এতোয়া মুণ্ডার কাহিনি| হাতে-কলমে অনুকরণ প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
এতোয়া মুণ্ডার কাহিনি
মহাশ্বেতা দেবী
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ গ্রামটার আদি নাম ছিল (শালগাড়া/হাতিম্বর/হাতিবাড়ি/শালগেড়িয়া)।
উত্তর : গ্রামটার আদি নাম ছিল শালগেড়িয়া।
১.২ মাতি বাবু ছিলেন গ্রামের (আদিপুরুষ/ভগবান/জমিদার/মাস্টার)।
উত্তর : মোতি বাবু ছিলেন গ্রামের জমিদার।
১.৩ এতোয়া' শব্দটির অর্থ (রবিবার/ সোমবার/বুধবার/ছুটির দিন)।
উত্তর ঃ 'এতোয়া' শব্দটির অর্থ রবিবার
১.৪ শূরবীর ছিলেন একজন (সর্দার/আদিবাসী রাজা/ বনজীবী/যাত্রাশিল্পী)।
উত্তর : শূরবীর ছিলেন একজন আদিবাসী রাজা।
১.৫ ডুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি (পাহাড়ের/ঝর্নার/নদীর/গাছের)।
উত্তর : ডুলং, সুবর্ণরেখা নামগুলি নদীর।
২.উপযুক্ত শব্দ বসিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করো :
২.১ আর হাতিশালাটা ছিল........I
উত্তর : আর হাতিশালাটা ছিল পাথরের।
২.১ এতোয়ার দাদু বলে এক সময় এটা ছিল ...... গ্রাম।।
উত্তর : এতোয়ার দাদু বলে এক সময় একটা ছিল আদিবাসী গ্রাম।
২.৩ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার..... .নাতিটার দিকে তাকায়। উত্তর ঃ গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মাল নাতিটার দিকে তাকায়।
২.৪ তবে জঙ্গল তো.....।
উত্তর ঃ তবে জঙ্গল তো মা।
২.৫ ......স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।
উত্তর : প্রাইমীরি স্কুলের চালাঘরের কোল দিয়ে পথ।
৩. অর্থ লেখো :
গর্জন-গম্ভীর আওয়াজ।
বাগাল—রাখাল।
গুঞ্জন — গুনগুন শব্দ।
দুলন্ত—দুলছে যা।
গোড়া—মূল।
৪. বিপরীতার্থক লেখো ?
পূর্বপুরুষ—উত্তরপুরুষ।
আদি—অস্ত।
কচি—পুরুষ্ট।
শুকনো—ভিজে।
বিশ্বাস —অবিশ্বাস।
৫. সমার্থক শব্দ লেখো ঃ
জল—বারি, নীর,সলিল।
নদী—তটিনী, স্রোতস্বিনী, তরঙ্গিণী।
সমুদ্দুর—জলধি, সাগর, বারিধি, সিন্ধু।
জঙ্গল—বন,অরণা, বিটপী।
উলগুলান — যুদ্ধ,বিদ্রোহ।
৬. ক্রিয়াগুলির নীচে দাগ দাও ঃ
৬.১ সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন পাহারা দিত গ্রামকে।
উত্তর ঃ সাবু আর শাল গাছের পাঁচিল যেন (পাহারা দিত) গ্রামকে।
৬.২ এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর হিসাব করে ?
উত্তর : এখন কেউ চাঁদ দিয়ে বছর (হিসাব করে)?
৬.৩ ছোটোনাগপুর ছাড়লাম।
উত্তর : ছোটোনাগপুর (ছাড়লাম)।
৬.৪ জঙ্গল নষ্ট করি নাই।
উত্তর : জাল নষ্ট (করি নাই)।
৬.৫ যে বাঁচায় তাকে কেউ মারে?
উত্তর : যে (বাঁচায় ) তাকে কেউ (মারে)?
৭ দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :
৭.১.গায়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল নাতিটার দিকে তাকায়।
উত্তর : গাঁয়ের বুড়ো সর্দার মঙ্গল। সে নাতিটার দিকে তাকায়।
৭.২ হাতিশালাটায় দেয়াল তুলে ওটা এখন ধান রাখার গোলাঘর।
উত্তর : হাতিশালাটায় দেয়াল তোলা হয়েছে। ওটা এখন ধান রাখার গোলাঘর।
৭.৩ আমাদের কালে, সেই জল দিয়ে চার মাইল যাও, তবে পাঠশালা।
উত্তর : আমাদের কালে, সেই জাল দিয়ে যেতে হত। চার মাইল গেলে তবে পাঠশালা।
৭.৪ এখন ও লাফায় আর নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ!
উত্তর : এখন ও লাফায়। নদীর জল, কাশবন, বুনোফুল, আকাশ সকলকে ডেকে বলে, সে কী ভীষণ যুদ্ধ।
৭.৫ ডুলং, ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়, বয়ে যায়।
উত্তর ঃ ডুলং ও সুবর্ণরেখাও হেসে চলে যায়। তারা বয়ে যায়।
৮. বাকারচনা করো :
পাঁচিল-বাড়ি আড়াল করতে পাঁচিল দেওয়া হয়।
চাঁদ—পূর্ণিমার রাতে চাঁদকে বড়ো দেখায়।
দেশ—আমাদের দেশ অনেক বড়ো।
মানুষ—মানুষ খুব বুদ্ধিমান।
জঙ্গল- জঙ্গল পশুদের বাসঘর।
৯. কোনটি কোন ধরনের বাক্য লেখো ঃ
৯.১ স্রোত কী জোরালো।
উত্তর : বিস্ময়বোধক বাক্য।
৯.২ কচি ছেলে, কিছুই জানে না।
উত্তর : না বাচক বাক্য।
৯.৩ সে যেন গেরুয়া জলের সমুদ্দুর।
উত্তর ঃ হ্যাঁ বাচক বাক্য।
৯.৪ নামটা বদলে গেল কেন গো?
উত্তর : প্রশ্নসূচক বাক্য।
৯.৫ কী যুদ্ধ, কী যুদ্ধ!
উত্তর : বিস্ময়বোধক বাক্য।
১০. কোনটি কোন শব্দ, ঝুড়ি থেকে বেছে নিয়ে আলাদা করে লেখো
শব্দঝুড়ি-
মস্ত,আমাদের,শিকার,,বুড়ো,বুড়ো, ভীষণ, ছোট্ট, ও,
চরায়, রাখে, ঝাঁকড়া,,ধারালো, ওঠে, সরু।
উত্তর :
বিশেষ্য -
লড়াই, শিকার।
বিশেষণ-
মস্ত, বুড়ো, ভীষণ, ছোট্ট, ঝাঁকড়া, ধারালো, সরু।
সর্বনাম-
আমাদের, তুই, সে।
ক্রিয়া-
চরায়,রাখে, ওঠে।
অব্যয়-
ও
১১. নিম্নলিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রে দুটি বাক্যকে জুড়ে একটি বাক্য লেখো : (একটি করে দেওয়া হল)
১১.১ কী গল্পই বললে আজ দাদু। সবাই শুনছিল গো! (দাদু আজ এমন গল্প বললে যে সবাই শুনছিল গো!)
১১.২ এতোয়া রে! ছেলে তুই বড্ড ভালো।
উত্তর : এতোয়া তুই বড্ড ভালো ছেলে।
১১.৩ তুই বড্ড বকিস এতোয়া। তোর বাপেরও এতো কথা শুধাবার সাহস হতো না।
উত্তর : এতোয়ার মতো এত কথা শুধাবার সাহস তার বাপেরও হত না।
১১.৪ বাবুরা এল। আমাদের সব নিয়ে নিল।
উত্তর ঃ বাবুরা এসে আমাদের সব নিয়ে নিল।
১১.৫ আদিবাসী আসছে। মানুষ বাড়ছে।
উত্তর ঃ আদিবাসী আসায় মানুষ বাড়ছে।
১২. এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ শব্দ তৈরি করো :
দিসীআবা—আদিবাসী,
বখারের্ণসু—সুবর্ণরেখা,
গাংড়ারদ –দরংগাড়া,
টিড়াপোমা – পোড়ামাটি,
ষপুদিরুআ - আদিপুরুষ।
১৩. এলেমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো :
১৩.১ ছাগল কাজ গোরু ওর চরানো।
উত্তর : ওর কাজ গোরু ছাগল চরানো।
১৩.২ তির শনশন তারা তখন ছোঁড়ে।
উত্তর ঃ তারা তখন শনশন তির ছোঁড়ে।
১৩.৩ আগে হাজার চাঁদ হাজার।
উত্তর : হাজার হাজার চাঁদ আগে।
১৩.৪ ছিল পাথরের হাতিশালাটা আর।
উত্তর ঃ আর ছিল পাথরের হাতিশালাটা।
১৩.৫ সপ্তাহে হাট প্ৰতি ৰসে তো গ্রামে।
উত্তর : গ্রামে তো প্রতি সপ্তাহে হাট বসে।
১৪. লেখালেখি ছাড়াও আর কী কী কাজ মহাশ্বেতা দেবী করেছেন ?
উত্তর : মহাশ্বেতা দেবী লেখালেখি ছাড়াও সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি অধ্যাপিকাও ছিলেন।
১৪.২ আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : আদিবাসী জীবন নিয়ে লেখা তাঁর একটি বইয়ের নাম 'এতোয়া মুন্ডার যুদ্ধজয়'।
১৪.৩. ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর একটি বিখ্যাত বইয়ের নাম 'গল্পের গোরু ন্যাদোশ'।
১৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৫.১ সেও এক ভীষণ যুদ্ধ'—কোন্ যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর : সিধু কানু যখন সাঁওতালদের নিয়ে ১৮৫৫ সালে সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধে নামল, সেটা ছিল ভীষণ যুদ্ধ। সেই যুদ্ধের কথা এখানে বলা হয়েছে।
১৫.২ গাঁয়ের নাম হাতিঘর হল কেন?
উত্তর : মোতিবাবুর পূর্বপুরুষ মস্ত বড়ো জমিদার ছিলেন। তাঁদের হাতি ছিল, হাতিশালাটা পাথরের তৈরি ছিল। তখন থেকেই গ্রামটির নাম হাতিঘর ছিল।
১৫.৩ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে কী বলত?
উত্তর ঃ ভজন ভুক্তা এতোয়াকে বাছা বলত ।
১৫.৪ হাতিঘর-এ কেমন ভাবে যাবে সংক্ষেপে লেখো।
উত্তর ঃ হাতিঘর যেতে হাওড়া থেকে খড়্গপুরে নেমে বাসে করে গুপ্তমণি মন্দিরে বড়াম দেবীর মন্দিরের কাছে নামতে হবে। সেখান থেকে বাসে রোহিণীতে নামতে হবে। রোহিণী থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে সাত-আট মাইল হাঁটলে হাতিঘরে পৌঁছোনো যায়।
১৫.৫ এতোয়া নামটি কেন হয়েছিল?
উত্তর : এতোয়া নামটি রবিবারে জন্মানোর জন্য হয়েছিল। ঠাকুর্দা নামটি রেখেছিলেন।
১৫.৬ এতোয়ার রোজকার কাজের বর্ণনা দাও।
উত্তর ঃ এতোয়া রোজ গোরু, ছাগল, মোষ চরায়। তার প্রিয় মোষটির পিঠে চেপে সে গেরুয়া সমুদ্র পেরিয়ে চলে যায়। সে যেন এক দুরন্ত বাচ্চা ঘোড়া। ঠাকুরদার জন্য সে শুকনো ডাল, শুকনো পাতা, জ্বালানি ধরাবে বলে কুড়িয়ে আনে। প্রতি সপ্তাহে হাটের দোকানে ঝাঁটপাট দেয়। আম বাগানে বাবুর গোরু চরাতে চরাতে টোকো আম, মেটে আলু, শুকনো কাঠ কুড়িয়ে নেয়। ঘন সবুজ ঘাসবনে গোরু মোষ ছেড়ে দিয়ে ডুলং নদীর ধারে বসে। নিজের বাঁশে বোনা জালটা সুবর্ণরেখা নদীতে ফেলে মাছ ধরে।
১৫.৭ এখন গ্রামে ইস্কুল, তবু... - বক্তা কে? আগে কী ছিল?
উত্তর : বক্তা সাঁওতাল মাস্টার। আগেকার দিনে ইস্কুল যেতে হলে জঙ্গল দিয়ে চার মাইল যেতে হত, তবে পাঠশালায় যেতে পারত। কারণ তখন ধারেকাছে কোনো ইস্কুল ছিল না।
(১৬) বাঁদিকের শব্দের সঙ্গে মিল আছে এমন ডানদিকের শব্দ খোঁজো :
উত্তর-
হাতি > শুঁড়
চাল > ধাষ
গ্রাম > পল্লি
চাঁদ > জ্যোৎস্না
পাতা > ধান
১৭. সংকেতটি অনুসরণ করে একটি গল্প বানাও ঃ
উত্তর : নিজে করো।