দারোগাবাবু এবং হাবু পঞ্চম শ্রেণি বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
দারোগাবাবু এবং হাবু
ভবানীপ্রসাদ মজুমদার
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. ঠিক কথাটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
১.১-হাবু থানায় গিয়েছিল (বেড়াতে/অভিযোগ জানাতে/চিকিৎসা করাতে/হারানো পাখি খুঁজতে)।
উত্তর : হাবু থানার গিয়েছিল অভিযোগ জানাতে।
১.২ বাড়িতে পোষা হয় এমন পাখির মধ্যে পড়ে না।
(টিয়া/পায়রা/ময়না/কোকিল)।
উত্তর : বাড়িতে পোষা হয় এমন পাখির মধ্যে পড়ে না কোকিল।
১.৩ হাবু ও তার দাদাদের পোষা মোট পশুপাখির সংখ্যা (১৭৫/১৫০/১৭০/২৫)।
উত্তর : হাবু ও তার দাদাদের পোষা মোট পশুপাখির সংখ্যা ১৭৫।
২. 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
উত্তর :
নালিশ > অভিযোগ
বারণ > নিষেধ
পাগল > উন্মাদ
সদাই > সবসময়
কাবু > কাহিল
৩. শব্দঝুড়ি থেকে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
উত্তর :
শব্দঝুড়ি:-
পায়রা, কাবু, খুব, নালিশ,করুণ,থানা,করুণ, পোষা, দুঃখ,,পোষা,বড়োবাবু
বিশেষ্য:-
পায়রা,নালিশ,দুঃখ, থানা, বড়োবাবু
বিশেষণ-
কাবু,খুব করুণ,পোষা,চারজন
৪. কেঁদে কেঁদে—এরকম একই শব্দকে পাশাপাশি দু-বার ব্যবহার করে নতুন পাঁচটি শব্দ তৈরি করো ঃ
উত্তর ঃ রেগে রেগে, যায় যায়, শুনে শুনে, ভেবে ভেবে, মনে মনে।
৫. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৫.১ বললে কেঁদেই হাবু।
উত্তর ঃ বললে (কেঁদেই) হাবু।
৫.২ সাতটা বেড়াল পোষেন ছোটোবড়ো।
উত্তর ঃ সাতটা বেড়াল (পোষেন) ছোটোবড়ো।
৫.৩ বললে করুণ সুরে।
উত্তর : (বললে) করুণ সুরে।
৫.৪ যাবেই যে সব উড়ে।
উত্তর ঃ যাবেই যে সব (উড়ে)।
৫.৫ ভগবানকেই ডাকি।
উত্তর-ভগবানকেই (ডাকি)।
৬. বাক্যরচনা করো :
নালিশ, ভগবান, বারণ, করুণ, ভোর।
উত্তর : নালিশ —মঙ্গল তার সহপাঠীর নামে নালিশ করল।
ভগবান—ভগবান সকলকে ভালো রাখেন।।
বারণ- বাবা-মায়ের বারণ শুনতে হয়।
করুণ— কুকুর টি করুণ ভাবে চেয়ে রয়েছে।
ভোর- ভোর বেলায় পাখি ডাকে।
৭. ঘটনাক্রম অনুযায়ী বাক্যগুলি সাজিয়ে লেখো :
৭.১ জাবু থানার বড়োবাবুর কাছে কান্নাকাটি করে নালিশ জানাল।
৭.২ এই জীবজন্তুর গন্ধে হাবুর প্রাণ যায় যায়।
৭.৩ হাবুরা চার ভাই একটা ঘরেই থাকে।
৭.৪ বড়দা সাতটা বেড়াল, মেজদা আটটা কুকুর, সেজদা দশটা ছাগল ও হাবু নিজে দেড়শো পায়রা পোষে।
৭.৫ দারোগাবাবুর উত্তর শুনে হাবু বেজায় কাতর হয়ে পড়ল।
উত্তর : হাবু থানার বড়োবাবুর কাছে কান্নাকাটি করে নালিশ জানাল।
হাবুরা চার ভাই একটা ঘরেই থাকে।
বড়দা সাতটা বেড়াল, মেজদা আটটা কুকুর, সেজদা দশটা ছাগল ও হাবু নিজে দেড়শো পায়রা পোষে।
জীবজন্তুর গন্ধে হাবুর প্রাণ যায় যায়।
দারোগাবাবুর উত্তর শুনে হাবু বেজায় কাতর হয়ে পড়ল।
৮. কবিতাটিতে অন্ত্যমিল আছে, এমন পাঁচজোড়া শব্দ লেখো :
উত্তর : হাবু-বড়ো বাবু।
থাকি
ডাকি
বড়ো
করো
বেঁধে
কেঁদে
ভুলো
গুলো
সুরে
উড়ে
৯ বাক্য বাড়াও
৯.১ হাবু গিয়েছিল (কোথায় ? কখন ?)
উত্তর ঃ হাবু সেদিন ভোরে থানায় গিয়েছিল।
৯.২ বড়দা পোষেন বেড়াল। (কয়টি? কেমন ? )
উত্তর : বড়দা পোষেন ছোটো-বড়ো সাতটা বেড়াল।
৯.৩ হাবু ভগবানকে ডাকে। (কেন? কখন?)
উত্তর ঃ হাবু দুঃখে দিনরাত ভগবানকে ডাকে।
৯.৪ দারোগাবাবু বলেন ঘরের জানলা-দরজা খুলে রাখতে। (কাকে?)
উত্তর ঃ দারোগাবাবু হাবুকে বলেন ঘরের জানলা-দরজা খুলে রাখতে।
৯.৫ তার পায়রা উড়ে যাবে। (কয়টি ?)
উত্তর : হাবুর দেড়শোটা পায়রা উড়ে যাবে।
১০.১ ছোটোদের জন্য ছড়া কবিতা লিখেছেন, এমন দুজন কবির নাম লেখো।
উত্তর : অন্নদাশংকর রায়, সুনির্মল বসু।
১০.২ তোমার পাঠ্য কবিতাটির কবি কে?
উত্তর ঃ ভবানীপ্রসাদ মজুমদার।
১০.৩ তার লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর ঃ মজার ছড়া, নাম তাঁর সুকুমার।
১১ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২১.১ হাবু কোথায় গিয়ে কার কাছে নালিশ জানিয়েছিল ?
উত্তর ঃ হাবু থানায় গিয়ে তিন দাদার নামে দারোগাবাবুর কাছে নালিশ জানিয়েছিল।
১১.২ হাবুর বড়দা, মেজদা ও সেজদা ঘরে কী কী পোষেন ?
উত্তর ঃ ঘরে হাবুর বড়দা সাতটা বেড়াল, মেজদা আটটা কুকুর ও সেজদা দশটা ছাগল পোষেন।
১১.৩ হাবুর করুণ অবস্থার জন্য সে নিজেও কীভাবে দায়ী ছিল বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর ঃ হাবু নিজে দেড়শো পায়রা একই ঘরে পোষে। সেই কারণে হাবু নিজেও তার করুণ অবস্থার জন্য দায়ী।
১১.৪ দারোগাবাবু হাবুকে যে পরামর্শ দিলেন সেটি তার পছন্দ হল না কেন?
উত্তর : দারোগাবাবু জানতেন না যে হাবুর নিজের দেড়শো পোষা পায়রা রয়েছে। ঘরের দরজা-জানলা খুললে যেহেতু পায়রাগুলো উড়ে যাবে, সেহেতু দারোগাবাবুর পরামর্শ হাবুর পছন্দ হল না।
১১.৫ দারোগাবাবুর কাছে হাবু তার যে দুঃখের বিবরণ দিয়েছিল, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর ঃ একদিন ভোরে হাবু কাদতে কাদতে থানার বড়োবাবুর কাছে তার দাদাদের বিরুদ্ধে নালিশ জানাতে এসেছে। তারা চার ভাই। এতই দুঃখ হাবুর যে দিনরাত সে ভগবানকেই ডাকে। বড়দা ছোটো-বড়ো সাতটা বেড়াল পোষেন, আবার মেজদা আটটা কুকুর পোষেন। একই ঘরের মধ্যে তাদের উৎপাতে হাবুর ঘুম আসে না। হাবুর সেজদাকে একটা পাগল বলা যায়। তার দশটা ছাগল ওই ঘরের মধ্যে থাকে। সেই ছাগলের গন্ধে হাবু কেঁদে মরে। দারোগাবাবু হাবুকে উপদেশ দিলেন যে, ঘরের জানলা-দরজাগুলি খুলে রাখতে। তাতে ঘরের গন্ধটা বেরিয়ে যাবে। দারোগাবাবুর কথা শুনে হাবু মুশকিলে পড়ে যায়, কারণ ওই ঘরের মধ্যে তারও দেড়শো পায়রা আছে। ঘরে জানলা-দরজা খোলা রাখলে তার পোষা পায়রাগুলি নিশ্চিত উড়ে যাবে।
১১.৬ তোমার পোষা বা তুমি পুষতে চাও এমন কোনো প্রাণীর ছবি আঁকো বা তার সম্পর্কে বন্ধুকে লেখো।
উত্তর : বেড়াল গৃহপালিত প্রাণী। আমার পোষা বেড়ালের নাম মিনি। দেখতে অনেকটা বাঘের মতো। তাকে 'বাঘের মাসি' মনে হয়। তার চারটি পা, দুটি চোখ, দুটি কান ও একটি লেজ আছে। প্রতিটি পায়ে পাঁচটি করে ধারালো নখ আছে। সারা শরীর লোমে ঢাকা। তার দাঁত, নখ খুবই শক্ত ও ধারালো। সে খুবই শান্ত ও আরামপ্রিয়। আদর পেলে কোলের মধ্যে উঠে পড়ে। তার চোখ রাতেরবেলায় জ্বলজ্বল করে এবং রাতের অন্ধকারে সে দেখতে পায়। সুযোগ পেলেই অবশ্য বাড়ির দুধ, মাছ, মাংস ও অন্যান্য প্রিয় খাদ্য চুরি করে খায়। এ ছাড়া ভাত, ডাল, রুটিও খায়। বেড়ালটি ইঁদুর মেরে গৃহস্থের উপকার করলেও অপকারই করে বেশি। বাড়িঘর নোংরা করে। এ ছাড়া ছোটোদের ডিপথিরিয়া প্রভৃতি রোগও বেড়ালের দ্বারা ছড়ায়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বেড়াল দেখতে পাওয়া যায়।
কিছু অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
এক কথায় উত্তর দাও
প্রশ্ন- হাবুর বড়দার ক-টা বেড়াল আছে?
উত্তর : সাতটা বেড়াল।
প্রশ্ন- হাবু কখন থানায় গিয়েছিল ?
উত্তর : ভোরে
প্রশ্ন- সেদিন ভোরে থানায় গিয়েছিল কে?
উত্তর-হাবু
প্রশ্ন- - থানায় হাবু কেন গিয়েছিল?
উত্তর : নালিশ জানাতে
প্রশ্ন- কেঁদে হাবু কার কাছে নালিশ জানিয়েছিল ?
উত্তর : বড়োবাবুর কাছে।
প্রশ্ন- হাবুর মেজদার ক-টা কুকুর আছে?
উত্তর ঃ আটটা কুকুর।
প্রশ্ন- হাবুর সেজদার ক-টা ছাগল আছে?
উত্তর : দশটা ছাগল।
প্রশ্ন- হাবুরা কজন ভাই?
উত্তর : চার জন।
প্রশ্ন- তারা চার জন ভাই কোথায় থাকত?
উত্তর : একটাই ঘরে।
প্রশ্ন- সারা দিনরাত হাবুর অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর ঃ দুঃখ ছিল।
প্রশ্ন- দুঃখে হাবু সারা দিনরাত কী করত?
উত্তর : ভগবানকে ডাকত।
প্রশ্ন- সাতটা বেড়াল কার ছিল?
উত্তর : হাবুর বড়দার।
প্রশ্ন- বড়দার বেড়ালগুলোর চেহারা কেমন ছিল?
উত্তর : ছোটো-বড়ো।
প্রশ্ন- আটটা কুকুর কে পুষত ?
উত্তর : হাবুর মেজদা।
প্রশ্ন- হাবুর মতে পাগল কে?
উত্তর : হাবুর সেজদা।
প্রশ্ন- সেজদা তার দশটা ছাগল কোথায় রাখেন ?
উত্তর : ঘরেই বেঁধে রাখেন।
প্রশ্ন- হাবুর প্রাণ যায় যায় কেন?
উত্তর : ছাগলগুলোর গন্ধে।
প্রশ্ন- গন্ধে প্রাণ যায় যায় বলে হাবু কী করে ?
উত্তর : কেঁদে মরে।
প্রশ্ন- তোমরা কি সব ভুলো' বলে কে প্রশ্ন করলেন?
উত্তর ঃ দারোগাবাবু।
প্রশ্ন- দারোগাবাবু হাবুকে কী খুলে রাখতে বললেন ?
উত্তর : জানলা-দরজাগুলো।
প্রশ্ন- দারোগাবাবু জানলা-দরজাগুলো কতক্ষণ খুলে রাখতে বললেন?
উত্তর : সারাক্ষণ
প্রশ্ন- দারোগাবাবুর কথা শুনে হাবু কী হল ?
উত্তর : বেজায় কাবু।
প্রশ্ন- হাবু বেজায় কাবু হয়ে কীভাবে কথা বলল ?
উত্তর : করুণ সুরে।
প্রশ্ন- হাবু ঘরে কী পোষে?
উত্তর : দেড়শো পায়রা পোষে।
প্রশ্ন- সদাই জানলা-দরজা খোলা থাকলে পায়রাগুলো কী করবে?
উত্তর : উড়ে যাবে।
প্রশ্ন- হাবুদের ঘরে মোট পোষা প্রাণীর সংখ্যা কত ছিল?
উত্তর ঃ মোট ১৭৫টি।
অল্প দু-এক কথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন- হাবু কখন কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর ঃ একদিন ভোরে হাবু থানায় গিয়েছিল।
প্রশ্ন- হাবু কার কাছে কি নালিশ জানিয়েছিল?
উত্তর : থানায় গিয়ে হাবু কেঁদে বড়োবাবুকে নালিশ জানাল যে, বাড়িতে একটা ঘরে সে দিনরাত দুঃখে কাটায়। সে ভগবানকে ডাকে, একটা বিহিত করার জন্য।
প্রশ্ন- হাবুর বড়দা কী পোষেন ?
উত্তর : একই ঘরে হাবুর বড়দা ছোটো-বড়ো সাতটা বেড়াল পোষেন।
প্রশ্ন- হাবুর সেজদা সম্পর্কে কী নালিশ জানাল?
উত্তর : সেজদা পাগল বলে হাবু নালিশ জানাল।
প্রশ্ন- হাবুর প্রাণ যায় যায় কেন?
উত্তর ঃ একই ঘরে এতগুলো বেড়াল, কুকুর, ছাগলের গন্ধে হাবুর প্রাণ যায় যায়।
প্রশ্ন- হাবু কাদের নামে কার কাছে অভিযোগ করেছে?
উত্তর : হাবু তার তিন দাদার নামে দারোগাবাবুর কাছে অভিযোগ করেছে।
প্রশ্ন- থানায় গিয়ে হাবু কী করল?
উত্তর : কেঁদে বলল, খুব মন দিয়ে আমার নালিশ শুনুন বড়োবাবু।
প্রশ্ন- হাবুর দুঃখটা কী ছিল?
উত্তর : তারা চার-চারজন ভাই একটা ঘরেই থাকত—এই ছিল হাবুর দুঃখ।
প্রশ্ন-হাবুর বারণ না শুনে কে কী করে?
উত্তর ঃ বারণ না শুনে হাবুর মেজদা একই ঘরে আটটা কুকুর পোষে।
প্রশ্ন- হাবু তার সেজদাকে পাগল বলেছে কেন?
উত্তর : হাবুর সেজদা একই ঘরে দশটা ছাগল বেঁধে রেখেছেন বলে।