বুনো হাঁস হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা
বুনো হাঁস
লীলা মজুমদার
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো
১.১ আকাশের দিকে তাকালে তুমি দেখ অমরেন্দু (ঘরবাড়ি/গাছপালা/পোকামাকড়/মেঘ-রোদ্দুর)।
উত্তর : মেঘ-রোদ্দুর।
১.২ হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরও একটি পর্বতের নাম হল 'আরাবল্লী (কিলিমানজারো/আরাবল্লী/আন্দিজ/রকি)।
উত্তর : হিমালয় ছাড়া ভারতবর্ষের আরও একটি পর্বতের নাম হল আরাবল্লী।
১.৩ এক রকমের হাঁসের নাম হল বালি (সোনা/কুনো/কালি/বালি/) হাঁস।
উত্তর ঃ এক রকমের হাঁসের নাম হল বালি হাঁস।
১.৪ পাখির ডানার ঠোঁকে (বোঁ বোঁ/শন শন/ শোঁ শোঁ/ গাঁক গাঁক) শব্দ শোনা যায়।
উত্তর : পাখির ডানার শোঁ শোঁ শব্দ শোনা যায়।
২ 'ক' এর সঙ্গে 'খ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
উত্তর:;
বরফ > হিমানী
বুনো > বন্য
কুঁড়ি > কলি
চঞ্চল > অধীর
আরম্ভ > শুরু
৩. সঙ্গী - (ঙ্ + গ)—এমন 'গ' রয়েছে—এরকম পাঁচটি শব্দ লেখো :
উত্তর ঃ অঙ্গ, বঙ্গ, কলিঙ্গ, রক্ষা, অনঙ্গ — এই পাঁচটি শব্দের সবেতেই 'গ' রয়েছে।
৪. ঘটনাক্রম সাজিয়ে লেখো :
৪.১ দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
৪.২ হাঁসের ডানা জখম হল।
৪.০ সারা শীত কেটে গেল।
৪.৪ न হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
৪.৫ আরেকটা বুনো হাঁসও নেমে এসে এটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে।
উত্তর : ৪.৪ বুনো হাস দক্ষিণ দিকে উড়ে যে
হাসের ডানা জখন হল।
৪.৫ আরেকটা বুনো হাঁসও নেমে এসে এটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে।
৬.৩ সারা শীত কেটে গেল।
৪.১ দেশে ফিরে ভরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
৫) শূন্যস্থান পূরণ করো :
৫.১ ........ বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে আমাদের'
....…একটা ঘাঁটি ছিল।
উত্তর : লাডাকের একটা বরফে ঢাকা নির্জন জায়গাতে আমাদের জোয়ানদের একটা খাটি ছিল।
.
৫.২ জোয়ানদের ..... রাখার খালি জায়গা ছিল।
উত্তর : জোয়ানাদের মুরগি রাখার খালি জায়গা ছিল।
৫.৩ আস্তে আস্তে হাঁসের..... সারল ।
উত্তর : আস্তে আস্তে হাঁসের ডানাসারল ।
৫.৪ দলে দলে ..... তিরের ফলার আকারে, কেবলই .....দিকে উড়ে চলেছে।
উত্তর ও দলে দলে বুনো হাঁস তিরের ফলার আকারে, কেবলই উত্তর দিকে উড়ে চলেছে।
৪.৫ .....গাচ্ছে পাতার আর ফুলে...ধরল।
উত্তর ঃ ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলে কুঁড়ি ধরল।
৬. শব্দঝুড়ি থেকে বিশেষ্য ও বিশেষণ আলাদা করে লেখো ঃ
শব্দঝুড়ি:-
বুনো, জখন, লাডাক,
শীতকাল ,শীতকাল, বরফ, তাবু,
গরম,গরম, ন্যাড়া, সঙ্গী,
নির্জন, বেচারি, চল
বিশেষ্য;-
বেচারি,লাডাক,শীতকাল,বরফ,তাঁবু,সঙ্গী
বিশেষণ:-
বুনো,জখম,গরম,ন্যাড়া,নির্জন,চঞ্চল
৭. ক্রিয়ার নীচে দাগ দাও :
৭.১বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন করত।
উত্তর ঃ বাড়ির জন্য ওদের মন কেমন [করত]
৭.২ পাখিরা আবার আসতে আরম্ভ করল।
উত্তর : পাখিরা আবার [আসতে] আরম্ভ [করল।]
৭.৩ দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে।
উত্তর ঃ দেশে [ফিরে] ওরা বাসা [বাঁধবে।]
৭.৪ সেখানে বুনো হাঁসরা রইল।
উত্তর ঃ সেখানে বুনো হাঁসর [রইল।]
৭.৫ নিরাপদে তাদের শীত কাটে।
উত্তর ঃ নিরাপদে তাদের শীত [কাটে।]
৮. বাক্য বাড়াও
৮.১ একদিন একটা বুনো হাঁস দল ছেড়ে নেমে পড়ল। (কোথায় নেমে পড়ল ?)
উত্তর ঃ একদিন একটা বুনো হাঁস দল ছেড়ে নীচে নেমে পড়ল।
৮.২ ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে আবার ফিরে যাচ্ছে। (কোথায় এবং কখন ফিরে যাচ্ছে?)
উত্তর ঃ ওরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে শীতের শেষে নিজেদের দেশে আবার ফিরে যাচ্ছে।
৮.৩ পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল। (কোথাকার পাহাড় ?)
উত্তর ঃ নীচের পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল।
৮.৪ আবার ঝোপঝাপ দেখা গেল। (কেমন ঝোপঝাপ ?)
উত্তর ঃ আবার সবুজ ঝোপঝাপ দেখা গেল।
৮.৫ গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল। (কেমন গাছে?)
উত্তর ঃ ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল ।
৯. বাক্য রচনা করো ঃ রেডিয়ো, চিঠিপত্র, থরথর, জোয়ান, তাঁবু।
উত্তর : রেডিয়ো — আজকাল রেডিয়োর ব্যবহার দেখা যায় না।।
চিঠিপত্র – আজকাল চিঠিপত্র কেউ লেখে না।
থরথর—খুব শীতে হাত -পা থরথর করে।
জোয়ান—যুদ্ধে জোয়ান মারা যায়।
তাঁবু—খেলার জন্য মাঠের মাঝখানে তাঁবু খাটানো হয়েছে।
১০. তোমার বইতে যে বুনো হাঁসের ছবি দেওয়া আছে, সেটি দেখে আঁকো ও রং করো
উত্তর : নিজেরা বুনো হাঁসের ছবি আঁকো।
১১ নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো ঃ
১১.১ জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর : জোয়ানদের ঘাঁটি লাডাকে ছিল।
১১.২ জোয়ানরা কী কাজ করে ?
উত্তর : জোয়ানরা লাডাকের সীমান্তে যুদ্ধ করে।
১১.৩ দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়েছিল কেন?
উত্তর ঃ একটা বুনো হাঁস জখম হয়েছে আর একটা দলছুট হয়েছে।
১১.৪ বুনো হাঁসেরা জোয়ানদের তাঁবুতে কী খেত ?
উত্তর : বুনো হাঁসেরা জোয়ানদের তাঁবুতে টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি এসব খেত।
১১.৫ হাসেরা আবার কোথায়, কখন ফিরে গেল?
উত্তর ঃ শীতের শেষে উত্তরে নিজেদের দেশে হাঁসেরা আবার ফিরে গেল।
২১.৬ এমনি করে সারা শীত দেখতে দেখতে কেটে গেল'— কেমন করে সারা শীতকাল কাটল ? এরপর কী ঘটনা ঘটল ?
উত্তর : দুটো বুনো হাঁস জোয়ানদের ছাউনিতে এসে পড়েছিল। একটা হাঁস আহত ছিল এবং আর একটা হাঁস তাকে দেখতে এসেছিল। তারা পরিযায়ী পাখি। শীতের সময় বা গরমের সময় তারা এক দেশ থেকে আর এক দেশে ঘুরে বেড়ায়। তাদের বেশি শীত কিংবা বেশি গরম সহ্য হয় না। বরফে ঢাকা নির্জন জায়গায়, জোয়ানদের ঘাঁটিতে তাদের গোটা শীতটা)
দেখতে দেখতে কেটে গেল। এরপর যখন শীত কমে এলো তখন তারা ওই জোয়ানদের ঘাঁটি থেকে তাদের অন্যান্য সঙ্গীদের দেখে উত্তর দিকে নিজেদের দেশে উড়ে গেল।
১২. কোনো পশু বা পাখির প্রতি তোমার সহমর্মিতার একটা ছোট্ট ঘটনার কথা লেখো।
উত্তর ঃ কোনো পশু বা পাখির প্রতি একটি ছোটো ঘটনা :
নির্জন উদ্যানে বসে রাজকুমার সিদ্ধার্থ একদিন একটু আনমনা হয়ে কী যেন ভাবছিলেন। সুনীল নির্মল আকাশে তখন উড়ে বেড়াচ্ছিল শত শত রাজহংস। হঠাৎ এদেরই একটি বাণবিদ্ধ অবস্থায় সিদ্ধার্থের কোলে এসে পড়ল। শরবিদ্ধ হাঁসটির যন্ত্রণা সিদ্ধার্থের অন্তঃকরণ স্পর্শ করল। তিনি দয়াপরবশ হয়ে তখনই তার শরীর থেকে শরটিকে তুলে দিলেন।
নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে আহত হাঁসটিকে বাঁচানোর পর তাকে কোলে নিয়ে সিদ্ধার্থ জননীর মমতায় তার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। মূক ওই পাখিও যেন ওই স্নেহের অর্থ বুঝতে পেরে তাঁর দিকে নীরবে তাকিয়ে রইল। ঠিক ওই সময়ে সিদ্ধার্থের ভাই দেবদত্ত সেখানে উপস্থিত হল। সিদ্ধার্থকে সে জানাল, এ হাঁসটি তার; কারণ তারই শরে আহত হয়ে উড়ও হাঁসটি নীচে পড়েছে। সিদ্ধার্থ কিন্তু দেবদত্তের এই যুক্তি মানলেন না। তিনি ধীর স্বরে বললেন,
আহত বা হত জীবের ওপর হত্যাকারীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় তখনই, যখন সে জীবটিকে নিজের আয়ত্তে পায়। কিন্তু এখানে হাঁসটি রয়েছে সিদ্ধার্থের অধিকারে। তা ছাড়া যে জীবন নেয়, তার চেয়ে যে জীবন দেয় তারই তো অধিকার বেশি—সে দিক থেকে হাঁসটির ওপর সিদ্ধার্থের অধিকার বেশি। হাঁসটি মরেনি, সে আহত হয়েছে মাত্র। আহতের ব্যথা
কেমন, আজ তা মর্মে মর্মে তিনি অনুভব করছেন। বুঝেছেন, ক্ষুদ্র এই পাখিটির ক্ষুদ্র প্রাণ কী সাংঘাতিকভাবে আহত হয়েছে। এই হাঁসটির জন্য তিনি সর্বস্ব ত্যাগ করতেও রাজি—এমনকি শাক্যরাজ্যের সিংহাসনেও তাঁর প্রয়োজন নেই।
দেবদত্ত ওই সিংহাসন নিক, কিন্তু হাঁসটির ওপরে অধিকার কিছুতেই সিদ্ধার্থ ত্যাগ করবেন না।
সিদ্ধার্থের এই দৃঢ়তা দেখে দেবদত্ত বিস্মিত ও স্তম্ভিত হল। এ যেন রাজকুমার সিদ্ধার্থ নয়—করুণাঘন এক মূর্তি। দেবদত্ত আর কিছু না বলে নিজ গৃহাভিমুখে রওনা দিল। এদিকে সিদ্ধার্থ ও রাজহাঁসটিকে আকাশে উড়িয়ে দিলেন। সুখে আকাশে উড়তে উড়তে সে যেন সিদ্ধার্থের অপার করুণার কাহিনি সারা বিশ্বে প্রচার করে দিল।
১৩.১ লীলা মজুমদারের জন্ম কোন্ শহরে ?
উত্তর : কলকাতায়।
১৩.২ তাঁর শৈশব কোথায় কেটেছে?
উত্তর : তার শৈশব কেটেছে শিলং পাহাড়ে।
১৩.৩ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উত্তর ঃ ছোটোদের জন্য লেখা তাঁর দুটি বইয়ের নাম 'পদিপিসির বর্মিবাক্স', 'হলদে পাখির পালক'।
~
কিছু অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন:-বুনো হাঁসদের প্রকৃতি কেমন?
উত্তর : বুনো হাঁসদের বেশি গরম সহ্য হয় না, আবার বেশি শীতও সহ্য হয় না।
প্রশ্ন:- তিরের ফলার মতো আকাশে উড়ে উড়ে বুনো হাঁসগুলো কোন্ দিকে যাচ্ছে?
উত্তর : বুনো হাঁসগুলো তিরের ফলার মতো উড়ে উড়ে উত্তর দিকে যাচ্ছে।
প্রশ্ন:- বুনো হাঁসগুলো উড়ে যাওয়ার সময় কোনো শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না কেন?
উত্তর : বুনো হাঁসগুলো আকাশের অনেক উঁচুতে উড়ছিল বলে কোনো শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না।
ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে বাক্যটি আবার লেখো :
“বুনো হাঁস' গদাটির লেখক(ভবানীপ্রসাদ মজুমদার/লীলা মজুমদার/রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর/প্রেমেন্দ্র মিত্র)
উত্তর : ‘বুনো হাঁস' গদ্যটির লেখিকা লীলা মজুমদার।
>মাথার ওপর দিয়ে বুনো হাঁস (পূর্ব/উত্তর/দক্ষিণ পশ্চিম) দিকে উড়ে যেত।
উত্তর : মাথার ওপর দিয়ে বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
> জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল (লাডাকে পাটনায়/কলকাতায় /শিলংয়ে)।
উত্তর : জোয়ানদের ঘাঁটি ছিল লাডাকে।
দু-এক কথায় উত্তর দাও :
প্রশ্ন:- একটি বুনো হাঁস নীচে পড়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর : একটি বুনো হাঁস উড়তে উড়তে ডানা জখম হওয়ায় উড়তে না পেরে নীচে একটা ঝোপের ওপর পড়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন:-লাডাকের জোয়ানরা খবরাখবর পেত কীভাবে? উত্তর : শুধু রেডিয়োতে তারা সামান্য খবর পেত।
প্রশ্ন:-কেন জোয়ানরা বুনো হাঁসেদের দেখাশোনা করত ?
উত্তর : একটা বুনো হাঁস জন হয়ে আর অন্য হাঁসটা তার পিছু পিছু জোয়ানদের তাঁবুত এসেছিল। তাই জোয়ানরা বুনো হাঁসেদের দেখাশোনা করত।
প্রশ্ন:-দুটো বুনো হাঁস দলছুট হয়েছিল কেন?
উত্তর। শীতের সময় বুনো হাঁসেরা উত্তর থেকে দক্ষিণে যায়। তাদের মধ্যে একটা হাঁস জনন হয়ে নীচে পড়ে যায় আর তার পিছু পিছু অন্য হাঁস তাকে নিয়ে যেতে আসে।
প্রশ্ন:- জোয়ানরা অবাক হয়ে কী দেখল ?
উত্তর জোয়ানরা অবাক হয়ে দেখল আর একটা বুনো হাঁসও নেমে এসে প্রথম হাসটার চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে এরা জোয়ানরা প্রশ্ন:- কখন প্রথম বুনো হাঁসটাকে তাবুতে নিয়ে এলো?
উত্তর : বরফ পড়তে শুরু করতেই জোয়ানরা আহত বুনো হাঁসটাকে ভারতে নিয়ে এলো।
প্রশ্ন:-বুনো হাঁসগুলি যখন আকাশে উড়ে চলে তখন দেখতে কীরকম লাগে ?
উত্তর : আকাশে একসঙ্গে উড়ন্ত অবস্থায় তাদের দেখতে তিরের ফলার মতো লাগে।
প্রশ্ন:- বুনো হাঁসেরা কোথায় উড়ে চলেছে?
উত্তর : বুনো হাঁসেরা কেবলই উত্তর দিকে নিজেদের দেশে উড়ে চলেছে।
প্রশ্ন:- আকাশে উড়ে যাওয়া বুনো হাঁসগুলোর শুধু কী শোনা যাচ্ছে?
উত্তর : বুনো হাঁসগুলোর শুধু ডানার শোঁশোঁ শব্দ শোনা যাচ্ছিল, আবার কারো মুখ থেকে গাঁক গাঁক শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল।
প্রশ্ন:-বুনো হাঁসেরা কী কাটিয়ে আবার নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছিল?
উত্তর : বুনো হাঁসেরা গরম দেশে শীত কাটিয়ে শীতের শেষে আবার নিজেদের দেশে ফিরে যাচ্ছিল।
প্রশ্ন:- বুনো হাঁসগুলোর কী সয় না?
উত্তর : ওদের বেশি গরমও সয় না, আবার বেশি শীতও সয় না।
প্রশ্ন:- বুনো হাঁসেদের কেউ কেউ কোথা থেকে আসত ?
উত্তর : ওদের কেউ কেউ হিমালয়ের উত্তর দিক থেকে, বরফের পাহাড় পেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন:-অনেক বুনো হাঁস ভারতের মাটি পার হয়ে কোথায় যায়?
উত্তর : ভারতের মাটি পার হয়ে অনেক বুনো হাঁস সমুদ্রের ওপর দিয়ে উড়ে উড়ে ছোটো ছোটো দ্বীপে গিয়ে নামে।
প্রশ্ন:-কোথায় মানুষের বাসস্থান নেই ?
উত্তর ঃ ভারতের মাটি পার হয়ে সমুদ্রের ওপরে ছোটো ছোটো দ্বীপগুলিতে মানুষের বাসস্থান নেই।
প্রশ্ন:- কোন্ দেশে আমাদের শীতের সময় গরম, আবার গরমের সময় শীত?
উত্তর : পৃথিবীর দক্ষিণের আধখানায় আমাদের শীতের সময় গরম, গরমের সময় শীত।
প্রশ্ন:- জোয়ানদের ঘাঁটি কোথায় ছিল?
উত্তর ঃ লাডাকের একটা বরফে ঢাকা জায়গাতে আমাদের জোয়ানদের একটা ঘাঁটি ছিল।
প্রশ্ন:-কোন সময় কোথা দিয়ে বুনো হাঁস দলে দলে দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত?
উত্তর : শীতের সময় মাথার ওপর দিয়ে দলে দলে বুনো হাঁস দক্ষিণ দিকে উড়ে যেত।
প্রশ্ন:-বাড়ির জন্য কাদের মন খারাপ করত?
উত্তর পাতাকে বরফে ঢাকা জায়গাতে খাঁটিতে থাকা জোয়ানদের বাড়ির জন্য মন খারাপ করত।
প্রশ্ন:-পাহাড়ের বরফে ঢাকা জায়গার ঘাঁটিতে থাকা জোয়ানদের কাছে কী পৌঁছোত না?
উত্তর -জোয়ানদের আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে চিঠিপত্র বিশেষ পৌছোত না।
প্রশ্ন:-নীচে নেমে পড়া দ্বিতীয় বুনো হাঁসটা কী করল ?
উত্তর : প্রথমে সে জোয়ানদের তেড়ে এসেছিল। তারপর তাদের সঙ্গে সঙ্গে নিজেই জোয়ানদের তাবুতে গিয়ে ঢুকল।
প্রশ্ন:-জোয়ানদের কী রাখার খালি জায়গা ছিল ? উত্তর : মুরগি রাখার খালি জায়গা ছিল।
প্রশ্ন:-নীচে নেমে পড়ে দুটি বুনো হাঁস কোথায় রইল? উত্তর- তারা জোয়ানদের মুরগি রাখার খালি জায়গাতে রইল।
প্রশ্ন:-জোয়ানদের কাছে থাকা বুনো হাঁস দুটি কী ?
উত্তর : বুনো হাঁস দুটি টিনের মাছ, তরকারি, ভুট্টা, ভাত, ফলের কুচি ইত্যাদি যেত।
প্রশ্ন:-জোয়ানদের কাছে কোনটা আনন্দের কাজ হয়ে দাঁড়াল?
উত্তর ও নীচে নেমে পড়া উড়ন্ত দুটি বুনো হাঁসকে দেখাশোনা করা জোয়ানদের একটা আনন্দের কাজ হয়ে দাড়াল।
প্রশ্ন:-দ্বিতীয় হাঁসটা কী করতে পারত?
উত্তর ঃ ইচ্ছা করলেই দ্বিতীয় হাঁসটা উড়ে চলে যেতে পারত, কিন্তু সে তার সঙ্গীকে ছেড়ে গেল না।
প্রশ্ন:-হাঁস দুটি জোয়ানদের ঘাঁটিতে কতদিন রইল ?
উত্তর : সারাটা শীতকাল হাঁস দুটি জোয়ানদের ঘাঁটিতে রইল।
প্রশ্ন:-আস্তে আস্তে হাঁসের ডানা সারলে সেটা কী করত?
উত্তর : চোট লাগা ডানা সারলে হাঁসটা একটু একটু করে উড়তে চেষ্টা করত।
প্রশ্ন:-আস্তে আস্তে ডানা সেরে ওঠা হাঁসটা উড়তে চেষ্টা করলে কী ?
উত্তর : সে তাবুর ছাদ অবধি উঠে আবার ধূপ করে নীচে পড়ে যেত।
প্রশ্ন:-এখন দেখতে দেখতে শীতকাল কেটে গেলে কী হল?
উত্তর । শীতকাল কেটে গেলে নীচের পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করল।
প্রশ্ন:-পাহাড়ের বরফ গলতে শুরু করলে কী দেখা গেল ?
উত্তর : পাহাড়ের বরফ গলে গেলে আবার সবুজ ঝোপঝাপ দেখা গেল।
প্রশ্ন:-ন্যাড়া গাছে কী হল ?
উত্তর ঃ ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরল।
এক ন্যাড়া গাছে পাতার আর ফুলের কুঁড়ি ধরলো।
প্রশ্ন:-বুনো হাঁসের দল কী করল ?
উত্তর : বুনো হাঁসের দল দক্ষিণ দিক থেকে উত্তর দিকে তাদের দেশে ফিরে যেতে লাগল।
প্রশ্ন:-উত্তরে নিজেদের দেশে ফিরে বুনো হাঁসেরা কী করবে?
উত্তর : দেশে ফিরে ওরা বাসা বাঁধবে, বাচ্চা তুলবে।
প্রশ্ন:-"একটা ঝোপের ওপর নেমে থরথর করে কাপতে লাগলো।'- কেন সে থরথর করে কাপছিল?
উত্তর : একটা বুনো হাঁস হঠাৎ ডানাতে জখম হওয়ায় উড়তে পারছিল না। তাই সে নেমে ঘরঘর করে কাঁপতে লাগল।