ঝড় | মৈত্রী মিত্র | পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | হাসে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Sunday, 27 October 2024

ঝড় | মৈত্রী মিত্র | পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | হাসে-কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 




পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
ঝড়
মৈত্রেয়ী মিত্র।
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর

১.ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো ঃ
১.১ পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী যে ঋতুতে হয়—(গ্রীষ্ম/বর্ষা/শরৎ/শীত)।
উত্তর : পশ্চিমবঙ্গে কালবৈশাখী গ্রীষ্ম ঋতুতে হয়।
১.২ দিনের যে সময়ে কালবৈশাখী ঝড় আসে– (সকাল/দুপুর/বিকেল/রাত)।
উত্তর : দিনের কালবৈশাখী ঝড় আসে দুপুরে।

১.৩ যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে— (কালো/লাল / নীল / সাদা)।
উত্তর : যখন ঝড় ওঠে, তখন আকাশ থাকে কালো।

১.৪ গ্রীস্মের একটি ফুল হল (গাঁদা/গন্ধরাজ/চাপা/পদ্ম)।
উত্তর-গ্রীষ্মের একটি ফুল হল চাঁপা।

২.'ক''স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

উত্তর-
             'ক''স্তম্ভ           'খ''স্তম্ভ
উত্তর :
মাঝি    >    নাইয়া
ঝড়    >   প্রবল হাওয়া
সমুদ্র     >   সাগর
চাপা     >    চম্পক
এলোমেলো     >    অগোছালো


৩. চেয়ে' ও ‘ভারী' শব্দদুটিকে দুটি আলাদা আলাদা অর্থে বাক্যে ব্যবহার করো ঃ
উত্তর : কাজল তপনের চেয়ে অনেক নম্বর বেশি পেয়েছে।
চেয়ে—পাখিগুলো দিকে চেয়ে আছে।

ভারি—ভোরে পাখির গান ভারি মিষ্টি লাগে।
ভারী—কাকুর শরীরটা ভারী হয়ে গেছে।
এলোমেলো বাতাস, চাপার বন, কালো জল, কালির দোয়াত, কোমল ঠোট।


৪. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো ঃ
উত্তর :

          বিশেষ্য             বিশেষণ

বিশেষণ
বাতাস
এলোমেলো
বন
চাপার
জল
কালো
দোয়াত
কালির
ঠোঁট
কোমল


৫. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও ঃ
৫.১ কোথা থেকে বাতাস এল।
উত্তর : কোথা থেকে বাতাস এল।
৫.২ আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি।
উত্তর : আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি
৫.৩ আমি তোমার মেঝের ওপর ঢালি।
উত্তর : আমি তোমার মেঝের ওপর ঢালি।
৫.৪  পালিয়ে গেল অনেক দূরে।
উত্তর : পালিয়ে গেল অনেক দূরে।
৫.৫ চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো।
উত্তর : চেয়ে দেখি আকাশখানা এক্কেবারে কালো।


৫. কোনটি বেমানান, তার নীচে দাগ দাও :
৬.১হাটবার, মাঠের ধার, দুপুরবেলা, ঝড়, কালি।
উত্তর : হাটবার, মাঠের ধার, দুপুরবেলা, ঝড়, কালি।
৬.২ কালো আকাশ, বকুলতলা, চাপার বন, কালো জল, হাটবার।
উত্তর : কালো আকাশ, বকুলতলা, চাঁপার বন, কালো জল, হাটবার।
৬.৩ ছেলে, কালির দোয়াত, মেঝে, ফেলে দেওয়া কালি, মাঠের ধার।
উত্তর: ছেলে, কালির দোয়াত, মেঝে, ফেলে দেওয়া কালি, মাঠের ধার।
৬.৪ আকাশ, বিদ্যুৎ, ঝড়, সাত সমুদ্র, কালির দোয়াত।
উত্তরঃ আকাশ, বিদ্যুৎ, ঝড়, সাত সমুদ্র, কালির দোয়াত।
৬.৫- বার্তাস, মাঝি, ঝড়, জল, ঘর।
উত্তর : বাতাস, মাঝি, ঝড়, জল, ঘর।


৭. অন্ধকার' শব্দটির মতো 'স্থ' এর প্রয়োগ আছে, এমন পাঁচটি শব্দ তৈরি করো ঃ
উত্তর : বন্ধ, সন্ধান, সন্ধ্যা, প্রবন্ধ, ধান্ধা।



৮. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো
লো লো এ মে- - এলোমেলো।
ড়া ড়ি তা তা  -  তাড়াতাড়ি।
লা কু ত ব ল-বকুলতলা।
না কা আ শ থা- আকাশখানা।
কে কে বা এ- একেবারে।

৯ শূন্যস্থান পূরণ করো
৯.১ আকাশখানা ........কালো।
উত্তর : আকাশখানা একেবারে ঝালো।
৯.২ আসলো মাঝি.......
উত্তর : আসলো মাঝি তাড়াতাড়ি
৯.৩ আমার যেন লাগল .....ভালো।
উত্তর : আমার যেন লাগল ভারী ভালো।
৯.৪ হাসল.......ঠোট মেলে।
উত্তর : হাসল কোমল ঠোঁট মেলে।
৯.৫ কালির দোয়াত কেমন করে ......।
উত্তর ঃ কালির দোয়াত কেমন করে হঠাৎ।

(১০) বাক্যরচনা করো
হাট, ভালো, সময়, পাড়ি, ভীষণ।
উত্তর : হাট গ্রামাঞ্চলে সাধারণত সপ্তাহে দুদিন হাট বসে।
ভালো—ভালো গল্পের বই পেলেই আমি পড়ি।
সময় – আমরা সময় মতো পড়াশোনা করি।
পাড়ি—যাত্রী বোঝাই নৌকাটি এইমাত্র পাড়ি দিল।
ভীষণ – ঘোড়া ভীষণ দ্রুত দৌড়োয়।
(১১) বিপরীতার্থক শব্দ লেখো
এলোমেলো, তাড়াতাড়ি, কোমল, জ্বেলে, দূরে।
উত্তর : এলোমেলো— গোছানো।
 তাড়াতাড়ি- ধীরে।
কোমল-কঠিন।
জ্বেলে – নিভিয়ে।
দূরে-কাছে।

১২ প্রদত্ত সূত্র অনুসারে একটি গল্প তৈরি করো
তুমি একা- - বিরাট মাঠ--আকাশে ঘন মেঘ-
-গাছের পাতা নড়ছে না- - বড় এল.
বৃষ্টি- -কোথাও আশ্রয় নিলে- -ঝড় থামলে রাতে বাড়ি ফিলে।
উত্তর : বিরাট মাঠ পেরিয়ে গ্রামের শেষপ্রান্তে আমাদের বিদ্যালয়। আজ ছুটির পর আমি একা বাড়ি ফিরছি। সঙ্গীর আমার সঙ্গে কেউ নেই। হঠাৎ ঘন কালো মেঘে আকাশ ভরে গেল। চারদিক অন্ধকার, গাছের পাতা একটিও না। কোথা থেকে হাওয়ার সঙ্গে ধুলো উড়িয়ে ঝড় এল। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল বৃষ্টি। আমি একটি ক্লাবঘরের বারান্দা
অন্য সকলের সঙ্গো আশ্রয় নিলাম। ঝড়-বৃষ্টি থামতে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেল। ঝড় থামলে রাতে বাড়ি ফিরলাম।


১৩' কোমল' ও 'কমল' শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য বাক্য রচনা করে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : গোলাপ ফুলের পাপড়ি খুব কোমল (নরম) হয়।
ভারতের জাতীয় ফুল হল কমল (পদ্ম)।

১৪. কোনটি কোন শ্রেণির বাক্য লেখো :
১৪.১ ওই এসেছে ঝড়।
উত্তর : বিস্ময়বোধক বাক্য।
১৪.২ ঝড় কারে মা কয় ?
উত্তর : প্রশ্নসূচক বাক্য।
১৪.৩ কেমন জানি করল আমার মন।
উত্তর : জটিল বাক্য।
১৪.৪ চেয়ে দেখি— আকাশখানা একেবারে কালো।
উত্তর : যৌগিক বাক্য।
১৪.৫ পালিয়ে গেল অনেক দূরে—সাত সাগরের পারে।
উত্তর : সরল বাক্য


১৫.১ মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা দুটি বইয়ের নাম 'মংপুতে রবীন্দ্রনাথ', 'ন হন্যতে'।

১৫.২ তিনি কত সালে 'পদ্মশ্রী' উপাধি পান?
উত্তর : তিনি ১৯৭৭ সালে 'পদ্মশ্রী' উপাধি পান।


১৬ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো
১৬.১ কবিতায় শিশুর দল ছুটে চলে যেতে চেয়েছিল কেন?
উত্তর : কালবৈশাখীর সময় দুপুরবেলা হঠাৎ সমস্ত আকাশ ঘন কালো অন্ধকার করে ঝড় আসতেই শিশুর দল চলে যেতে চেয়েছিল।




১৬.২ দুপুরবেলা চারিদিক অন্ধকার হয়ে গেল কেন?
উত্তর : দুপুরবেলা হঠাৎ এলোমেলো বাতাস এসে সারা আকাশ কালো মেঘে ভরিয়ে দিল। কালো মেঘে সূর্যদেব ঢাকা পড়ে চারদিক অন্ধকার হয়ে গেল।

১৬.৩ পালিয়ে গেল অনেক দূরে'— কে পালিয়ে গেল ? পালিয়ে সে কোথায় গেল?
উত্তর : ঝোড়ো হাওয়া পালিয়ে গেল।
ঝোড়ো হাওয়া সাত সাগরের পারে পালিয়ে গেল।

১৬.৪ ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে কীসের তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে?
উত্তর : ঝড়ের সঙ্গে শিশুর মনে কালির দোয়াতের তুলনা কবিতায় ধরা পড়েছে।


১৬.৫ ঝাড়'-এর বর্ণনা দিতে 'মেঘ করে আসা' আর 'বিদ্যুৎ চমকানোর’র কথা কবিতায় কোন্ কোন্ পঙক্তিতে ফুটে উঠেছে?
উত্তর ঃ ঝড়-এর বর্ণনা দিতে ‘এমন সময় এলেমেলো কোথা থেকে বাতাস এলো হঠাৎ থেকে থেকে পঙ্ক্তিটি ‘মেঘ করে আসা এবং ‘হাসল কোমল ঠোটটি মেলে ভীষণ কেমন আগুন জ্বেলে আকাশ বারে বারে' পক্তির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ চমকানোর কথা ফুটে উঠেছে।

১৬.৬ ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রে থাকলে কী ধরনের বিপদ ঘটতে পারে বলে তোমার মনে হয় ?
উত্তর : ঝড়ের সময় নদী বা সমুদ্রের জল উত্তাল হয়ে ওঠে। এই সময় জলে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

১৬.৭  সাতটি সাগরের নাম তোমার শিক্ষকের থেকে জেনে নিয়ে খাতায় লেখো

উত্তর : আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর, লোহিত সাগর, মরু সাগর, পীত সাগর, কাস্পিয়ান সাগর, ক্ষীরসাগর।

১৬.৮  কোনো একটি দিনে তোমার ঝড় দেখার কথা বন্ধুকে একটি চিঠি লিখে জানাও।
উত্তর ঃ একটি দিনের ঝড় দেখার কথা জানিয়ে বন্ধুকে চিঠি :
প্রিয় কাজল,
৯ জুলাই, ২০২২
প্রত্রের প্রথমেই তোমাকে জানাই আমার মনভরা ভালোবাসা।গত সপ্তাহে তোমার চিঠি পেয়েছি। আমার নিজের চোখে দেখা একটি নতুন অভিজ্ঞতার কথা তোমাকে না জানিয়ে পারছি না। গত বুধবার স্কুল ছুটির সময় পশ্চিম আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি কালো মেঘে আকাশ ঢেকে গেছে। বুঝতে পারলাম এখুনি ঝড় উঠবে। আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু বাড়ির পথে খুব তাড়াতাড়ি পা বাড়ালাম। তারপর এলোমেলো বাতাস ধুলো উড়িয়ে ছুটে এলো। আমি একটা রাস্তার ক্লাবঘরের বারান্দায় কয়েকজনের সঙ্গে আশ্রয় নিলাম। বিদ্যুতের ঝলকানি দেখে বুক আমার কাপছিল। তারপর ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হল। প্রায় দুঘণ্টা বৃষ্টির পর প্রকৃতি শান্ত হল। নিরাপদে বাড়ি ফিরে এলাম। প্রকৃতির এই ভয়াল রূপ প্রথম নিজের চোখে দেখে আমি অভিভূত হলাম। তুমি আমার ভালোবাসা
নিয়ো। অবশ্যই চিঠির উত্তর দিয়ো।
                         ইতি -তপন রায়

      দিপক রায়
প্রযন্তে-কাজল রায়
গ্রাম : করিমপুর, পোঃ মঙ্গলপুর
জেলা -পুর্ব বর্ধমান
পর ন 713125