পঞ্চম শ্রেণি আমাদের পরিবেশ প্রথম পরীক্ষার জন্য প্রশ্নের উত্তর প্রথম পর্ব - Online story

Saturday, 4 January 2025

পঞ্চম শ্রেণি আমাদের পরিবেশ প্রথম পরীক্ষার জন্য প্রশ্নের উত্তর প্রথম পর্ব

 


পঞ্চম শ্রেণী

প্রথম পর্ব

আমাদের পরিবেশ

মানবদেহ

শরীরের বর্ম

★ আমাদের শরীরে বর্ম কোন্‌টা?

উত্তর : আমাদের শরীরে বর্ম হল চামড়া বা ত্বক।

★  চামড়া বা ত্বকের কাজ কী ?

উত্তর ঃ চামড়া বা ত্বকের কাজ হল, আমাদের শরীরকে বাইরের আঘাত ও সূর্যের আলোর অদৃশ্য অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে চামড়া বা ত্বককে বাঁচানো।



.★ চামড়া বা ত্বকের নীচে কী কী আছে?

উত্তর : চামড়া বা ত্বকের নীচে মাংসপেশি, নার্ভ, শিরা, ধমনি রয়েছে।

★ আমাদের শরীরের সব জায়গার চামড়া বা ত্বক কি একরকম?

উত্তর : না, আমাদের শরীরের সব জায়গার চামড়া একরকম নয়। কোথাও পাতলা, কোথাও পুরু, আবার কোথাও কোঁচকানো, আবার কোথাও টান টান।

★ চামড়া আর কোন্ কোন্ কাজে লাগে?

উত্তর ঃ চামড়া দিয়ে ব্যাগ, বেল্ট, জুতো সহ আরও অনেক কিছু তৈরি হয়।


★ গন্ডারের চামড়া পুরু না পাতলা?

উত্তর : গন্ডারের চামড়া পুরু অর্থাৎ খুব মোটা।


★ চামড়া কাদের বাঁচায়?

উত্তর : চামড়ার নীচে থাকে মাংসপেশি, শিরা-ধমনি এদের বাঁচায় চামড়া।


★ শিরা-ধমনি দেখতে কেমন?

উত্তর ঃ শিরা-ধমনি দেখতে সব নলের মতো। 

★ শিরা-ধমনি কোথায় থাকে?

উত্তর : শিরা থাকে চামড়ার ঠিক নীচে। আর ধমনি থাকে শরীরের ভিতর দিকে।


★ তোমার বিচারে চামড়া কি সত্যিই শরীরের বর্ম?

উত্তর ঃ হ্যাঁ। চামড়া শরীরকে বাইরের আঘাত বা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচায়। শিরা- ধমনিও চামড়া বা বম থাকার ফলে আঘাতের হাত থেকে রক্ষা পায়।





★  আমাদের শরীরের সব জায়গার ত্বক কি একইরকম ?

উত্তর : না, আমাদের শরীরের ত্বক বা চামড়া কোথাও পাতলা আবার কোথাও পুরু।

★  শরীরের সব জায়গায় শিরা দেখা যায় না কেন?

উত্তর : শরীরের যেখানে ত্বক পাতলা সেখানে শিরা দেখা যায়। আর যেখানে ত্বক মোটা সেখানে দেখা যায় না।

★ আমাদের শরীরে ত্বক কোনো কোনো জায়গায় বেশি মোটা হয় কেন?

উত্তর : আমাদের শরীরে যেখানে সবচেয়ে বেশি ঘষাঘষি হয় ও চাপ পড়ে সেখানের ত্বক মোটা হয়।

★  হাতের চেটোর দিকে শিরা দেখা যায়?

উত্তর ঃ না। কারণ এই চামড়া বেশ পুরু বা মোটা।

উত্তর : চোটের দিকটায়।

★ হাতের কোন দিকটায় বেশি ঘষাঘষি হয়?


★ পায়ের তলার চামড়া কেমন ?

কী ?

উত্তর : পায়ের তলায় চামড়া অনেক পুরু। গোড়ালির কাছটা সবচেয়ে পুরু।


★  গোড়ালির চামড়া পুরু কেন?

উত্তর ঃ গোড়ালির ওপর শরীরের সব ভার পড়ে। গোড়ালিতে বেশি ঘষাঘষি হয়। তাই গোড়ালির চামড়া পুর।


★চামড়া কতটা পুরু তা মাপবে কীভাবে?

উত্তর : হাতের চামড়াটা দু-আঙুল দিয়ে ধরে, তারপর ছোটো জেল দিয়ে মাপতে হবে।


★ কাদের মুখের ও কপালের চামড়ায় টান ভাব নেই?

উত্তর : বয়স্কদের।

★  চামড়া কুঁচকে যায় কেন ?
উত্তর ঃ মোটা থেকে রোগা হলে বা বৃদ্ধ হলে মানুষের শরীরটা ছোটো হয়ে যায়। কিন্তু চামড়া ছোটো হতে পারে না ।অল্প আয়তনের ফলে তাই চামড়া কুঁচকে যায়।

★ চামড়ার রং কালো হয় কেন ?
উত্তর : মেলানিন নামের একটা জিনিসের জন্য।

★ শরীরে মেলানিন তৈরি করতে কী সাহায্য করে?
উত্তর : রোদ।

★ কোন্ চামড়া রোগের বিরুদ্ধে বেশি লড়াই করতে পারে?
উত্তর : কালো চামড়া।

★  মেলানিনের কাজ কী কী ?
উত্তর ঃ শরীরে মেলানিন বেশি থাকলে চামড়ার রং কালো হয়। আবার, কম থাকলে চামড়ার রং ফর্সা হয়। সাহেবদের রং ফর্সা, তাদের চামড়ায় মেলানিন কম থাকে। মেলানিন কম  থাকলে চুলও সাদা হয়ে যায়। এ ছাড়া মেলানিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নিয়ে ক্যানসার আটকায়।

★ অনেকের চামড়ায় সাদা সাদা ছোপ পড়ে কেন?
উত্তর : অনেকের সাদা ছোপ পড়ে, সেখানে মেলানিন তৈরি হয় না। অপুষ্টি ও অসুখ থেকেই এমন হয়।

★  ভিটামিন-ডি কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর : চামড়ায় রোদ লাগালে ভিটামিন-ডি তৈরি হয়।

★  ভিটামিন-ডি কী কাজ করে ?
উত্তর ঃ ভিটামিন-ডি শিশুদের রোগ হওয়া থেকে আটকায়।  ভিটামিন-ডি কম হলে শিশুদের হাত ও পা সরু হয়।


★  ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে কী বেরিয়ে যায়?
উত্তর ঃ ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বর্জ্য ও নুন বেরিয়ে যায়। নুন নয়, বর্জ্য বেরিয়ে যাওয়া ভালো।
★  বেশি ঘাম বের হলে কী খেতে হবে ও কেন?
উত্তর : নুন জল খেতে হবে। তা নয়তো মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

★  আগে কালো চামড়ার মানুষদের কী বলা হত?
উত্তর : অসভ্য। কিন্তু তারা নিজেদের সম্মানের জন্য অনেক লড়াই করেন।

★  কালো চামড়ার মানুষেরা নিজেদের সম্মানের জন্য কী করে?
উত্তর ঃ তারা নিজেদের সম্মানের জন্য অনেক লড়াই করতে পারে। পৃথিবীর ইতিহাসে এসব মানুষেরা লড়াই করে নিজেদের সম্মান বা স্বাধীনতা আদায় করেছেন।

★ পৃথিবীর কয়েকজন কালো মানুষের নাম করো যাঁরা মানুষদের সম্মানের জন্য লড়েছেন?
উত্তর : নেলসন ম্যান্ডেলা, মার্টিন লুথার কিং, মহাত্মা গান্ধি ইত্যাদি।

★   আজকের দিনে অপরাধের সামিল কোনটি ?
উত্তর : চামড়ার রং দেখে মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ।

          চুলের সাতকাহন
● পাঠ্যাংশের চুম্বক মানুষের মাথায় চুল থাকে। আর পশুপাখির গায়ে পশম বা লোম থাকে। চুল, পশম বা লোম
কারুর সোজা সোজা, কারুর কোঁচকানো বা কোঁকড়ানো। হাঁস মুরগি পাখির গায়ে পালক 

★ মাছ, সাপ, টিকটিকির গায়ে আঁশ থাকে কেন? 
উত্তর- চামড়া নিজেকে বাঁচাতে নিজেই এসব তৈরি করে নেয়। 


★ চুলের গোড়া কোথায় আটকে থাকে?
উত্তর : চামড়ার খুব গভীরে।

★ প্রাণীর গায়ে লোম বেশি থাকে কেন ?
উত্তর : প্রাণীর গায়ে লোম, চুল, পালক সব কিছুর গোড়া চামড়ার ভিতরের পর্দায় থাকে। এর ফলে প্রাণীর গায়ে লোম বেশি থাকে।

★  চামড়া ছাড়া প্রাণীর দেহে লোম, চুল, পালক থাকে কেন?
উত্তর ঃ চামড়া শরীরকে রক্ষা করে। আবার নিজেকেও প্রথম ধাক্কা থেকে বাঁচাতে চায়। তাই প্রাণী নিজে থেকেই দেহের ওপরে লোম, চুল, পালক, আঁশ তৈরি করে নেয়।

★  কোন্ কোন্ প্রাণীর দেহের ওপরের স্তরের নাম কী কী?
উত্তর : মানুষের মাথায় থাকে চুল, গায়ে থাকে লোম। পাখির গায়ে থাকে পালক, মাছের ও সাপের গায়ে আছে আঁশ, কিন্তু ব্যাঙের গায়ে আঁশ, পালক বা লোম কিছুই নেই।
★ বয়স বাড়লে চুল সাদা হয়ে যায় কেন ?
উত্তর : বয়স বাড়লে মেলানিন কমে যায়, তাই চুল সাদা হয়ে যায়।

শজারুর কাঁটা
★ কাকাতুয়া ঝুটি আসলে কি? 
 উত্তর- জমাট বান্দা পালক।

°★  গন্ডারের  আসলে কি?
 উত্তর- জমাট বাধা চুল।

★ কোন প্রাণী গা কাঁটায় ভর্তি?
উত্তর- সজারু

★ কোন প্রাণী গায়ের লোম খুব শক্ত এবং সুচালো?
 উত্তর -সজারু।

★ কোন প্রাণী গন্ধ সুখে খায় ?
উত্তর- বিড়াল

★ কোন প্রাণী গোঁফ থাকে?
 উত্তর- বাঘ এবং বিড়াল ।

★ নখের কাজ কি?
 উত্তর- নখ আঙুলে ডগা গুলো রক্ষা করে । মাটি মাটি থেকে কোন জিনিস তুলতে সাহায্য করে।

°★ নখ কাটলে রক্ত বের না কেন?
 উত্তর -ষখের মধ্যে রক্ত থাকে না ?

★ নখ না কাটলে কি ক্ষতি হবে?
উত্তর- নখ না কাটলে ময়লা জমবে এবং জীবাণু তার ভিতরে বাসা বাঁধবে। সেগুলি খাবারের মাধ্যমে পেটের মধ্যে যাবে।তখন পেটের মধ্যে রোগ সৃষ্টি হবে। 

★ আঙুল কে বাঁচায় কে?
 উত্তর- নখ।

★ নখের গোড়ায় নোংরা জমলে কি হয়?
 উত্তর- নখ পেকে যায় এবং পুংঁজ হয়।

°★ নখের রং কি রকম"?
 উত্তর -গোলাপি 

★ নখ ফেটে যাওয়ার কারণ কি?
উত্তর- এর কারণ রক্ত অল্পতা রোগ।

★ কীভাবে নখের যত্ন করা দরকার?
উত্তর-নিয়মিত সাবধানে নখ কাটতে হবে।
নখ সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
★ নখের কাজ কী?
উত্তর : নখ আঙুলের ডগাগুলোকে রক্ষা করে। নখের সাহায্যে আমরা ছোটো ছোটো জিনিস ধরতে পারি। যেমন পায়ের কাঁটা তোলা, মাটিতে পড়ে থাকা পিন তোলা ইত্যাদি।

★ আমাদের নখ কাটা এবং নখের গোড়া পরিষ্কার রাখা উচিত কেন?
উত্তর : নখ না কাটলে ময়লা জমে ও জীবাণু বাসা বাঁধে। নখের গোড়া পরিষ্কার না করলে পেকে যায় ও পুঁজ জমে।

★ অনেকের নখ ফেটে যায়, এর কারণ কী?
না ?
উত্তর ঃ এর কারণ রক্তাল্পতা বা শরীরে কম বন্ধ থাকা।

★ কুকুরের নখ কেমন?
উত্তর : কুকুরের নাম ধারালো। বাইরে থেকে দেখা যায়। কিন্তু এই নখ বিড়ালের মতো থাবার লুলানো থাকে না

★ শিকারি পারিদের নাম কেমন?
উত্তর : শিকারি পাখিদের নদ হকের মতো আর বাঁকানো ও সূঁচালো।


 ★ আমাদের শরীরে কয়টি হাড় আছে?
উত্তর-আমাদের শরীরে আছে ২০৬টি আছে।




★ হাড় শরীরের কোথায় থাকে?
উত্তর ঃ শরীরের মাংসপেশির ভিতরে হাড় থাকে।

★ মানুষের শরীরে সব হাড়ের আকার কী সমান? উত্তর : না, মানুষের শরীরে নানা আকারের ও মাপের হাড়আছে‌।

★  আমাদের শরীরের কাঠামো কী?
উত্তর ঃ হাড় হল আমাদের শরীরের কাঠামো।

★  বুড়ো আঙুলে ও তর্জনীতে কটি ভাঁজ হয় ?
উত্তর ঃ বুড়ো আঙুলে দুটো ও তর্জনীতে তিনটে ভাঁজ হয়।

★ কবজি থেকে পাঁচটি আঙুলে মোট কটা হাড় আছে?
উত্তর : পাঁচটি।

★ আমাদের শরীরে মোট কটি হাড় আছে তা কীভাবে জানা যাবে?
উত্তর ঃ যে-কোনো মানুষের কঙ্কাল দেখে জানা যাবে।
★কনুই থেকে কাঁধ পর্যন্ত হাড়টি কেমন?
উত্তর : নলের মতো।
★  কোমড় থেকে হাঁটু পর্যন্ত হাড়টি কেমন ?
উত্তর : নলের মতো।
★ আঙুলের ডগার হার কেমন?
উত্তর : ছোটো।


অস্থিসন্ধির হিসেবনিকেশ


★ অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর : হাড়ের জোড়কে বলে অস্থিসন্ধি।

★ লিগামেন্ট কাকে বলে?
উত্তর ঃ দড়ির মতো একরকম জিনিস যা অস্থিসন্ধিতে হাড়গুলির সঙ্গে লাগানো থাকে, তাকে লিগামেন্ট বলে।

★ হাড় অস্থিসন্ধিতে কী দিয়ে লাগানো থাকে?
উত্তর : লিগামেন্ট নামক দড়ির মতো জিনিসের সাহায্যে হাড় অস্থিসন্ধিতে লাগানো থাকে।


★ কে হাড়কে সতেজ ও শক্ত রাখে?
উত্তর : ক্যালশিয়াম হাড়কে সতেজ ও শক্ত রাখে।

★ কাঁধ, কোমড়, হাত ও পায়ের অস্থিসন্ধির মাঝখানে কী থাকে?
উত্তর : কাঁধ, কোমড়, হাত ও পায়ের অস্থিসন্ধির মাঝখানে একরকম হড়হড়ে তরল থাকে।

★ অস্থিসন্ধি খুব নমনীয় থাকে কীভাবে?
উত্তর : জিমনাস্টিকস করলে।

★  কনুই থেকে কবজি পর্যন্ত হাড়কে কী বলে?
উত্তর আলনা ও রেডিয়াস।

★  কাঁধ থেকে কনুই পর্যন্ত হাড়কে কী বলে ?
উত্তর : হিউমেরাস।

★ মেরুদন্ডের হাড়কে কী বলে ?
উত্তর : ভার্টিব্রা বা কশেরুকা।

★  কোমড় থেকে হাঁটু পর্যন্ত হাড়কে কী বলে?
উত্তর : ফিমার।

★ হাঁটুর নীচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত হাড়কে কী বলে?
উত্তর : টিবিয়া ও ফিবুলা।

★ কী কমে গেলে হাড়ের নড়াচড়া করতে অসুবিধা হয়?


উত্তর : একরকম হড়হড়ে তরল পদার্থ।


পেশি নিয়ে কিছু কথা

আরো প্রশ্নের উত্তর দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন