গল্পবুড়ো অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা - Online story

Monday, 4 November 2024

গল্পবুড়ো অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা

 




পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
গল্লবুড়ো
সুনির্মল বসু

হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
১.১ উত্তুরে হাওয়া' বলতে বোঝায় হাওয়া যখন উত্তর দিক থেকে বয়ে আসে। এমন ভাবে(গ্ৰীস্ম/শরৎ/শীত/বর্ষা/) কালে হাওয়া বয়।
উত্তর-শীত

১.২  থুথুড়ে শব্দটির অর্থ(চনমনে/জড়সড়ো/জ্ঞানী / নড়বড়ে।
উত্তর ঃ নড়বড়ে।

১.৩ রূপকথার গল্পে যেটি থাকে না। (দত্যি-দানো/পক্ষীরাজ/রাজপুত্ত্বর উড়োজাহাজ)।
উত্তর : উড়োজাহাজ।


১.৪ রূপকথার গল্প সংগ্রহ করেছেন এমন একজন লেখকের নাম বেছে নিয়ে লেখো। (আশাপূর্ণা দেবী/দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার/সত্যজিৎ রায়/শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)।
উত্তর :দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।

২.১ লেখালেখি ছাড়াও সুনির্মল বসু আর কোন্ কাজ ভালো পারতেন ?
উত্তর : সুনির্মল বসু লেখালেখি ছাড়াও  ভালো ছবি আঁকতে পারতেন।

২.২ তার লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর : তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম 'হাওয়ার দোলা', 'ছানাবড়া'।


৩. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :
থা ৰু ক প = ৰূপকথা
জ ক্ষী রা প = পক্ষীরাজ
র ত্ত্ব জ রা পু = রাজপুত্তুর
ব প ম ন ন = মনপবন
জ গু বি আ = আজগুবি


(৪) অন্তমিল আছে এমন পাঁচজোড়া শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :

উত্তর :
উত্তুরে> থুথুড়ে
ব্যথা > কথা
ঝোলা > ভোলা
যক্ষিরাজ > পক্ষীরাজ
দাঁড়খানা > কারখানা
বাঁধা > ধাঁধা



৫. বাক্য বাড়াও
(৫.১) শীতকালে হাওয়া বইছে। (কেমন হাওয়া?)
উত্তর : শীতকালে উত্তুরে হাওয়া বইছে।

৫.২ গল্পবুড়ো ডাকছে। (কেমন বুড়ো ?)
উত্তর : থথুড়ে গল্পবুড়ো ডাকছে।

৫.৩ গল্পবুড়োর মুখ ব্যথা। (মুখ ব্যথা কেন ? )
উত্তর ঃ চেঁচিয়ে গল্পবুড়োর মুখ ব্যথা।

৫.৪ গল্পবূড়োর ঝোলা আছে। (কোথায় ঝোলা ?)
উত্তর : কাঁধের ওপর গল্পবুড়োর ঝোলা আছে।

৫.৫ দেখবি যদি আয়। (কীভাবে আসবে ?)
উত্তর ঃ দেখবি যদি, জলদি আয়।


৩. 'ক' এর সঙ্গে 'খ' স্তস্ত মিলিয়ে লেখো

তল্পি > ঝোলা
ৰূপকথা > কাল্পনিক গল্প
ভোরে > বিহানে
পবন > বাতাস
সত্ত্বর > দ্রুত





৭. 'ডাকছে রে' আর 'ডাক ছেড়ে' শব্দজোড়ার মধ্যে কী পার্থক্য তা দুটি বাক্য রচনা করে দেখাও ঃ
যেমন— বাছুরটি ডাক ছেড়ে মাকে ডাকছে রে।
উত্তর ঃ (১) মা ডাক ছেড়ে ছেলেকে ডাকছে রে। (২) ডাকছে রে বিড়াল ডাক ছেড়ে।


৮. শব্দঝুড়ির থেকে নিয়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো ঃ
উত্তর :
শব্দঝুড়ি
উত্তুরে, থুথুড়ে, তন্ত্রি, ঝোলা,
থুথুড়ে, জলদি, আজগুবি, সত্বর, শীত, রাজপুত্তুর, কারখানা


বিশেষ্য
তমি , ঝোলা , শীত, রাজপুত্তুর, কারখানা

বিশেষণ
উত্তুরে , থুথুড়ে,জলদি, আজগুবি, সত্ত্বর


৯. পক্ষীরাজ এর মতো (ক + ষ্ = ক্ষ) রয়েছে এমন পাঁচটি শব্দ তৈরি করো ঃ

উত্তর ঃ থুথুড়ে—(ত্ +থ্ = ত্থ  )।
গল্প – ( ল্ + প্ =ল্প)।
সত্বর– (ত্ + ব্ = ত্ব)।
 নন্দিনী – ( ন+ দ্ = ন্দ)।
উত্তুরে (ত্+ ত্ = ত্ত)।
ছোট্ট (ট্+ ট = ট্র)


১০. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও
১০১ বইছে হাওয়া উত্তুরে।
উত্তর ঃ (বইছে) হাওয়া উত্তরে।
১০. ডাক ছেড়ে সে ডাকছে রে।
উত্তর : ডাক (ছেড়ে) সে (ডাকছে) রে।


১০.৩ আয় রে ছুটে ছোট্টরা।
উত্তর : আয় রে ( ছুটে) ছোট্টরা।

১০.৪ দেখবি যদি জলদি আয়।
উত্তর : (দেখবি) যদি জলদি (আয়)।

১০. চেঁচিয়ে যে তার মুখ ব্যথা ।
উত্তর : (চেঁচিয়ে) যে তার মুখ ব্যথা।


১১. তোমার দৃষ্টিতে গল্পবুড়ো সাজ-পোশাকটি কেমন হবে, তা একটি ছবিতে আঁকো। উত্তর ঃ নিজে চেষ্টা করো।
১২ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো
২২. গল্পবুড়ো কখন গল্প শোনাতে আসে?
উত্তর : শ্রীতের ভোরে গল্পবুড়ো গল্প শোনাতে আসে।

১২.২ গল্পবুড়োর ঝোলায় কী কী ধরনের গল্প রয়েছে?
উত্তর ঃ গল্পবুড়োর ঝোলায় দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ যেমন আছে তেমন ঝলমলে সোনার কাঠি, ময়নামতী নদী, তেপান্তরের মাঠ, কেশবর্তী নন্দিনী ইত্যাদি নিয়ে রূপকথার গল্প গল্পবুড়োর ঝোলায় বন্দি আছে। এদের নিয়ে সে গল্প বলে।

১২.৩ গল্পবুড়ো শীতকালের ভোরে ছোটোদের কীভাবে ঘুম থেকে ওঠাতে চায় ?
উত্তর : শীতকালের ভোরে গল্পবুড়ো পথ দিয়ে যেতে যেতে ডাক ছেড়ে ডাক পেড়ে গল্প বলে ছোটোদের ঘুম থেকে ওঠাতে চায়।2

১২.৪ রূপকথা'র কোন্ কোন্ বিষয় কবিতাটিতে রয়েছে?
উত্তর ঃ গল্পবুড়োর কাঁধে একটি বড়ো ঝোলা রয়েছে। সেই ঝোলায় রূপকথার দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ যেমন আছে, তেমন ঝলমলে সোনার কাঠি, ময়নামতী নদী, তেপান্তরের মাঠ, কেশবতী নন্দিনী সবই বন্দি আছে।


১২.৫ গল্পবুড়ো কাদের তার গল্প শোনাবে না?
উত্তর : গল্পবুড়োর যারা শত্রু, যারা মূর্খ, অলস তাদের গল্প শোনাবে না।
তি) তোমার পড়া অথবা শোনা একটি রূপকথার গল্প নিজের ভাষায় লেখো :
নিজে করো।



দু-এক কথায় উত্তর দাও :
> গল্পবুড়ো' কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর ঃ 'গল্পবুড়ো' কবিতাটি কবি সুনির্মল বসুর লেখা।
>কাদের কী জন্য ডাকছে গল্পবুড়ো?
উত্তর : শিশুদের ঘুম থেকে ওঠার জন্য ডাকছে গল্পবুড়ো।

 > গল্পবুড়োর কাঁধে কী রয়েছে?
উত্তর ঃ গল্পবুড়োর কাঁধে রয়েছে রূপকথার গল্পের ঝোলা।

>এর রূপকথা শব্দটির অর্থ কী ?
উত্তর ঃ বিভিন্ন ধরনের আজগুবি গল্পকে রূপকথা বলা হয়।

>এ কড়ি বলতে কী বোঝো?
উত্তর : আগেকার দিনে টাকাপয়সার মতো বিনিময়ের জন্য কড়ি ব্যবহৃত হত।

> ময়নামতীর জল কীরকম?
উত্তর ঃ ময়নামতী একটি নদীর নাম। তার জল টলমল করছে।

> নন্দিনী কোথায় রয়েছে?
উত্তর ঃ কেশবর্তী পরি নন্দিনী বন্দি হয়ে আছে গল্পবুড়োর ঝোলাতে।

> 'গল্পবুড়োর ঝোলাতে কারা বাঁধা আছে?
উত্তর : দত্যি, দানব, পক্ষীরাজ, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর বাঁধা রয়েছে।

> 'কী ধরনের হাওয়া বইছে?

উত্তর : উত্তুরে  ঠান্ডা কনকনে হাওয়া বইছে।

> গল্পবুড়োর চেহারাটা কেমন?

উত্তর : গল্পবুড়োর চেহারাটা থুথুড়ে অর্থাৎ একেবারে নড়বড়ে।

>কোথা দিয়ে চলেছে গল্পবুড়ো ?
উত্তর : পথ ধরে হেঁটে চলেছে গল্পবুড়ো।

> চেঁচিয়ে বুড়োর কী অবস্থা হয়েছে?
উত্তর : চেঁচিয়ে বুড়োর মুখ ব্যথা হয়েছে।

> গল্পবুড়ো কেমন করে ডাকছে?
উত্তর : গল্পবুড়ো হাঁক ছেড়ে ডাকছে।

>  হাঁক ছেড়ে গল্পবুড়ো কী বলছে?



উত্তর : হাঁক ছেড়ে গল্পবুড়ো সবাইকে ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনায় মন দিতে বলছে।


প্রশ্ন-  গল্পবুড়ো কাদেরকে ছুটে আসছে বলছে?
উত্তর : ছোটোদেরকে ছুটে আসতে বলছে।

প্রশ্ন-  ছোটোদেরকে গল্পবুড়ো ছুটে আসতে কেন বলেছে?
উত্তর : গল্পবুড়োর তল্পিতে যা আছে তা দেখাবে বলে ছোটোদেরকে সে ছুটে আসতে বলছে।

প্রশ্ন- ঝোলাটা বুড়োর কোথায় আছে?
উত্তর ঃ ঝোলাটা বুড়োর কাঁধে আছে।


প্রশ্ন- গল্পবুড়োর কাঁধের ঝোলায় কী আছে?
উত্তর : গল্পবুড়োর কাঁধের ঝোলায় মন ভোলানো অনেক গল্প আছে।

প্রশ্ন-  সার বাঁধা কী আছে?
উত্তর ঃ কড়ির পাহাড় সার বাঁধা আছে।

প্রশ্ন-  চোখ ধাঁধা হয়ে যাবে কীসে?
উত্তর ঃ মানিক-হীরায় চোখ ধাঁধা হয়ে যাবে।

প্রশ্ন- গল্পবুড়োর ঝোলাতে কী ঝলমলে আছে?
উত্তর : গল্পবুড়োর ঝোলাতে সোনার কাঠি ঝলমলে আছে ।

প্রশ্ন- গল্পবুড়োর তল্পিটায় কী আটকে আছে?
উত্তর : গল্পবুড়োর তল্পিটায় হট্টমেলার হাটখানা আটকে আছে।

প্রশ্ন-  গল্পবুড়োর থলিতে কে বন্দিনি আছে?

উত্তর : গল্পবুড়োর থলিতে কেশবর্তী নন্দিনী বন্দিনি আছে।


প্রশ্ন- 'শীতের প্রখর প্রত্যূষ' কাকে বলে?
উত্তর ঃ প্রত্যূষ মানে সকাল, আর শীতকালের সকালের আরামদায়ক রোদ্দুরকে বলা হয় প্রখর প্রত্যূষ।


প্রশ্ন- গল্পৰুড়োর কাছে কারা শত্রু?
উত্তর : শীতের প্রখর প্রত্যূষে যে ঘুম থেকে উঠে তার কাছে আসবে না গল্পবুড়ো তাকেই শত্রু বলেছে।


 প্রশ্ন-‘থরথর' শব্দের ‘র' বর্ণটি দুবার রয়েছে। এরকম ‘ল' বর্ণটি দুবার আছে এমন দুটি শব্দ লেখো।
উত্তর : ঝলমল, টলমল।


প্রশ্ন- গল্পবুড়ো কখন আসে?
উত্তর ঃ শীতের ভোরবেলায় গল্পবুড়ো আসে।



 প্রশ্ন-কার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছিল?
উত্তর : গল্পবুড়োর।


প্রশ্ন-‘বইছে হাওয়া উত্তুরে'—উত্তুরে হাওয়া বইলে কী অনুভূতি হয়?
উত্তর : উত্তুরে হাওয়া বইলে খুব ঠান্ডা অনুভূত হয়।

প্রশ্ন-কী চেঁচিয়ে গল্পবুড়োর মুখ ব্যথা হয়েছে ?
উত্তর : ‘রূপকথা চাই, রূপকথা চাই'—বলে চেঁচিয়ে গল্পবুড়োর মুখ ব্যথা হয়েছে।

প্রশ্ন-'দেখবি যদি জলদি আয়'—গল্পবুড়ো কী দেখতে বলছে?
উত্তর : গল্পবুড়োর তল্পিটায় যা আছে অর্থাৎ, রূপকথা ইত্যাদি তা দেখতে বলছে।


প্রশ্ন-‘কাঁধের উপর এই ঝোলা’– ঝোলাতে কী কী আছে?
উত্তর ঃ কাঁধের ওপর ঝোলাতে আছে আজগুবি মন ভোলানো গল্প, দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ আর
মনপবনের দাঁড়খানা।

প্রশ্ন-গল্পবুড়োর পিঠে বাঁধা তল্পিতে কী কী রয়েছে?
উত্তর : গল্পবুড়োর পিঠে অনেক চোখ বাঁধানো মণিমাণিক্য, হিরে, কড়ি সব রয়েছে। সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তারা ময়নামতী নদীতে যেতে পারে।


 প্রশ্ন-বলব নাকো রূপকথা'—গল্পবুড়ো কেন রূপকথা বলবে না ?
উত্তর : শীতের সকালে কোনো শিশু যদি গল্পবুড়োর কাছে না আসে তাহলে সে তার শত্রু। তাই গল্পবুড়ো তাদের মূর্খামি ভেঙে দেবে আর সে কোনো রূপকথাই শোনাবে না।


 'প্রশ্ন-গল্পবুড়ো' নামকরণ সার্থক হয়েছে বলে মনে হয় কি এবং কেন ?
উত্তর : ‘গল্পবুড়ো' কবিতাটি সুন্দর ছন্দ মিলিয়ে যেন গল্প বলার কৌশলে লেখা হয়েছে। ফলে কবিতাটির নাম সার্থক হয়েছে বলে আমি মনে করি।


সংক্ষেপে উত্তর দাও :
 প্রশ্ন-গল্পবুড়ো কাদের গল্প শোনাবে না?
উত্তর ঃ যারা অলস, মূর্খ, যারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠবে না তাদের গল্প শোনাবে না এবং যারা শত্রুতা করবে তাদের গল্প শোনাবে না।


প্রশ্ন-তেপান্তর বলতে কী বোঝো?

উত্তর ঃ দূরের নদী পেরিয়ে সবুজ মাঠকে তেপান্তর বলে। সেখানে পরিদের, রাজপুত্রদের রূপকথার গল্প ভেসে আসে।

প্রশ্ন-কয়েকটা চোখ ধাঁধানো জিনিসের নাম লেখো।
উত্তর : কড়ির পাহাড়ে সব চোখ ধাঁধানো জিনিস যেমন, মানিক – হিরা পাওয়া যায়। ঝলমলে সোনার কাঠি পাওয়া যায়।

প্রশ্ন-রূপকথা কাকে বলে ?
উত্তর : যে গল্পে রাজপুত্র, রাজকন্যা, পক্ষীরাজ ঘোড়া, সোনার কাঠি, রুপোর কাঠি, রাক্ষসী, রাক্ষস ইত্যাদি মজার ঘটনা লেখা থাকে তাকে বলে রূপকথা।

প্রশ্ন-কার, কী কারণে চেঁচিয়ে মুখ ব্যথা করছে?
উত্তর : শীতের ভোরে উত্তুরে হাওয়া বইছে। সেই শীতের হাওয়ায় থুথুড়ে গল্পবুড়ো পথ ধরে তাড়াতাড়ি হেঁটে চলেছে আর ‘রূপকথা চাই, রূপকথা' বলে সে এমনই চ্যাচাচ্ছে যে তাতেই তার মুখ ব্যথা করছে।



প্রশ্ন-ডাক ছেড়ে গল্পবুড়ো কী বলছে?
উত্তর : হাঁক ছেড়ে ডেকে গল্পবুড়ো ছোটোদের ঘুম থেকে উঠতে বলছে এবং ছুটে এসে তাড়াতাড়ি তার ভঙ্গিতে অর্থাৎ ঝোলাতে কী আছে দেখতে বলছে।

প্রশ্ন-গল্পবুড়োর ঝোলায় কী কী ধরনের গল্প রয়েছে?
উত্তর : গল্পবুড়োর কাঁধে যে ঝোলা আছে তাতে আছে মন ভোলানো প্রচুর গল্প। দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর আর পক্ষীরাজ ঘোড়া ইত্যাদি সম্পর্কে মজার মজার রূপকথার গল্পে ভরা।

প্রশ্ন-হট্টমেলার হাটখানাসহ গল্পবুড়োর তল্পিতে আর কী কী আটকে আছে?
উত্তর ঃ সার বাঁধা কড়ির পাহাড়, চোখ ধাঁধানো মানিক-হিরা, ঝলমলে সোনার কাঠি, টলটলে ময়নামতী আর তেপান্তরের
মাঠখানা গল্পবুড়োর তল্লিতে আটকে আছে।


প্রশ্ন-মনপবনের দাঁড়খানা বলতে তুমি কী বোঝো ?
উত্তর ঃ 'পবন' কথার মানে বাতাস। 'দাঁড়' শব্দের অর্থ প্রায় ৬ ইঞ্চি চওড়া আর ১০ ফুট লম্বা যে কাঠের লাঠির সাহায্যে মাঝি নৌকা চালায়। এখানে মনপবনের দাঁড় বলতে কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়ানোর সাহায্যকারী বস্তু বোঝানো হয়েছে।
গল্পবুড়োর ঝোলাতে কে কেন বন্দিনি আছে?
উত্তর : গল্পবুড়োর ঝোলাতে বন্দিনি আছে কেশবর্তী নন্দিনি। হয়তো তাকে কোনো দত্যি, দানব কিংবা কোনো যক্ষিরাজ তাদের কোনো দাবি পূরণ হয়নি বলেই বন্দিনি করে রেখেছে।

প্রশ্ন-গল্পবুড়োর ঝোলায় রূপকথার কোন্ কোন্ বিষয় ভরা আছে?
উত্তর : 'গল্পবুড়ো' কবিতায় রূপকথার দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ, রাজপুত্তুর, পক্ষীরাজ যেমন আছে, তেমনি আছে ঝলমলে সোনার কাঠি, ময়নামতী নদী, তেপান্তরের মাঠ, বন্দিনী কেশবতী নন্দিনী আছে।


বড়ো প্রশ্নের উত্তর দাও :

প্রশ্ন-'কী আছে মোর তল্পিটায়'—এই কথাটি কে, কখন কাদেরকে বলেছে?
উত্তর : এই কথাটি গল্পবুড়ো বলেছে।
শীতকালের ভোর। উত্তুরে হাওয়া বইছে। সেই শীতে থুথুড়ে গল্পবুড়ো তাড়াতাড়ি পথ ধরে হেঁটে চলেছে।
'রূপকথা চাই, রূপকথা' বলে সে এমন চ্যাচাচ্ছে যে তার মুখ ব্যথা হয়ে গেছে। হাঁক ছেড়ে সে ছোটোদের ডেকে।তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে বলছে। ছোটোরা ছুটে এলে তাড়াতাড়ি সে তার তন্নি অর্থাৎ কাঁধের ঝোলায় কী আছে তা সে তাদেরকে দেখাবে।


প্রশ্ন-'ভর্তি আমার তল্পিটায়'—কার তন্ত্রিতে কী ভর্তি আছে?
উত্তর : এখানে গল্পবুড়ো শীতের ভোরবেলায় ছোটোদের ডেকে বলছে, তার কাধের ঝোলায় মন ভোলানো অনেক গল্প আছে। ছোটোরা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে বিছানা ছেড়ে উঠে তার কাছে ছুটে এলে সে তাদেরকে শোনাবে দত্যি দানব আর যক্ষিরাজের গল্প। আর আছে রাজপুত্তুর ও পক্ষীরাজ ঘোড়ার গল্প। মনপবনের দাঁড়খানা বেয়ে এগিয়ে গেলে তারা চোখের সামনে আজগুবি সব গল্পের কারখানা দেখতে পাবে গল্পবুড়োর ঝোলাতে আছে।


প্রশ্ন- আটকাল এই তল্পিটায়' বলতে কবি আমাদেরকে কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তর : গল্পবুড়ো কাঁধে গল্পের ঝোলা নিয়ে শীতের খুব ভোরবেলায় পথে বেরিয়েছে। ছোটোদের সে হাঁক ছেড়ে ডেকে বলছে তার গল্পের ঝোলায় আছে সার-বাঁধা কড়ির পাহাড়, চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়া মানিক হিরা। আর আছে রূপকথার গল্পের আসল বস্তু ঝলমলে সোনার কাঠি। ওই সোনার কাঠি দিয়েই বন্দিনি টলটলে ময়নামতী নদীকে উদ্ধার করা যায়।
এ ছাড়া গল্পবুড়োর তল্পিতে অর্থাৎ, গল্পের ঝোলায় আটকে আছে তেপান্তরের মাঠখানা এবং হট্টমেলার হাটখানা। ছোটোরা শীতের ভোরে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে বিছানা ছেড়ে উঠে গল্পবুড়োর কাছে ছুটে এলে গল্পবুড়ো তার ঝুলি উজাড় করে ওই রূপকথার গল্পগুলি ঢেলে দিতে পারে।