বিমলার অভিমান | পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Wednesday, 20 November 2024

বিমলার অভিমান | পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা | হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 




              

পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
     বিমলার অভিমান
        
নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য

হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর

১. নিজে ভেবে লেখো :

১.১ তোমার বাড়িতে বাবা/মা/দাদা/ভাই/দিদি কে বেশি কাজ করে ? তারা কী কী কাজ করে ?
উত্তর : আমার বাড়িতে দিদি বেশি কাজ করে। সে বিছানা তোলে, ধোয়া বাসন গুছিয়ে রাখে, কাচা কাপড় জামা রোদে শুকাতে দেয়। আলনা গুছিয়ে রাখে, আমার ও ভাইয়ের পড়ার বইগুলো টেবিলে থাকে, সেগুলো তাকে তুলে টেবিল মুছে দেয়।

১.২ বাড়িতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এ বিষয়ে তোমার কী মনে হয় তা লেখো।
উত্তর : বাড়িতে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এ বিষয়ে আমার মনে হয়, মেয়েরা সর্বদাই মাকে সাহায্য করে। মা যেগুলো সময়ের মধ্যে করে উঠতে পারেন না সেগুলো মেয়েরাই করে দেয়।

১.৩ ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে তফাত করা উচিত নয়—এই নিয়ে যুক্তি দিয়ে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর : ছেলে এবং মেয়ের মধ্যে তফাত করা উচিত নয়। এর পিছনে যুক্তি হল-
(১) শিক্ষার দিক থেকে ছেলে এবং মেয়ে সমান যোগ্যতাসম্পন্ন হতে পারে।
(২) ছেলে এবং মেয়ে সবার সমান অধিকার আছে।
(৩) কর্মক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে সবরকমই সংস্থায় কাজ করতে পারে।
(৪) পাইলট, ড্রাইভার, মহাকাশযাত্রী সবেতে ছেলেমেয়েরাই সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
(৫) গৃহস্থ এবং বাজার দোকানের কাজ সবই ছেলেমেয়েরা একই সঙ্গে করতে পারে।

২. শব্দযুগলের অর্থ পার্থক্য লেখো :
উত্তর : ভার—ওজন
ভাঁড়—মাটির পাত্র
বাঁচা—জীবনধারণ
বাছা–বেচারি

৩. নীচের প্রতিটি শব্দের দুটি করে অর্থ লেখো :
উত্তর : বেলা-দিন বা রাতের সময়কাল।
বেলা—বেলফুল।
সোনা—মূল্যবান ধাতু
শোনা—কানে শুনতে পাওয়া
দাম—জিনিসপত্রের মূল্যবিশেষ।
দাম—মানুষের প্রয়োজনীয়তা ও কাজকর্মের তুলনাবিশেষ।


:৪. পাঠ্য কবিতাটি থেকে অন্ত্যমিল খুঁজে নিয়ে লেখো (৫টি) ঃ
একটি করে দেওয়া হল—


নুন
চুন

তার
ভার

করো
মরো

শ‍্যামী
আমি

তাই
ভাই


৫. ক' স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভের মিল করো।

উত্তর-
নুন > লবণ
দূরন্ত > দুষ্টু
ছাই > ভস্ম
ফরমাস > আদেশ
চুড়ো > শিখর

৬. শব্দঝুড়ি থেকে নিয়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো ঃ
উত্তর-

শব্দঝুড়ি
ক্ষীর, বেশি, ছাই, দুরন্ত,
বিমলা, নুন, ঝাল, ছোটো,
পান, নটে গাছ, খোকা, কম

বিশেষ্য-
ক্ষীর, ছাই,বিমলা, নুন, পান, নটে গাছ,খোকা।

বিশেষণ-

বেশি, দূরন্ত, ঝাল,ছোটো, কম।

৭. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৭.১ খাব না তো আমি।
উত্তর : (খাব) না তো আমি।

৭.২ যা বিমলা যা।
উত্তর-(যা) বিমলা (যা)।

৭.৩ ও বিমলা নে মা একবার।
উত্তর ঃ ও বিমলা (নে) মা একবার।

৭.৪ অবু বেশি খাবে।
উত্তর ঃ অবু বেশি (খাবে।)

৭.৫ দে মা এনে চুন।
উত্তর : (দে) মা (এনে) চুন।


৮. শূন্যস্থান পূরণ করো ঃ

৮.১ .... করি, দাও এনে, সোনামণি মা।
উত্তর : পূজা করি, দাও এনে, সোনামণি মা।


৮.২ কাঁদিলে....খোকা রাখা তারে ভার।
উত্তর ঃ কাদিলে দুরন্ত খোকা রাখা তারে ভার।

৮.৩ ছাগলেতে.....গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।
.উত্তর ঃ ছাগলেতে নটে গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।


৮.৪ পানটা যে বড়ো....দে মা এনে চুন।
উত্তর ঃ পানটা যে বড়ো ঝালি, দে মা এনে চুন।


৯. যেটা বেমানান তার নীচে দাগ দাও :
৯.১  ক্ষীর, ছাগল, বিমলা, অবনী, দাদা।
উত্তর ঃ ক্ষীর ছাগল, বিমলা, অবনী, দাদা।
৯.২  ফুল, রাধু, বিমলা, সোনামণি মা, পূজা।
উত্তর : ফুল, রাধু, বিমলা, সোনামণি মা, পূজা।
৯.৩ সোনার চূড়ো, ছাইয়ের নুড়ো, দাদা, বিমলা, মাধু।
উত্তর : সোনার চুড়ো, ছাইয়ের নুড়ো, দাদা, বিমলা, মাধু।


১০ বিপরীতার্থক শব্দ লেখো : দাও, বড়ো, বেশি, ঝাল, আসে।
উত্তর ঃ দাও—নাও,
 বড়ো—ছোটো
 বেশি—কম
ঝাল-মিষ্টি
আসে - যায়।

১১  বাক্যরচনা করো ও ক্ষীর, দুরন্ত, ছাই, নটেগাছ, চুন।
উত্তর :
ক্ষীর— নবান্ন দুধ থেকে ক্ষীর হয়।
ছাই—খুঁটে আগুনে পুড়িয়ে ছাই করা হয়।
চুন— পান খেতে চুন দরকার।
দুরন্ত— রকেট মহাকাশে যান নিয়ে যায়। ।
নটেগাছ— নটেগাছ লতিয়ে চলে।



১২. শব্দগুলো ঠিকমতো সাজিয়ে বাক্য তৈরি করো :
১২.১ পরিমাণে দাদার কম বিমলার থেকে ক্ষীর।
উত্তর : ক্ষীর দাদার থেকে বিমলার পরিমাণে কম

১২.২ হয় বিমলাকে ফুল পূজার আনতে।
উত্তর : বিমলাকে পূজার ফুল আনতে হয়।

১২.৩ করে সবার পালন বিমলা ফরমাস সব।
উত্তর : সবার সব ফরমাস বিমলা পালন করে।

১২.৪ মেয়ে বিমলার অবিচার প্রতি শুধু বলে হয় করা।
উত্তর ঃ মেয়ে বলে শুধু বিমলার প্রতি অবিচার করা হয়।


১২.৫ নয় করা ছেলেমেয়ের বৈষম্য মধ্যে উচিত।
উত্তর : ছেলেমেয়ের মধ্যে বৈষম্য করা উচিত নয়।

 ১৩. কোনটি কী ধরনের বাক্য লেখো :
 ১৩.১ খাব না তো আমি।
উত্তর : না-বোধক বাক্য।

১৩.২ যা বিমলা যা।
উত্তর : আদেশমূলক বাক্য।

১৩.৩ ছাগলেতে নটে গাছ খেলে যে মুড়িয়ে।
উত্তর ঃ বিস্ময়মূলক বাক্য।

১৩.৪ আমার বেলায় বুঝি, ক্ষীর মাত্র নাম-ই?
উত্তর : প্রশ্নমূলক বাক্য।


৪.১ কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য কোন্ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন ?





উত্তর : কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সংস্কৃত কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
১৪.২ তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : কবির লেখা দুটি উল্লেখযোগ্য বই হল (১) ছবির ছড়া (২) সকালের ইতিকথা।

১৪.৩ তিনি কোন্ কোন্ পত্র-পত্রিকা সম্পাদনার কাজে যুক্ত ছিলেন?
উত্তর : কবি নবকৃষু ভট্টাচার্য 'সখা' পত্রিকার সম্পাদক এবং 'মাসিক বসুমতী' পত্রিকার সহ-সম্পাদক ছিলেন।


১৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৫.১ বিমলাকে সারাদিন কোন্ কোন্ কাজ করতে হয়?
উত্তর : বিমলাকে সারাদিন যেসব কাজ করতে হয় সেইগুলো হল-
(১) মায়ের জন্য পূজার ফুল তোলা। (২) দুরস্ত খোকা কাদলে তাকে ভুলিয়ে রাখা। (৩) ছাগলে নটে গাছ মুড়িয়ে।খেতে এলে তাকে তাড়ানো। (৪) দাদার পাতে লবণ দেওয়া। (৫) মায়ের পান খেতে ঝাল লাগলে চুন এনে দেওয়া।

১৫.২ বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম কী? সে ও তার দাদা বেশি বেশি খাবার পাবে কেন ?
উত্তর : বিমলার ছোটো ভাইয়ের নাম অবু বা অবনী। বিমলার ছোটো ভাই ও দাদা বেশি পাবে এই কারণে যে, ছোটো।ভাইয়ের আবদার এবং বড়ো ভাইয়ের লেখাপড়ার জন্য।


১৫.৩ তাই বুঝি বিমলার কমে গেছে দাম-ই'—বিমলার দাম কমে গেছে মনে হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : বিমলার দাম কমে যাওয়ার কারণ সে মেয়ে হয়ে জন্মেছে বলে।
১৫.৪ বিমলার প্রতি তোমার অনুভূতির কথা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
উত্তর : বিমলা একটি সরল বুদ্ধিমতী মেয়ে। আজকাল ছেলের সঙ্গে মেয়ের কোনো পার্থক্য নেই। শিক্ষা, কাজকর্ম,ক্ষমতা সবেতেই ছেলে ও মেয়ে সমান। উপযুক্ত পরিবেশে দুজনেরই সমান বিকাশ হয়। ছেলে ও মেয়ের মধ্যে সেই কারণে কোনো তফাত করতে নেই।।



১৫.৫ খেতে না চেয়ে তুমি বা তোমার বন্ধুরা কখনো প্রতিবাদ জানিয়েছ বা জানানোর চেষ্টা করেছ—যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, সে সম্বন্ধে লেখো।
উত্তর ঃ খেতে না চেয়ে আমি অবশ্য কোনো প্রতিবাদ জানাইনি বা জানানোর চেষ্টা করিনি। তবে আমার বন্ধুরা মাঝেমধ্যে খেতে না চাওয়ার সংবাদ দেয়। সেখানে দেখা যায়, ইস্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, অথচ রান্না তখনও হয়ে ওঠেনি।
সেই কারণেই আমার বন্ধুরা অনেকসময় না খেয়ে ইস্কুলে আসে বা পড়তে চলে যায়।


১৫.৬ বিমলার অভিমান করার কারণ কী তা নিজের ভাষায় আট/দশটি বাক্যে লেখো।
উত্তর ঃ বিমলার অভিমান করার কারণ, সে মেয়ে বলে তার প্রতি অনাদর করা হয়। বিমলা কারও কাছ থেকে তেমন।সুবিধা বা আদর পায় না। একটু বয়স হতেই তাকে বাড়ির লোকেরা সবসময় ফরমাস করে। সে বাঁচল কিংবা মরল, তার কষ্ট হল কিংবা দুঃখ পেল এসব কেউ দেখে না। বিমলার যে একটু বিশ্রাম দরকার সেটা কেউ ভাবে না। সকলেই সুযোগ পেলেই বা প্রয়োজন হলেই বিমলাকে দিয়ে খাটিয়ে নেয়। বিমলা যেহেতু বড়ো নয়, আবার ছোটোও নয়, সেই কারণে সকলের ফরমাস তাকে শুনতে হয়। সেইমতো কাজ করতে হয়।