ছেলেবেলা গল্পের প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা - Online story

Monday, 25 November 2024

ছেলেবেলা গল্পের প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা

  


পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
ছেলেবেলা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
হাতে-কলমে প্রশ্নের উত্তর


১. সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখ। 

১.১ চিলেকোঠা হলো (কাঠের ঘর/ তেতালার ঘর/ ছাদের উপরে সিঁড়ির ঘর/ বসবাস করার ঘর।
উত্তর -হল ছাদের উপরে সিঁড়ির ঘর

১২ ভারতবর্ষের বিখ্যাত মরুভূমিটি হল (গোবি / সাহারা / থর)।
উত্তর ঃ  থর।

১.২ লিডিস্টেন ছিলেন (ইতালি / জার্মানি/ইংল্যান্ড/স্কটল্যান্ড) দেশের মানুষ।
উত্তর :  ইংল্যান্ড

১.৩ জুড়িগাড়ি হল (ঘোড়ায় টানা/জাতিতে টানা/যন্ত্রচালিত/গরুতে টানা) গাড়ি।
উত্তর : ঘোড়ায় টানা গাড়ি।



2. 'ক' স্তম্ভের 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো ঃ


              ক' স্তম্ভ           খ'স্তম্ভ

উত্তর :
কেতাব  >  বই
মরুভূমি  > শুষ্ক জলহীন স্থান
ওয়েসিস  > মরুদ্যান
সেইস >
ঘোড়াকে দেখাশোনা করার লোক
চৌকিদার > পাহারাদার



৩. কোনটি বেমানান খুঁজে নিয়ে লেখো ?
৩.১ পুকুরের পাতিহাঁস, ঘাটে লোকজনের আনাগোনা, অর্ধেক পুকুর জোড়া বট গাছের ছায়া, জুড়িগাড়ির সইস।
উত্তর : জুড়িগাড়ির সইস।


৩.২ তেতালা ঘর, সাত সমুদ্দুর, সেকেন্ড ক্লাস, পিপেগাড়ি।
উত্তর : সাত সমুদ্দুর।

৩.৩ চুড়িওয়ালা, ফেরিওয়ালা, সইস, বালক সন্ন্যাসী।
উত্তর : বালক সন্ন্যাসী।

৩.৪ পিলপেগাড়ি, জুড়িগাড়ি, রিকশা, গাড়িবারান্দা।
উত্তর ঃ গাড়িবারান্দা।

৩.৫ চিল, রোদ্দুর, দুপুর, লোকবসতি।
উত্তর ঃ লোকবসতি ।

৪. তোমার পাঠ্যাংশে রয়েছে এমন পাঁচটা ইংরেজি শব্দ খুঁজে নিয়ে লেখো :
উত্তর ঃ সোফা, সেকেন্ড, ক্লাস, ওয়েসিস, লিভিংস্টন।


৫. 'চুড়িওয়ালা' (চুড়ি + ওয়ালা), 'ফেরিওয়ালা' (ফেরি + ওয়ালা) এরকম শব্দের শেষে 'ওয়ালা' যোগ করে পাঁচটি নতুন শব্দ তৈরি করো।
উত্তর ঃ ছাতা + ওয়ালা = ছাতাওয়ালা।
বাড়ি +ওয়ালা = বাড়িওয়ালা।
 সবজি + ওয়ালা = সবজিওয়ালা।
বাসন + ওয়ালা = বাসনওয়ালা।
ঘুটে + ওয়ালা = ঘুটেওয়ালা।



৬. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৬.১ রাঙা হয়ে আসত ....চিল ডেকে যেত
উত্তর ঃ রাঙা হয়ে আসত রোদ্দুর, চিল ডেকে যেত আকাশে

৬.২ আমার জীবনে বাইরের......ছাদ ছিল প্রধান।......দেশ।
উত্তর ঃ আমার জীবনে বাইরের খোলা ছাঁদ ছিল প্রধান ছুটির দেশ।

৬.৩ .......তাকে যেন বাংলাদেশের.......এইমাত্র খুঁজে বের করল।
উত্তর ঃ লুকিয়ে-ঢোকা নাবার ঘর তাকে যেন বাংলাদেশের শিশু লিভিংস্টোন এইমাত্র খুঁজে বের করল।
৬.৪ এই ছাদের মরুভূমিতে তখন একটা ....দেখা দিয়েছিল।


উত্তর ঃ এই ছাদের মরুভূমিতে তখন একটা ওয়েসিস দেখা দিয়েছিল।

৬.৫ নীচের .....বাজল চারটে।
উত্তর ঃ নীচের দেউড়ির ঘণ্টায় বাজল চারটে।



৭. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো :
বেলোয়ারি, চুড়ি, মাদুর, ঝাকড়া, বিবাগি, গড়ন, দামি, নীল, গরম, ঘোলা, পুকুর, লোকজন।
উত্তর :
বিশেষ্য-চুড়ি, পুকুর, মাদুর , গড়ন, লোকজন।



বিশেষণ -
বেলোয়ারি,বিবাগি,নীল,গরম, ঝাঁকড়া, দামি, ঘোলা।





৮. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও
৮.১ হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছত।
উত্তর : হঠাৎ তাদের হাঁক [পৌঁছত।]

৮.২ সেইখানে অত্যন্ত একলা হয়ে বসতুম।
উত্তর : সেইখানে অত্যন্ত একলা হয়ে [বসতুম।]

৮.৩ হাত গলিয়ে ঘরের ছিটকিনি দিতুম খুলে।
উত্তর : হাত গলিয়ে ঘরের ছিটকিন  [দিতুম খুলে।]

৮.৪ ধারাজল [পড়ত] সকল গায়ে।
উত্তর : ধারাজল পড়ত সকল গায়ে।

৮.৫ পুকুর থেকে পাতিহাঁসগুলো [উঠে গিয়েছে।]
উত্তর ঃ পুকুর থেকে পাতিহাঁসগুলো উঠে গিয়েছে।


৯. বাক্যরচনা করো :
প্রধান, দেশ, বালিশ, মরুভূমি, ধুলো।
উত্তর : প্রধান—ভারতে কৃষিজদ্রব্যের মধ্যে ধান প্রধান।
বালিশ—শোওয়ার সময় বালিশ দরকার হয়।
ধুলো—মাটির রাস্তায় খুব ধুলো ওড়ে।
দেশ—ভারতবর্ষ আমাদের দেশ।
মরুভূমি—উট মরুভূমিতে দেখা যায়।


১০. 'গ্রহণ' শব্দটিকে দুটি আলাদা অর্থে ব্যবহার করে পৃথক বাক্যরচনা করো।
উত্তর : গ্রহণ–(কোনো কিছু নেওয়া) – পারিবারিক উৎসবে গৃহকর্তা দান হিসেবে উপঢৌকন গ্রহণ করেন।
গ্রহণ—(গ্রাস করা)—চন্দ্রগ্রহণের অর্থ চন্দ্রকে রাহু গ্রাস করে না বরং পৃথিবী, সূর্য ও চন্দ্র একই সরলরেখায় আসে।


১১. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
আড়াল, চুপ, আনন্দ, গলি, ফিকে।
উত্তর : আড়াল-প্রকাশ্য।

চুপ—মুখর।
আনন্দ নিরানন্দ।
গলি-রাজপথ।
ফিকে—স্বচ্ছ।


১২. অর্থ লেখো :
মূর্তি, পিলপেগাড়ি, বিবাগি, নাগাল, দেউড়ি।

উত্তর : মূর্তি—বিগ্রহ।
পিলপেগাড়ি —হাতিতে টানা গাড়ি।
বিবাগি —সংসার ত্যাগী।
 নাগাল – হস্তগত। দেউড়ি সদর দরজা।


১৩. প্রতিশব্দ লেখো :
পৃথিবী, পাহাড়, আকাশ, জল, গাছ।

উত্তর : পৃথিবী—ধরণি, পৃথ্বী, ভুবন, বসুমতী, ধরিত্রী, দেশ।
আকাশ—গগন, নভঃ, অম্বর, অভ্র, নীলিমা, অন্তরীক্ষ ।
গাছ—বৃক্ষ, তরু, পাদপ, দ্রুম, শাখী, বিটপী, অটবী।
পাহাড়—গিরি, শৈল, অচল, অদ্রি, ভূধর।
জল—বারি, সলিল, নীর, অপ, উদক।


১৪. দুটি বাক্যে ভেঙে লেখো :
১৪.১ আমার পিতা যখন বাড়ি থাকতেন তাঁর জায়গা ছিল তেতলার ঘরে।
উত্তর ঃ আমার পিতা মাঝে মধ্যে বাড়ি থাকতেন। তখন তাঁর জায়গা ছিল তেতলার ঘরে।

১৪.২ আমি লুকিয়ে ছাদে উঠভূম প্রায়ই দুপুর বেলায়।
উত্তর : আমি লুকিয়ে ছাদে উঠতুম। আমি ছাদে উঠতুম দুপুর বেলায়।

১৪.৩ হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছোত, যেখানে বালিশের ওপর খোলা চুল এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকত বাড়ির বউ।
উত্তর ঃ হঠাৎ তাদের হাঁক পৌঁছোত বাড়ির বউ-এর কাছে। বাড়ির বউ তখন বালিশের ওপর খোলাচুল এলিয়ে দিয়ে শুয়ে থাকত।

১৪.৪ বিছানার একখানা চাদর নিয়ে গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে বসতুম।
উত্তর : বিছানার একখানা চাদর নিয়ে আমি গা মুছতাম। গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে বসতুম।

১৪.৫ গরম বাতাস হু হু করে ছুটে যাচ্ছে ধুলো উড়িয়ে।
উত্তর : গরম বাতাস হু হু করে ছুটে যাচ্ছে। বাতাস ধুলো উড়িয়ে যাচ্ছে।

১৫.১ কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের বাড়িটি কী নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত?
উত্তর ঃ কলকাতায় রবীন্দ্রনাথের বাড়িটি 'জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি' নামে পরিচিত।

১৫.২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটোদের জন্য লিখেছেন এমন দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোটোদের জন্য লিখেছেন 'সহজপাঠ', 'শিশু ভোলানাথ'।

১৫.৩ ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন্ দুটি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন ?
উত্তর ঃ ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত দুটি পত্রিকার নাম হল 'ভারতী' এবং 'বালক'। এই দুটি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন।

১৬ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৬.১  বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ কী ছিল?
উত্তর ঃ বালক রবীন্দ্রনাথের প্রধান ছুটির দেশ ছিল তেতলার বাইরের খোলা ছাদ।

১৬.২ তাঁর বাড়ির নীচতলায় বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে কী কী দেখা যেত?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথ বাড়ির নীচতলার বারান্দায় বসে রেলিঙের ফাঁক দিয়ে রাস্তার লোক চলাচল দেখতেন। ছাদের ওপর পিপেগাড়ি পেরিয়ে যাওয়া দেখতেন।
১৬.৩ পাঠ্যাংশে 'ওয়েসিস'-এর প্রসঙ্গ কীভাবে রয়েছে?
উত্তর : ‘ওয়েসিস' শব্দের অর্থ মরূদ্যান। কবি ছাদটাকে মরুভূমি মনে করেছেন। কলের ধারাজল বসাতে ছাদেতে যে জলাধার রাখা হয়েছিল সেটাকেই কবি ওয়েসিস বা মরূদ্যান মনে করেছেন।


১৬.৪ পাঠ্যাংশে রবীন্দ্রনাথের পিতার সম্পর্কে কী জানতে পারো?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের পিতা তেতলার ঘরে থাকতেন। মাঝেমধ্যে তিনি অনেক দিনের জন্য পাহাড়ে-পর্বতে চলে যেতেন।
| চিলেকোঠার আড়াল দিয়ে রবীন্দ্রনাথ দেখতেন ভোরবেলা সূর্য ওঠার আগে তাঁর পিতা সাদা পাথরের মূর্তির মতো ছাদে চুপ করে বসে আছেন। কোলে দুটি হাত জোড়-করা। তিনি তখন ধ্যানে বসতেন।

১৬.৫ পিতার কলঘরের প্রতি ছোট্ট রবির আকর্ষণের কথা কীভাবে জানা গেল ?
উত্তর : পিতার কলঘরের প্রতি ছোট্ট রবিঠাকুরের আকর্ষণ ছিল। তিনি বিকেলবেলায় ওই কলের ধারাজলে গা ধুয়ে নিতেন। বিছানার একটা চাদর দিয়ে গা মুছে সহজ মানুষ হয়ে বসতেন।

১৬.৬ ছুটি শেষের দিকে এসে পৌঁছলে রবির মনের ভাব কেমন হতো?
উত্তর : ছুটির দিনটা যখন শেষ হয়ে যায়, তখন যেন রবির মনে হত যে সোমবার থেকেই আবার কাজের তাড়া আসবে। দেউড়ির ঘণ্টা বাজলেই ছুটতে হবে।


১৬.৭ পাঠ্যাংশে কাকে, কেন বাংলাদেশের ‘শিশু লিভিংস্টন' বলা হয়েছে?
উত্তর : ছোট্ট রবি লুকিয়ে যখন ছাদ থেকে নাবার ঘরে আসতেন, তখন তাকে বাংলাদেশের শিশু লিভিংস্টন মনে হত। ইংল্যান্ড দেশের পাশেই ছোটো একটা দেশ স্কটল্যান্ডের লোক ছিলেন ডেভিড লিভিংস্টন। তিনিই প্রথম দক্ষিণ ও মধ্য আফ্রিকার অনেকটা অংশে অভিযান করেছেন। নীলনদের উৎসস্থল টাঙ্গানিকা হ্রদ আর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত অবধি পৌঁছোনোর কৃতিত্ব তাঁরই। জাম্বেসি ও কঙ্গো নদীপথ ধরে তাঁর অভিযান পৃথিবীর অভিযাত্রার ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে।

১৬.০ তুমি যখন আরও ছোটো ছিলে তখন তোমার দিন কীভাবে কাটত, তোমার চারপাশের প্রকৃতি কেমন ছিল তা লেখো।
উত্তর ঃ আমি যখন ছোটো ছিলাম তখন মায়ের হাত ধরে স্কুলে যেতে শুরু করি। মা নিজেই স্কুল থেকে নিয়ে আসতেন।
সকালে স্কুল বসত। স্কুল থেকে ফিরে স্নান সেরে আহারাদি করে দুপুরে স্কুলের দেওয়া কাজগুলো সারতাম। বিকেল চারটে বাজলে সামনের মাঠে গিয়ে প্রকৃতির কোলে একটু ছোটাছুটি করতাম, ক্রিকেট খেলতাম। সন্ধে হলেই বাড়িতে হাতমুখ ধুয়ে পড়তে বসতাম। বাবা এসে পড়াতেন। রাত নটায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমোতে যেতাম। এরই মাঝে সময়
হলে টিভি দেখতাম।
: