শরৎ তোমার | পঞ্চম শ্রেণী | বাংলা | গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর - Online story

Sunday 6 October 2024

শরৎ তোমার | পঞ্চম শ্রেণী | বাংলা | গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর


 
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
শরৎ তোমার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

দু-এক কথায় উত্তর দাও :
১। শরৎ তোমার' কবিতাটি কে লিখেছেন ?
উত্তর : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'শরৎ তোমার' কবিতা বা গানটি লিখেছেন।

২। রবীন্দ্রনাথের এই গানটি কোন পর্যায়ভুক্ত ?
উত্তর ঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের লেখা 'শরৎ তোমার' গানটি, 'প্রকৃতি' পর্যায়ভুক্ত।

৩। শরতের কোথায় কী ছাপিয়ে গেল?
উত্তর : শরতের অরুণ আলোর অগুলি ছড়িয়ে মোহন অঙ্গুলি ছাপিয়ে গেল।

৪। 'কুন্তল' শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর : কেশ বা চুলের রাশিকে বলা হয় কুম্ভল।

৫। অঙুলি কাকে বলে ?
উত্তর ঃ মিলিত দুই হস্তের প্রসারিত তালুতে প্রদত্ত ফুলসমূহ বা জলের অর্ঘ্য।
 

৬। শরৎ, তোমার শিশির-ধোওয়া কুন্তলে' পঙ্ক্তিটির ভাবগত অর্থ কী ?
উত্তর : শরতের ভোরে শিশিরভেজা সবুজ মাঠে নতুন সূর্যের যে কিরণ পড়ে তাকেই বলা হয়েছে শিশিরভেজা অগুলি।
৭। 'অঞ্চল' শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর : অঞ্চল শব্দটির এক অর্থ হল এলাকা, দ্বিতীয় অর্থ হয় আঁচল অর্থাৎ, মেয়েদের শাড়ির দৈর্ঘ্য দিকের শেষ ভাগ।
এখানে শাড়ির আঁচলের কথা বোঝানো হয়েছে।
৮। 'বনের-পথে-লুটিয়ে-পড়া অঞ্চলে' বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : সবুজ বনের পথ হয় আঁকাবাঁকা এবং তা কবির দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে মেয়েদের শাড়ির দীর্ঘ আঁচলের মতো।
১। 'আজ প্রভাতের হৃদয় ওঠে চঞ্চলি' বলা হয়েছে কোন্ অর্থে ?
উত্তর : শরতের আকাশ, বাতাস, সমূহ প্রকৃতি হয় অতি স্নিগ্ধ, চোখ জুড়োনো। শরতের সেই শিশিরভেজা ভোরে সূর্যকিরণ লেগে চারদিক ঝিকিমিক করছে এই অর্থে বলা হয়েছে।
১০। 'মানিক' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর ঃ 'মানিক' এক প্রকার বর্ণময় মূল্যবান ধাতু, যাতে সূর্যের আলো পড়লে ঝকমক করে।
১১। 'শ্যামল অজ্ঞান' বলতে তুমি কী বুঝেছ?
উত্তর : সাধারণত শরৎকালের প্রকৃতি শান্ত থাকে, চারদিকে সবুজের স্নিগ্ধতা দেখা যায়, তাই কবি প্রকৃতির সেই মনভোলানো দৃশ্যকে বলেছেন 'শ্যামল অঙ্গন'।
১২। 'কুছায়া' কাকে বলে?
উত্তর : ঘন লতাপাতাবেষ্টিত ছোটো বনকে বলা হয় কৃত্তবন, আর সেই ছোটো বনের ছায়াকে বলে কুঞ্জছায়া।
১৩। টীকা লেখো : অরুণ আলো, শরৎ।
উত্তর ঃ অরুণ আলো—অন্যান্য গ্রহগুলির মতো আমাদের পৃথিবীও সূর্যকে কেন্দ্র করে সারাক্ষণ নিজ কক্ষে ঘুরে চলেছে।
ঘুরতে ঘুরতে অভিগত গোলাকার পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের দিক থাকে তখন তাকে বলে দিনের আলো। তখন পৃথিবীর বিপরীত প্রান্ত থাকে আলোবিহীন অর্থাৎ অন্ধকার। এভাবে আমরা পৃথিবীর বিপরীতপৃষ্ঠ অর্থাৎ আলোহীন অংশে যখন থাকি তখন সেই সময়কে বলে রাত্রি। প্রতি সেকেন্ডে ৩০ কিমি বেগে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী যখন ধীরে ধীরে আবার আলোকিত অংশে মুখ ফেরায় সেই ক্রমাগত আলোর স্বচ্ছ প্রকাশক্ষণকে বলা হয় অরুণ আলো।
শরৎ—মৌসুমি বায়ুর দেশ আমাদের মাতৃভূমি ভারতবর্ষ। পৃথিবীর এমন এক অংশে আমাদের ভারতবর্ষের অবস্থান যে এখানে প্রকৃতির বুকে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত ও বসন্ত এই চারটি ঋতু অত্যন্ত স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়। কিন্তু বর্ষার ঠিক পরের চার মাস অর্থাৎ ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই চারটি মাসের মধ্যে যে দুটি ঋতুর রূপ আমরা উপভোগ করি তা হল শরৎ ও হেমন্ত। আবার, হেমন্ত অপেক্ষা শরতের সৌন্দর্য অতুলনীয়। সমগ্র প্রকৃতির বুকে অনুভূত হয় এক শান্ত স্নিগ্ধ মনোরম বাতাবরণ। বিশেষত বাংলার শ্যাম বনাঞ্চলে শরৎ ঢেলে দেয় এক নয়ন ভোলানো সবুজের উজাড় করা পসরা।