মিষ্টি | পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Tuesday 8 October 2024

মিষ্টি | পঞ্চম শ্রেণি বাংলা | হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 


 পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
মিষ্টি
প্রেমেন্দ্র মিত্র
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর


১.নিজের ভাষায় লেখো :
১.১ কোন্ ঋতুতে সাধারণত আকাশে ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না ?
উত্তর : শীত ঋতুতে সাধারণত আকাশ ঝড় ওঠে না, মেঘ ডাকে না।
১.২ কোন্ ঋতুতে সাধারণত পথ-ঘাট পিছল হয়ে পড়ে?
 উত্তর ঃ বর্ষা ঋতুতে সাধারণত পথ-ঘাট পিছল হয়ে পড়ে।
১.৩ কোন্ পথে সহজেই গড়িয়ে পড়া যায় ?
উত্তর ঃ পিচ্ছিল পথে সহজেই গড়িয়ে পড়া যায়।

১.৪ চড়াই-উত্রাই রাস্তা কোথায় দেখা যায় ?
উত্তর : চড়াই-উত্রাই রাস্তা অসমতল বা পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়।

১.৫ ‘রাস্তা' শব্দটি অন্য কোন্ নামে কবিতায় আছে?
উত্তর : ‘রাস্তা' শব্দটি ‘পথ' নামে আলোচ্য কবিতায় আছে।

১.৬ আখের প্রসঙ্গ রয়েছে, তোমার পাঠ্যসূচির এমন অন্য একটি রচনার নাম লেখো।
উত্তর : আখের প্রসঙ্গ রয়েছে এমন একটি রচনার নাম ‘বোকা কুমিরের গল্প'।

২. নীচের এই শব্দগুলো মূল কোন্ কোন্ শব্দ থেকে এসেছে :
আখ:-
উত্তর : আখ—ইক্ষু।
রোদ্দুর:-
রোদ্দুর-রৌদ্র।



৩. 'চড়াই' ও 'পড়ে'—এই দুটি শব্দের দুটি করে অর্থ লেখো, বাক্যে ব্যবহার করো :
উত্তর :
[ চড়াই (পাখি বিশেষ) চড়াই পাখি সাধারণত চঞ্চল প্রকৃতির হয়।
[চড়াই-উচুনীচু) গাড়িটি চড়াই-উত্রাই পাহাড়ি রাস্তায় এগিয়ে চলল।

(পড়ে – (পাঠ করা) তোমার পাঠ্য বইয়ের গল্পগুলি পড়ে নাও।
[ পড়ে (পতিত হওয়া) শিশুটি রাস্তায় পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছে।


৪. তোমার স্কুলে যাওয়ার, খেলতে যাওয়ার, আর বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তাগুলো কেমন, তিনটে রাস্তা নিয়ে আলাদা।
আলাদা দুটো করে বাক্য লেখো। এ প্রসঙ্গে কোন রাস্তাটি তোমার কেন ভালো লাগে, তার পক্ষে দুটি যুক্তি দাও।
উত্তর : আমার স্কুলে যাওয়ার রাস্তা- আমি গ্রামাঞ্চলের ছেলে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাকা রাস্তায় উঠে সাইকেল, ভ্যান রিকশা, ঠেলাগাড়ি, মোটর বাইক আর নিত্যযাত্রী মানুষজনের ব্যস্ততাকে কাটিয়ে প্রতিদিন আমি স্কুলে যাই।
খেলতে যাওয়ার রাস্তা—আমাদের বাড়ির পিছন দরজা দিয়ে বেরিয়ে বাঁশ ঝাড়ের পাশ দিয়ে রাস্তা ধরে বুড়ো শিবতলা পেরিয়ে দিঘির ধারে বিরাট খোলা মাঠ। এই মাঠে প্রতিদিন আমরা বন্ধুরা বিকেলবেলা খেলতে আসি।
বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার রাস্তা – আমাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাঁদিকে ধানখেত। ধানখেতের আলপথ ধরে পাশের গ্রামের বন্ধুর বাড়ি খুব তাড়াতাড়ি যাওয়া যায়।
গ্রামাঞ্চলের তিনটি রাস্তার মধ্যে আমার খেলতে যাওয়ার রাস্তাটা বড়োই ভালো লাগে। কেননা আমি যখন বন্ধুদেরসঙ্গে হই হই করতে করতে বিরাট দিঘির ধারে খোলা মাঠে গিয়ে দাঁড়াই আমার মনে হয় আমি যেন পাখিদের মতো স্বাধীন, মুক্ত।

৫. কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া যে সুখ তা-ই প্রকৃত সুখ। কবিতায় এই কথাটি কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে লেখো।
উত্তর : জীবনে প্রকৃত সুখ পেতে হলে মানুষকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। মনীষীগণ বলেছেন, অর্থ বিনা সুখ লাভ।হয় না। এই অর্থকে লাভ করতে হলে নিজেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এর জন্য চাই উদ্যম, প্রচেষ্টা। জীবনে এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে অনেক বাধাবিঘ্ন আসবে। কিন্তু সহ্য করে কষ্টের মধ্য দিয়ে, বাধাবিপত্তি কাটিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছোনোর যে সুখ সেই সুখই হল প্রকৃত সুখ। 'মিষ্টি' কবিতায় কবি প্রেমেন্দ্র মিত্র বলেছেন, 'আখ একটি শক্ত লাঠির মতো রসালো ফল। কিন্তু এই শক্ত লাঠির মতো আখ থেকে অনেক মেহনত করে মিষ্টি রস বের করে যখন আমরা পান করি তখন
অত মেহনতের কথা ভুলে গিয়ে পরম তৃপ্তি লাভ করি।

৬.১ ছোটোদের প্রিয় 'ঘনাদা' চরিত্র কার সৃষ্টি?
উত্তর ঃ প্রেমেন্দ্র মিত্রের সৃষ্টি।

৬.২ প্রেমেন্দ্র মিত্র কোন সাহিত্য-পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? উত্তরঃ 'কল্লোল' সাহিত্য-পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

৬.৩ তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : “সাগর থেকে ফেরা', 'হরিণ-চিতা-চিল'।

৭. কোন্ কোন্ মিষ্টি খাবার তোমার খেতে ভালো লাগে, নীচের মানস মানচিত্রে সেগুলির নাম লেখো :
উত্তর :
এই মিষ্টিগুলি নিয়ে এক-একটা বাক্য লেখো।
উত্তর : দুধ থেকে দই হয়।
দুধকে ভালোভাবে ফুটিয়ে রাবড়ি তৈরি হয়।
দুধ থেকে তৈরি পায়েস একটি উপাদেয় খাবার।
শিশুরা সন্দেশ খেতে ভালোবাসে।
জ্বাল দিয়ে ঘন করা দুধ হল ক্ষীর।
পানতুয়া একটি রসের নিষ্টি।
ময়দা বা চালের গুঁড়ো দিয়ে মালপোয়া তৈরি হয়।
হালুয়া তৈরি করা খুবই সহজ।
জিভেগজা দেখলে জিভে জল আসে।
আইসক্রিম একটি ঠান্ডা পানীয়।
রসগোল্লা সবসময় রসে ডুবে থাকে।
আখের রস ফুটিয়ে গুড়, চিনি পাওয়া যায়।

৮. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও
৮.১ নীচের কোন্ ছবিতে কোন্ ঋতুর আকাশ কেমন?
উত্তর : শরৎ ঃ শরৎকালের নীল আকাশে সাদা সাদা তুলোর মতো মেঘ উড়ে বেড়ায়। নদীর ধারে কাশফুলের শোভা উৎসবের গন্ধ নিয়ে মানুষের কাছে আবির্ভূত হয়। দেবী দুর্গার আগমনী গান শোনা যায়।
বর্ষা : বর্ষাকালে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা থাকে। কখনও গুঁড়িগুড়ি, কখনও প্রবলবেগে বৃষ্টি হয়। নদী, খাল, বিল, পুকুর জলে ভরে যায়। বৃষ্টির আনন্দে ব্যাঙের কলরব শোনা যায়।


৮.২ এইরকম অন্য কোনো ঋতুর আকাশ সম্পর্কে লেখো।
উত্তর : গ্রীষ্ম ঋতুর আকাশ – বাংলার প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম তার রুদ্র মূর্তি নিয়ে আকাশ-বাতাস উত্তপ্ত করে সমস্ত প্রাণীকে তৃয়ার্ত করে। এই সময় মাঝে মাঝে মধ্য গগনের সূর্যকে ঢেকে দিয়ে কালবৈশাখীর মত্ত ঝড় মুহূর্তের মধ্যে যেন সব কিছু ওলটপালট করে দেয়। বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসকে গ্রীষ্মকাল ধরা হলেও বছরে প্রায় ছয় মাসই এখানে গ্রীষ্মকাল। এই সময়
সূর্যের কিরণ লম্বভাবে পড়ায় খুবই উয় হয়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে নদীনালা, পুকুর-ডোবা সব শুকিয়ে যায়।
শীত ঋতুর আকাশ—পৌষ-মাঘ দুই মাস শীতকাল। শীতকালে উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হয়। শীত শুষ্ক ঋতু। গাছের পাতা ঝরে যায়। ভোরে শিশির পড়ে। সন্ধ্যায় চারদিক কুয়াশায় ঢেকে যায়। কনকনে ঠান্ডায় শরীর অবশ হয়ে যায়। এই সময় মাঠে মাঠে প্রচুর রবি শস্য ফলে। শীতকালে সবুজ শাকসবজি এবং বিভিন্ন রকমের ফল পাওয়া যায়। সুস্বাদু খাবারের জন্য শীতকাল উপযুক্ত সময়। এই সময় নানা রকমের প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। খেজুর রসের মিষ্টান্ন খুবই উপাদেয় খাদ্য। প্রচণ্ড শীতে লোকে আগুন জ্বেলে কিংবা রোদে পিঠ দিয়ে শরীর উষ্ণ রাখে। শীতকালে নানা রকমের ফুল ফোটে।



সংক্ষেপে উত্তর দাও :
১। প্রেমেন্দ্র মিত্র রচিত 'মিষ্টি' কবিতার মূলভাব বর্ণনা করো।
উত্তর : মানুষ বহু কষ্ট সহ্য করে যে সুখ লাভ করে তাই প্রকৃত সুখ। যেমন – কৃষক সমাজ বৃষ্টি, রোদ, ঝড়, জল মাথায় করে ফসল উৎপাদন করে। এই ফসল উৎপাদনের মধ্য দিয়েই তারা আনন্দ বা সুখ লাভ করে।

২। মানুষ কীভাবে সুখ লাভ করে?
উত্তর : জীবনে চলার পথ অতি দুর্গম, কষ্টসাধ্য। নানান দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে মানুষ মূল লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায় এবং লক্ষ্যে উপস্থিত হয়ে মানুষ সুখ লাভ করে।

৩। কবির মতে কোন্ পথে কোনো দুঃখ নেই ?
উত্তর : কবির মতে যে পথ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, বৃষ্টির জলে ভিজে থাকা বা পিছিয়ে পড়ার কোনো ভয় নেই, যে পথে হোঁচট লাগে না, অর্থাৎ কোনো বাধা সৃষ্টি হয় না সেই সেই পথে কোনো দুঃখ নেই।

৪। “রাস্তা হোক না চড়াই-ভাঙা/অনেক অনেক দূর।”—চড়াই বলতে কী বোঝো? এই পতি দুটিতে কৰি কী বলতে চেয়েছেন?
উত্তর : চড়াই বলতে রাস্তার আরোহণের পথকে বোঝায়। দূরের পথ অসমতল হলেও কষ্টের মধ্য দিয়ে পাওয়া যে সুখ, তাই প্রকৃত সুখ বলেছেন কবি।