তালনবমী |পঞ্চম শ্রেণি | বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
তাল নবমী
বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. জেনে নিয়ে নিজের ভাষায় লেখো
১.১ কোন মাসে তাল পাকে?
উত্তর : শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে তাল পাকে।
১.২ আউশ ধান কোন ঋতুতে ঘরে ওঠে?
উত্তর ঃ আউশ ধান ভাদ্র মাসের শেষে শরৎ ঋতুতে ঘরে ওঠে।
১.৩ গ্রাম জীবনে পালিত হয়, এমন দুটি ব্রত, পরব বা অনুষ্ঠানের নাম লেখো।
উত্তর : গ্রাম জীবনে পালিত হয় এমন দুটি ব্রতের নাম ইতু পূজা, নবান্ন, চরক ইত্যাদি।
১.৪ বর্ষাকালে অন্ধকারে চলাফেরা করা ভালো নয় কেন ?
উত্তর : বর্ষাকালে সাপেদের গর্ত সব জলে ভরে থাকে। চলাফেরার পথে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। সেইজন্য বর্ষাকালে অন্ধকারে চলাফেরা করা ভালো নয়।
১.৫ তাল থেকে তৈরি কোন্ কোন্ খাবার তোমার প্রিয়?
উত্তর : তাল থেকে তৈরি তালের বড়া, তালক্ষীর, তালের পরোটা আমার প্রিয়।
২. নীচের এলোমেলো বর্ণগুলো সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
হু দু র ব তীর > বহুদূরবর্তী
অ ম স্ক ন না > অন্যমনস্ক,
লা বা র ম ঙ্গ > মঙ্গলবার।
র পা ত্ত উ ড়া >উত্তরপাড়া,
ল পি তি লি টু > তিলপিটুলি,
কু ঠা খো র কা > খোকাঠাকুর।
৩. অর্থ না বদলে নীচের বাক্যগুলো শব্দঝুড়ির সাহায্য নিয়ে অন্যভাবে লেখো (একটা তোমার জন্য করে দেওয়া হল) :
৩.১ ক্ষুদিরাম ভট্টচার্যের বাড়ি দুদিন হাঁড়ি চড়েনি।
উত্তর : যেমন— ক্ষুদিরাম ভচার্যের বাড়ি দুদিন রান্না হয়নি।
৩.২ কতক্ষণে যে রাত পোহাবে।
উত্তর : কতক্ষণে যে রাত কাটবে।
৩.৩ কিন্তু সাহসে কুলোয় না তার।
উত্তর ঃ কিন্তু সাহস হয় না তার।
৩.৪ আমারও পেট চই চই করছে।
উত্তর : আমারও খুব খিদে পেয়েছে।
৩.৫ বাঁশঝাড় নুয়ে পড়ছে বাদলার হাওয়ায়।
উত্তর : বাঁশঝাড় হেলে পড়ছে বাদলার হাওয়ায়।
৪. ঘটনাক্রম অনুযায়ী সাজিয়ে লেখো :
৪.১ ঘুমের মধ্যে ওসব কী হিজিবিজি স্বপ্ন সে দেখছিল।
৪.২ ক্ষুদিরাম ভট্টচাজের বাড়ি দুদিন হাঁড়ি চড়েনি।
বৃষ্টির/বর্ষার, খিদে পেয়েছে, সাহস হয় না, রাত কাটবে, হেলে পড়ছে।
৪.৩ গোপাল একছুটে চলে গেল গ্রামের পাশে সেই তালদিঘির ধারে।
৪.৪ গোপাল বললে 'কোথায় যাচ্ছিস তোরা?
৪.৫ ‘ওরা নেমন্তন্ন করবে, দেখিস দাদা, কাল তো তালনবমী।'
উত্তর : ক্ষুদিরাম ভট্চাজের বাড়ি দুদিন হাঁড়ি চড়েনি।
গোপাল একছুটে চলে গেল গ্রামের পাশে সেই তালদিঘির ধারে।
এরা নেমস্তার করবে, দেখিস দাদা, কাল তো তালনবমী।'ঘুমের মধ্যে ওগ ছিল।
গোপাল বললে, 'কোথায় যাচ্ছিস তোরা।
৫. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও ।
৫.১ গল্পের নানান জায়গায় খুঁজে দেখো 'তাল' নামে ফলটার অনেক ধরনের বিশেষণ খুঁজে পাবে। সবগুলো লেখো।
উত্তর : কালো হেড়ে তাল, ভালো ভাল, মিশকালো তাল, বড়ো আর কালো কুচকুচে তাল, গোটা-তিনেক ছোটো তাল।
৫.২ 'মেঘাচ্ছন্ন আকাশ' কথাটার অর্থ মেঘে ভরা আকাশ। ঠিক এই অর্থটাই বোঝায় এমন আর একটা বিশেষণ গল্পেই আছে। খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর : মেঘ জমকালো আকাশ।
৬. শব্দঝুড়ি থেকে কোনটি কী ধরনের শব্দ, খুঁজে নিয়ে৷ লেখো :
উত্তর :
বিশেষ্য:-
নেমস্তন্ন
মঙ্গলবার
আকাশ
বিশেষণ:-
বোকা
রামরাম
মিশকালো
প্রকান্ড
চুঁই চুঁই
সর্বনাম;-
তার
তিনি
অব্যয়:-
চলাফেরা
ক্রিয়া;-
দিয়েছিল
[তার, নেমস্তা, বোকা,
নিয়েছিল, মঙ্গলবার,
আকাশ, ঝুমকাম,
চলাফেরা, প্রকান্ড, তিনি,
মিশকালো, চুঁই চুঁই।]
৭. নীচের বাক্যগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখো কোন্ কোন্ শব্দে তোমার মনে হচ্ছে কাজ শেষ হয়ে গেছে, আর কোন্ কোন্ শব্দ মনে হচ্ছে কাজ এখনও শেষ হয়নি, সেগুলো আলাদা করে লেখো
৭.১ কদিন ধরে পেট ভরে না খেতে পেরে ওরা দুই ভাবেই সংসারের ওপর বিরক্ত হয়ে উঠেছে।
উত্তর : কাজ এখনও শেষ হয়নি।
৭.২ জুটি পিসিমা আর কিছু না বলে তাল দুটো হাতে করে নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে গেলেন।
উত্তর : কাজ শেষ হয়েছে।
৭.৩ রেগে দাঁড়িয়ে উঠে বললে, 'কেন করবে না আমাদের নেমন্তন্ন?'
উত্তর : কাজ এখনও শেষ হয়নি।
৭.৪ খুব ভোরবেলা উঠে গোপাল দেখলে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে।
উত্তর : কাজ শেষ হয়েছে।
৮. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৮.১ 'সদর দোর' কথাটার মানে জেনে নাও, শব্দটা নিজে কোনো বাক্যে ব্যবহার করো।
উত্তর : 'সদর দোর'- প্রধান ফটক। রাতেরবেলা সদর দোর প্রতিদিন আমি বন্ধ করি।
৮.২ 'কপাট' শব্দটির অর্থ লেখো। এই শব্দটা ব্যবহার করে নিজে একটি বাক্য লেখো।
উত্তর : কপাট-দরজা। কপাট বন্ধ করে গ্রাম্যবধূ নদীতে জল আনতে যাচ্ছে।
৯. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো : সলজ্জ, সুখাদ্য, অন্ধকার, সাধ্য, আগ্রহ।
উত্তর : সলজ্জ - নির্লজ্জ। সুখাদ্য কুখাদ্য। অন্ধকার – আলো। সাধ্য-অসাধ্য। আগ্রহ - অনাগ্রহ।
১০. বাক্যরচনা করো ও গৃহস্থ, পিঠে, আশ্চর্য, জোনাকি, তালনবমী
গৃহস্থ—গৃহস্থ বাড়িতে পূজা-পার্বণ লেগেই থাকে।
পিঠে—পৌষ মাসের সংক্রান্তিতে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে পিঠে পায়েস হয়।
আশ্চর্য—বর্ষাকালে বিকেলবেলা আকাশে রামধনু দেখে ছোটোরা আশ্চর্য হয়।
জোনাকি — গভীর বনে জোনাকিরা সারারাত আলো দিয়ে যায়।
তালনবমী—তালনবমী ব্রত ভাদ্রমাসের শুক্লা নবমী তিথিতে হয়।
১১. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও ঃ
১১.১ এ গল্পে বৃষ্টির দুরকম ছবি আছে। ঝমঝম্ আর টিপটিপ। এই শব্দ দুটো ছাড়া কেবল ধ্বনি থেকেই বুঝে নেওয়া যায়, এমন কতকগুলো শব্দ লেখো।
উত্তর : ঝিরঝির, টাপুর-টুপুর, টপটপ, ঢিবঢিব, গুড়গুড়, গরগর, ঝরঝর ইত্যাদি।
১১.২ওয়ার শব্দ বোঝাচ্ছে এমন
গল্প থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো।
উত্তর ঃ শোঁ শোঁ, হু হু।
১১. এগুলি কোন কোন পদবি থেকে এসেছে। এরকম আরও তিনটি লেখো।
উত্তর : বীতুকে বাদ্যোপক আরও তিনটি পদবি-
১১.৪ ছে, খেয়েছে এই লি কোন কোন শব্দ থেকে এসে এরকম চেহারা পেয়েছে?
উত্তর : পড়েছে, খেয়েছে শব্দ থেকে পড়েছে, খেয়েচে এসেছে।
১২. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
১২.১ এই কোন ঋতু তা বোঝবার অনেকগুলো সূত্রটার মধ্যে ছড়ানো আছে। আছে মাসের নাম, ব্রতের নাম ইত্যাদি। এ ছাড়াও কোন কোন সূত্র তুমি নিজে খুঁজে পাও লেখো।
উত্তর : গোপাল ঘুম থেকে উঠে বর্ষার মেঘাচ্ছর আকাশের দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল। শুধুমাত্র গাছের পাতা থেকে জল পড়া তুল তলা থেকে ব্যাডো, বা হাওয়া এই সবই বর্ষা।
বর্ষার আগমনেই মাঠ ঘাট বানাজলে পূর্ণ হয়ে যায় এবং পরে কেন্দ্রীয় চরিত্র গোপাল তালনবমী নিমন্ত্রণের ভাগীদার হওয়ার জন্য ওই কাদা জল অতিক্রম করে পুকুর পাড়ে তালের সন্ধানে রওনা দেয়। ওইসব দৃষ্টান্ত থেকে পরিষ্কার যে-গল্পটি বর্ষা ঋতুর পরিচায়ক।
এ ছাড়াও পরে কয়েকটি উত্তির মধ্য দিয়ে বর্ষাকালীন ঘটনার পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন—জটি পিসিমা নেপাল ও গোপালকে বলেছেন, আচ্ছা এসো যে বাবা, সাথে হয়ে গেল, অন্ধকারে চলাফেরা করা ভালো নয় বর্ষাকালে।
গ্রামের উত্তরপাড়ার গণেশ কাওরা গোপালকে দেখে বলে, বড্ড সাপের ভয় খোকাঠাকুর, বর্ষাকালে ওখানে যেও না একা একা।
১২.২ এ গল্পে দাদা একসময়ে ছোটো ভাইকে বলেছে, 'একটা বোকা।' তোমার কি সত্যি মনে হচ্ছে ভাইটা বোকামিই করেছে? ছোটো ভাই, যার নাম গোপাল, সে যদি তোমার বন্ধু হত, তবে তুমি তাকে কী করতে বলতে?
উত্তর : আমার মনে হয় তালনবমী গল্পে ছোটোভাই গোপাল মোটেই বোকা নয় বরং সে সাহসী। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে তারা দিন কাটায়। ভালো খাবারের কথা তারা ভাবতেই পারে না। এক্ষেত্রে একমাত্র নিমন্ত্রণের আশায় জটি পিসির কাছে তালের বিনিময়ে গোপাল মূল্য নিতে চায়নি। ছোটো ভাই গোপাল যাদি আমার বন্ধু হত তবে আমি তাকে বলতাম মানুষ কেবলমাত্র অর্থকেই মূল্য দেয়। দুঃখী মানুষের দুঃখকে অনুভব করার শক্তি কতজনের আছে। এক্ষেত্রে গোপালের জটি পিসিমার বাড়ি নিমন্ত্রণের আশা করা ঠিক হয়নি।
১২.০ কী ধরনের বৃষ্টি তোমার পছন্দ এবং কেন তা বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর : ব্যক্তিগতভাবে আমার মুশলধারে বৃষ্টিই বেশি পছন্দ। সারাদিন ধরে অঝোরে বৃষ্টিতে যে শুধুমাত্র আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় তাই নয়, রাস্তাঘাট অনেকটা সময় ব্যাপী অপরিষ্কার থাকে, যার দরুন সাধারণ মানুষের নিত্য জীবনযাপন সামান্য হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। প্রকৃতিতে সতেজতা ক্ষেত্রেই না, বরং নানা রোগের প্রাদুর্ভাবও ঘটে। ক্ষণিকের জন্য ঝোড়ো হাওয়াতে আবহাওয়া অনুকূল হলেও অস্বস্তিকর ভাব কাটে না। মুশলধারে বৃষ্টিতে গ্রীষ্ম প্রকৃতির রিক্ততা শুষ্কতার অবসান ঘটে। গাছের পাতার ধূলিকণা বৃষ্টির ধারায় ধুয়ে যায় এবং প্রকৃতি এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়। তা ছাড়া রাস্তায় জল ভরতি হওয়ায় ওই জলে শিশুরা নৌকা ভাসাতে ভীষণ পছন্দ করে।
১৩.১ 'পথের পাঁচালী' বইটির লেখক কে?
উত্তর : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
১৩.২ তাঁর লেখা ছোটোদের দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা ছোটোদের দুটি বইয়ের নাম 'চাঁদের পাহাড়', 'তালনবমী'।
১৩.৩ কত সালে তাকে 'রবীন্দ্র পুরস্কার' প্রদান করা হয়?
উত্তর : ১৯৫১ সালে।
১৪. পাঠ্য অংশটি পড়ে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
।
১৪.১ গল্পে মোট কটি শিশুচরিত্রের কথা আছে? তাদের নাম পরিচয় লিখে তাদের স্বভাব বিষয়ে দুটি করে বাক্য লেখো।
উত্তর : তালনবমী গল্পে চারটি শিশুচরিত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
(১) গোপাল – ক্ষুদিরাম ভট্চাজের দশ বছরের ছেলে গোপাল। সে খুব সাহসী। দরিদ্র পরিবারের ছেলে গোপাল সংসারের প্রতি কর্তব্যপরায়ণ ছিল। (২) নেপাল – গোপালের থেকে দু-বছরের বড়ো ভাই নেপাল বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন ছিল। সে জটি পিসিকে বিনা পয়সায় তাল বিক্রি করতে রাজি ছিল না। (৩) কুড়োরাম — গ্রামের দীনু ভটচার্জের ছেলে কুড়োরান।জটিপিসির বাড়ি তালনবমী ব্রতে আমন্ত্রিতদের মধ্যে কুড়োরাম ছিল। (৪) চুনি - গ্রামের শিবু বাড়জ্যের ছেলে চুনি।জটি পিসির বাড়ি তালনবমী ব্রতের কথা চুনি গোপাল ও নেপালকে জানিয়েছে।
১৪.২ ভরা বর্ষায় ক্ষুদিরাম ভট্টচাজের দিন কীভাবে কাটে?
ত্তর : ভরা বর্ষার ক্ষুদিরাম ভট্টচাজের ঘরে দুদিন হাঁড়ি চড়েনি, তাদের অনাহারে দিন কাটে।
১৪.৩ চুনির মা জটি পিসিমার বাড়ি গিয়েছিল কেন? উত্তর ঃ চুনির মা ডাল ভেঙে দিতে জটি পিসিমার বাড়ি গিয়েছিল।
১৪.৪ জটি পিসিমার বাড়িতে কী বারে, কেন তালের প্রয়োজন হয়েছিল ?
উত্তর ঃ জটি পিসিমার বাড়িতে মঙ্গালবারে, তালনবমী ব্রত উপলক্ষ্যে তালের প্রয়োজন হয়েছিল।
১৪.৫ কে, কীভাবে জটি পিসিমাকে তাল জোগাড় করে এনে দিয়েছিল?
উত্তর ঃ গোপাল ভোরবেলা জলের ধার থেকে দুটি তাল কুড়িয়ে জটি পিসিনাকে এনে দিয়েছিল।
১৪.৬ জুটি পিসিমার ভালো নামটি কী ?
উত্তরঃ জটি পিসিমার ভালো নাম হরিমতী।
১৪.৭ বর্ষারাতে গোপালের দেখা স্বপ্ন কীভাবে মিথ্যা হয়ে গেল, তা গল্প অনুসরণে লেখো।
উত্তর ঃ সামান্য আয়ের গৃহস্থ ক্ষুদিরাম ভট্টচাজের দশ বছরের ছেলে গোপাল বিনা পয়সায় দুটি পাকা তাল জটি পিসির বাড়ি তালনবমী উপলক্ষ্যে দিয়ে এসেছিল। সে নিশ্চিতভাবে জানত যে তাদের দুই ভাইয়ের ব্রত উপলক্ষ্যে নিমন্ত্রণ করা হবে। পরের দিন নিমন্ত্রণ বাড়ি যাওয়ার কথা। ভোররাতে উত্তেজনায় গোপালের ঘুম হচ্ছিল না। সে শুয়ে শুয়ে
নিমন্ত্রণের স্বপ্ন দেখছিল। সে দেখছিল ভালো ভালো খাবার, নিমন্ত্রণ বাড়িতে মানুষের আতিথেয়তা। হঠাৎ সকালবেলা মায়ের ডাকে ঘুম ভেঙে গেল এবং গোপাল বুঝতে পারল যে, মানুষ কেবল অর্থকেই মূল্য দেয়—দুঃখী মানুষের দুঃখকে হৃদয়ে অনুভব করার শক্তি তাদের নেই।
আরও কিছু প্রশ্নোত্তর
ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
১। 'মা বকে; ’— মায়ের বকাবকি করার কারণ – (ক) নেপাল আর গোপাল মন দিয়ে পড়াশোনা করে না, (খ) পরিবারের নিদারুণ অভাব অনটন এবং বাচ্চাদের ঠিকমতো খেতে দিতে না পারার কষ্ট, (গ) রান্না হওয়ার আগে থেকেই খাওয়ার জন্য বিরক্ত করা, (ঘ) নেপাল আর গোপাল মাকে না বলে এদিক সেদিক চলে যায়।
উত্তর ঃ ‘মা বকে;'—মায়ের বকাবকি করার কারণ পরিবারের নিদারুণ অভাব অনটন এবং বাচ্চাদের ঠিকমতো খেতে দিতে না পারার কষ্ট।
২। তালনবমীর ব্রত ছিল – (ক) সোমবার, (খ) মঙ্গলবার, (গ) বুধবার, (ঘ) রবিবার।
উত্তর ঃ তালনবমীর ব্রত ছিল মঙ্গলবার।
৩। 'তালনবমী' গল্পে- (আষাঢ় শ্রাবণ/ভাই/ আশ্বিন) মাসের উল্লেখ আছে।
উত্তর : 'তালনবমী' গল্পে ভাদ্র মাসের উল্লেখ আছে।
৪। গোপাল জটি পিসিমাকে পয়সায়-(একটি/দুটি/তিনটি/চারটি) তাল দিয়েছিল।
উত্তর : গোপাল জটি পিসিমাকে পয়সায় তিনটি তাল দিয়েছিল।
৫। জটি পিসিমার ভালো নাম – (হীরামোতি/হরিমতী/ময়নামতী/শিলাবতী)।
উত্তর : জটি পিসিমার ভালো নাম হরিমতী।
৬। জটি পিসিমার বড়ো মেয়ের নাম - (লাবণ্য/যোগমায়া/হরিমতী)।
উত্তর : জটি পিসিমার বড়ো মেয়ের নাম লাবণ্য।
দু-এক কথায় উত্তর দাও :
১। চুনি কে ছিল ?
উত্তর ঃ গ্রামের এক সম্পন্ন গৃহস্থ শিবু বাঁড়ুজ্যের ছেলে হল চুনি।
২। কোন্ ব্রতে তালের বড়া ভাজা হয় ?
উত্তর ঃ তালনবমী ব্রতে তালের বড়া ভাজা হয়।
৩। ভাদ্র মাসে কতদিন ধরে বর্ষা নেমেছে ?
উত্তর ঃ ভাদ্র মাসে প্রায় পনেরো দিন ধরে বর্ষা নেমেছে।
৪। 'এখানে বসে কেন রে ? যাবিনে ?'- বক্তা কে? উত্তর ঃ 'এখানে বসে কেন রে? যাবিনে ?' - এখানে বক্তা হল কুড়োরা