মাঠ মানে ছুট অনুশীলন প্রশ্নের উত্তরপঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
মাঠ মানে ছুট
কার্তিক ঘোষ
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. শূন্যস্থানে কবিতা থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বসাও :
১.১ ‘মাঠ’ মানে শুধুই মজা নয়।
মজা, ছুটি, হল্লা, হাসি খুশি
‘মাঠ' মানে আসলে......I
উত্তর ঃ ‘মাঠ” মানে আসলে খুশির অগাধ লুটোপুটি।
১.২ ‘ছুট' মানে শুধুই সাহস নয়।
সাহস,ঢেউ,ভাঙা, খাঁচা
'ছুট' মনে আসলে......।
উত্তর ঃ ‘ছুট” মানে আসলে ছোট্ট পাখির আগল ভাঙা খাঁচা।
২. নিজের ভাষায় লেখো :
২.১ ‘মাঠ’ কথাটা শুনে তোমার চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে তা লেখো।
উত্তর ঃ ‘মাঠ” কথাটা শুনে আমার চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে তা হল মাঠ সবুজের সমারোহ। অগাধ খুশি ও আনন্দের জায়গা এই মাঠ। অস্তগামী সূর্যের আলোর প্রলেপ দেওয়া একটি স্থান।
২.২ ‘মাঠ’ এবং ‘শৈশব’-এর এক অদ্ভূত যোগ আছে—তোমার বন্ধুদের সঙ্গে বিকেলগুলো কীভাবে মাঠে খেলে বা গল্প করে কাটে, তার বর্ণনা দাও।
উত্তর ঃ আমরা প্রতিদিন বিদ্যালয় ছুটির পর গ্রামের খেলার মাঠে ফুটবল খেলতে যাই। এই মাঠের সঙ্গে শৈশব কালের একটা অদ্ভুত যোগ রয়েছে, যা আমরা মাঠে খেলতে এসে বুঝতে পারি। কোনো কারণে একদিন আমাদের খেলা বন্ধ থাকলে সেদিন মন খুবই খারাপ হয়। কোনো কাজে উৎসাহ পাই না। এই খেলার মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ আমরা
লাভ করি। মাঠ হল তাই সবুজ প্রাণের শাশ্বত একটি প্রদীপ।
৩. বাক্যরচনা করো :
ছুটি, বাঁশি, বাজনা, ছুটন্ত, দীপ।
উত্তর ঃ ছুটি—রবিবারে বিদ্যালয় ছুটি থাকে।
বাঁশি—মেলায় বাঁশির পব্দ শোনা যায়।
বাজনা—পুজোয় বাজনা বাজে।
ছুটন্ত—ছুটন্ত অবস্থায় অনেকে আঘাত পায়।
দীপ—সন্ধ্যাবেলায় ঠাকুরঘরে দীপ জ্বলে।
৪. ক্রিয়াটি বেছে নিয়ে আলাদা করে লেখো :
৪.১ মাঠে শিশুরা অগাধ খুশিতে লুটোপুটি খায়।
উত্তর : লুটোপুটি খায় ৷
৪.২ ছুট মানে বুঝতে গেলে ছুটতে হবে।
উত্তর : ছুটতে হবে।
৪.৩ আর কিছু বলব না।
উত্তর : বলব।
8.8 ছুটি সাত সমুদ্দুরের ঢেউকে ডেকে আনে।
উত্তর ঃ ডেকে আনে।
৪.৫ জীবনে আমি শুধু এগিয়ে যাব।
উত্তর : এগিয়ে যাব।
৫. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো :
ছুট, হাসি, দিন, শাশ্বত, আশা।
উত্তর : ছুট—থামা।
হাসি-কান্না।
দিন-রাত।
শাশ্বত-ক্ষণস্থায়ী।
আশা-নিরাশা।
৬. অর্থ লেখো :
অথই, হল্লা, নিকেল, আগল, পোক্ত।
প্রাক্ত— মজবুত।
উত্তর : অথই -যেন তল নেই এমন গভীর।
হল্লা-চ্যাঁচামেচি।
নিকেল-ধাতুর প্রলেপ।
আগল - দরজার খিল ।
৭. সমার্থক শব্দ লেখো ?
দিন, পা, সমুদ্র, ঘুম, শক্ত।
উত্তর : দিন—দিবস।
পা—চরণ।
সমুদ্র—অর্ণব।
ঘুম—নিদ্রা।
শক্ত—কঠিন।
৮. বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো ঃ
হারানো বাঁশি শাশ্বত দীপ পোক্ত ভাষা ভাঙা খাঁচা সবুজ সমুদ্দুর।
উত্তর :
বিশেষ্য বিশেষণ
বাঁশি হারানো
ভাষা পোক্ত
সমুদ্দুর সবুজ
দীপ শ্বাশ্বত
খাঁচা ভাঙা
৯. কোনটি বেমানান তার নীচে দাগ দাও :
৯.১ মাঠ, ছুট, মজা, লুটোপুটি, বাড়ি।
উত্তর :বাড়ি
৯.২ ছুটি, হাসি, বাঁশি, নাচ, পড়া।
উত্তর :পড়া
৯.৩ আশা, বাঁচা, ছোটো, মজা, ঘুম।
উত্তর :ঘুম
৯.৪ পাখি, মাঠ, আকাশ, গাছ, সমুদ্র।
উত্তর :সমুদ্র
৯.৫ মজা, খুশি, হল্লা, নাচা, ভাঙা।
উত্তর-ভাঙা
১০. বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো ঃ
পু টো টি লু—লুটোপুটি।
ট স্ত ফু— ফুটন্ত।
আ ল গ - আগল।
দ্দুস মুর-সমুদ্দুর।
ত শ্ব শা–শাশ্বত।
১১. এলোমেলো শব্দগুলিকে সাজিয়ে বাক্য গঠন করো :
১১.১ কী মানে পাখির ছোট্ট ভাঙা আগল খাঁচা ছুট।
উত্তর : ছুট মানে কী ছোট্ট পাখির আগল ভাঙা খাঁচা!
১১.২ আর বলব না কিছু ছুটেই কী দেখো ছুট মানে।
উত্তর ঃ ছুট মানে কী ছুটেই দেখো—আর কিছু বলব না।
১১.৩ শাশ্বত দীপ এক তো মাঠ মানে সবুজ প্রাণের।
উত্তর : মাঠ মানে তো সবুজ প্রাণের শাশ্বত এক দীপ।
১১.৪ ঘুম তাড়ানো মন হারানো বাঁশি কী মাঠ মানে।
উত্তর : মাঠ মানে কী ঘুম তাড়ানো মন হারানো বাঁশি।
১১.৫ ছুটি মানে কী মজাই শুধু মাঠ মানে মাঠ কী।
উত্তর : মাঠ মানে কী মজাই শুধু মাঠ মানে কী ছুটি.....
১২. একই অর্থের অন্য শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :
আনন্দ, গড়াগড়ি খাওয়া, চিৎকার-চেঁচামেচি, বংশী, চিরদিনের, বাঁধন, পির
উত্তর : আনন্দ—মজা।
গড়াগড়ি খাওয়া—লুটোপুটি।
বাঁধন—বাঁধা।
পিঞ্জর খাঁচা।
চিৎকার-চেঁচামেচি —হল্লা।
বংশী—বাঁশি।
চিরদিনের—শাশ্বত।
১৩. এককথায় প্রকাশ করো ও
১৩.১ যা ছুটে চলেছে-
উত্তর ঃ ছুটন্ত।
১৩.২ যা ফুটছে—
উত্তর ঃ ফুটন্ত।
১৩.৩ যে ঘুমিয়ে আছে—
উত্তর : ঘুমন্ত।
১৩.৪ যে নেচে চলেছে-
উত্তর : নাচনা।
১৪. শব্দযুগলের অর্থপার্থক্য দেখাও :
দীপ/দ্বীপ, ভাষা/ভাসা, দীন/দিন
উত্তর :
দীপ—প্রদীপ
দ্বীপ—জলবেষ্টিত এলাকা।
ভাষা—মুখের কথা
ভাসা–ভেসে থাকা।
দীন-দরিদ্র।
দিন—দিবস।
১৫. একই শব্দকে দু-বার বাক্যে ব্যবহার করে দেখাও, তাদের অর্থ একবার ব্যবহার করলে যা বোঝায় কীভাবে বদলে গেল :
ঘুম, খুশি, ভাঙা, সোনা, সবুজ।
উত্তর :
ঘুম-
> সকালে ঘুম থেকে উঠি।
>কাকুর চোখে সবসময় ঘুম ঘুম ভাব থাকে।
খুশি—
> পরীক্ষায় প্রথম হয়ে মেয়েটি খুব খুশি।
> ভোজের দিন সবাই খুশি খুশি থাকে।
ভাঙা-
>ভাঙা বাড়ি ভেঙে গেছে ।
> ভাঙা ভাঙা গলায় আমরা গান শুনব না।
সোনা-
> সোনার দাম অনেক ।
> মাঠে মাঠে সোনার ফসল ফলেছে।
সবুজ—
> গাছের পাতার রং সবুজ।
> সবুজ সবুজ মাঠ প্রাণের শাশ্বত একটি প্রদীপ।
১৬.১ কবি কার্তিক ঘোষের লেখা দুটি ছড়ার বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর ঃ কবি কার্তিক ঘোষের লেখা দুটি ছড়ার বইয়ের নাম 'একটা মেয়ে একা’, ‘আমার বন্ধু গাছ'।
১৬.২ তাঁর সম্পাদিত দুটি বইয়ের নাম করো।
উত্তর : তাঁর সম্পাদিত দুটি বইয়ের নাম ‘শ্রেষ্ঠ কিশোর কল্পবিজ্ঞান, ‘সেরা রূপকথার গল্প'।
১৬.৩ কোন্ বইয়ের জন্য তিনি 'সংসদ' পুরস্কারে সম্মানিত হন?
উত্তর : ‘টুম্পুর জন্য' বইয়ের জন্য তিনি 'সংসদ' পুরস্কারে সম্মানিত হন।
১৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৭.১ কবি খুশির অবাধ লুটোপুটি কোথায় খুঁজে পান ?
উত্তর : কবি খুশির অবাধ লুটোপুটি খুঁজে পান নীল আকাশের নীচে খোলা মাঠে।
১৭.২ কোথায় গেলে কবি তাধিন তাধিন শব্দ শুনতে পান ?
উত্তর : মাঠে গেলে কবি ছোটো শিশুর নূপুর পরা পায়ে তাধিন তাধিন শব্দ শুনতে পান।
১৭.৩ ছুট মানে কী বুঝতে গেলে কী করতে হবে?
উত্তর ঃ ছুট মানে কী বুঝতে গেলে খোলা মাঠে গিয়ে নিজেকে ছুটতে হবে।
১৭.৪ ‘নিকেল করা’ বিকেলের আলো কবি কোথায় দেখতে পান ?
উত্তর ঃ ‘নিকেল করা’ বিকেলের আলো কবি দেখতে পান খোলা আকাশের নীচে মাঠে দাঁড়িয়ে।
১৭.৫ পাখির খাঁচার আগল ভাঙলে পাখি কী করে?
উত্তর ঃ পাখির খাঁচার আগল ভাঙলে পাখি খোলা আকাশে স্বাধীনভাবে ছুটে বেড়ায়।
১৭.৬ কবির কাছে মাঠ বলতে যা বোঝায় তা যে-কোনো তিনটি ভাবনা কবিতা থেকে বুঝে নিয়ে লেখো।
উত্তর : কবির ভাবনায় (ক) মাঠ বলতে বোঝায় নীল আকাশের নীচে শুধুই মজা। মাঠ মানে ছুটি। (খ) মাঠ মানে কেবলমাত্র চিৎকার চেঁচামেচি আর হাসি। (গ) মাঠ মানে ছেলেমেয়েদের শৈশব জীবনে চিরন্তন সবুজ প্রাণের প্রদীপ।
১৭.৭ ছুট অর্থে কবি যা যা বলেছেন তা (তিন-চারটি বাক্যে) লেখো।
উত্তর : কবির ভাবনায় ছুট মানে বেঁচে থাকার জন্য সাহসের সঙ্গে ছুটে চলা। যেমন একটা ছোটো পাখি ভাঙা খাঁচা থেকে বেরিয়ে স্বাধীনভাবে নিজের খেয়ালখুশি মতো আকাশে উড়ে বেড়ায়। ছুটে চলার মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকার আনন্দ মানুষ অনুভব করে। ছুটে চলার মধ্য দিয়েই মানুষ মুক্ত জীবনের রসদ আহরণ করে। ছুটে চলার মধ্য দিয়ে মানুষ জীবনে
এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ লাভ করে।
১৭.৮ ‘মাঠ' আর 'ছুট' তোমার কাছে কী অর্থ নিয়ে ধরা দেয় তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর : মাঠ হল মুক্তির আনন্দ। শাশ্বত সবুজ প্রাণের আনন্দ স্থল হল মাঠ। মাঠ হল সবুজের সমারোহ যা আমাদের চোখে শাস্তি এনে দেয়। মাঠে গেলে আমরা মুক্ত জীবনের স্বাদ খুঁজে পাই।
অপরদিকে ছুট অর্থ ছুটে চলা। জীবন মানেই ছুটে সকলের চেয়ে এগিয়ে চলা। জীবনের উন্নতির জন্য নির্দিষ্ট পথে এগিয়ে চলাই হল ছুট। এই ছুটে চলার মধ্য দিয়ে আমরা বেঁচে থাকার আনন্দ খুঁজে পাই ।
১৭.৯ তোমার দৃষ্টিতে আদর্শ মাঠটির চেহারা কেমন, তা একটি ছবি এঁকে বুঝিয়ে দাও।
উত্তর ঃ নিজে করো।