক্ষ
জ্বর

বিশেষণ-
রুপালি
ঝিকিমিকির
কম্প


সর্বনাম-
সে


ক্রিয়া-
জুড়ত
তুলে
হয়ে



অব্যয়-
যে
বা


৭. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো

সন্ধে, হঠাৎ, শেষে, হেসে, আলো।
উত্তর : সন্ধ্যে- সকালে।
 হঠাৎ-সর্বদা।
শেষে শুরুতে।
হেসে কেঁদে।
আলো-ছায়া।



৮. সমার্থক শব্দ লেখো
গাছ, ভূত, বন, বিষ্টি, মাছ, টা।
উত্তর : গাছ- বৃক্ষ
 ভূত—অপদেবতা।
বন -অরণ্য।
বিষ্টি—বাদল।
মাছ-মৎস্য।
 চাঁদ—শশী


৯.প্রতিটি বাক্য ভেঙে আলাদা বাক্যে লেখো :

৯.২ একযে ছিল গাছ, সন্ধে হলেই দুহাত তুলে জুড়ত ভূতের নাচ।
উত্তর : একটি গাছ ছিল। সন্ধে হলেই গাছটি দুহাত তুলে ভূতের নাচ জুড়ত।
৯.২ বিষ্টি হলেই আসত আবার কম্প দিয়ে জ্বর।
উত্তর : বিষ্টি হত। আর তখন কম্প দিয়ে জ্বর আসত।
৯.৩ সকাল হল যেই, একটিও মাছ নেই।
উত্তর : সকাল হল। একটিও মাছ নেই।
৯.৪. নূরুট হয়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হিরার মাছ।
উত্তর : মুকুট হয়ে নাচগুলি ঝাক কেঁদেছে। লক্ষ হিরার মতো তারা ঝাঁক বেঁধেছে।
৯.৫ ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত সে গর্গর্।
উত্তর ও গাছটি ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে রাখত। ভালুকটি রাগে গরগর করত।
১০.এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো ঃ
র পর গ—গরগর,
 ট কৃ মু  – মুকুট,
ব আ য়া ছা-আবছায়া,
র কি মি ঝির কি -ঝিকিমিকির,
র বে ভো লা-ভোরবেলা।


 ১১.১ কবি অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর ও কবি অশোকবিজয় রাহার দুটি বইয়ের নাম রুদ্রবসন্ত এবং'ভানুমতীর মাঠ''।

১১.২ তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয়টি কী ছিল ?
উত্তর : তাঁর কবিতা রচনার প্রধান বিষয়টি ছিল অরণ্যপ্রকৃতি।
১১.৩ মায়াতরু' কবিতাটি তাঁর কোন কাবগ্ৰন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর : 'মায়াতর' কবিতাটি তাঁর 'ভানুমতীর মাঠ' কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

১২.  দিনের কোন সময়ে কোন ঘটনাটি ঘটেছে পাশে পাশে লেখো। খাতায় ছবি আঁকো ও
১২.১. দুই তুলে জুরুত ভূতের নাচ.......
উত্তর : দুহাত তুলে জুড়ত ভূতের নাচ সন্ধ্যাবেলা।

১২.২ ভালুক হয়ে গাড় ফুলিয়ে করত যে গরগর।
উত্তর : ভালুক হয়ে ঘাড় ফুলিয়ে করত যে গরগর রাত্রিবেলা।
১২.৩ কেবল দেখি পড়ে আছে ঝিকিমিকির আলোর রূপালি এক ঝালর.........।
উত্তর : কেবল দেখি পড়ে আছে ঝিকিমিকির আলোর রূপালি এক ঝালর সকালবেলা।


১৩-নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
>> 'মায়াতর' শব্দটির অর্থ কী? কবিতায় গাছকে 'মায়াতরু' বলা হয়েছে কেন? (মধ্যশিক্ষা পর্ষদ)
উত্তর : 'মায়াতরু' শব্দটির অর্থ মায়াবী গাছ।
কবির কল্পনায় মায়াবী গাছটি নিজের ইচ্ছেমতো দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপ ধারণ করে থাকে। সেই কারণে 'গাছটিকে 'মায়াতরু' বলা হয়েছে।



১৩.২ শব্দের শুরুতে 'মায়া' যোগ করে পাঁচটি নতুন শব্দ তৈরি করো। একটি করে দেওয়া হল ঃ মায়াজাল।
উত্তর : মায়াময় , মায়াবন, , মায়াকান্না, মায়াবাদ, মায়াডোর।
১৩.৩ ভূতের আর গাছের প্রসঙ্গ রয়েছে এমন কোনো গল্প তুমি পড়েছ? পাঁচটি বাক্যে সেই গল্পটি লেখো।
উত্তর ঃ ভূতের আর গাছের প্রসঙ্গ রয়েছে এমন গল্প হল শশিভূষণ দাশগুপ্তের লেখা 'বিবেকানন্দের ছেলেবেলা'। গল্পটি এরকমঃ
রামরতনবাবুর বাড়ির এককোণে আছে একটি চাপা গাছ। ছেলেরা সময়ে অসময়ে এই গাছের ডালে দোল খেত,ডিগবাজি খেত, হইচই করত, কিন্তু ছেলেদের হাত পা ভাঙবে এই ভেবে রামরতনবাবু ফন্দি করে ছেলেদের ডাকলেন
এবং চাপা গাছের গল্প শোনালেন। তিনি বললেন, এই চাপা গাছে এক বেত্মদত্যি সাদা কাপড় মুড়ি দিয়ে ঘুরে বেড়াত।
যারা এই গাছে চড়ত তাদেরই ঘাড় মটকে দিত। রামরতনবাবুর গল্প শুনে ছেলেরা ভয়ে যে যার বাড়ি চলে গেল। তিনিভাবলেন গল্পে কাজ হয়েছে।
★১৩.৪ দিনের বিভিন্ন সময়ে কবি গাছকে কোন্ কোন্ ৰূপে দেখেছেন?
উত্তর ঃ কবির কল্পনায় কবি একটি গাছকে বিভিন্ন সময়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। সকালের সোনাঝরা রোদ, রাতের অন্ধকার,পূর্ণিমার আলো আর বর্ষার পর বৃষ্টি—এভাবেই একটি গাছকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে কবি দেখেছেন।

১৪ যে গাছটিকে দেখে তোমার মনেও অনেক কল্পনা ভিড় জমায়, তার একটি ছবি আঁকো, সেই গাছটি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো :
উত্তর : গাছ থাকলে বৃষ্টির তোড়কেও অনেকখানি কমিয়ে দেয় তার ডালপালা। ভালো করে দেখি, গাছ যেখানে বেশি সেখানে বৃষ্টিও কেমন বেশি হয়, তেমনি জলও জমা থাকে অনেক। চাষের প্রয়োজনে, সেই জলেরই জোগান দেওয়া হয় -
নদীনালায়। গাছ দারুণ গরমের হাত থেকেও বাঁচিয়ে দেয় মানুষকে। সজীব আর শীতল রাখে পরিবেশ।