ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কিভাবে ছাপাখানার তা ব্যবসায়িক উদ্যোগে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করেন - Online story

Wednesday, 29 January 2025

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কিভাবে ছাপাখানার তা ব্যবসায়িক উদ্যোগে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করেন

 



প্রশ্ন ; -ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কীভাবে ছাপাখানার তা ব্যাবসায়িক উদ্যোগে নিজেকে সংশ্লিষ্ট করেন বিশ্লেষণ করো। অথবা, বিদ্যাসাগর কীভাবে গ্রন্থ রচনার মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার করেন?

উত্তর :;

★ভূমিকা : শিক্ষক, শিক্ষাবিশারদ এবং শিক্ষাসংস্কারকে পাশাপাশি বিদ্যাসাগর ছিলেন উনিশ শতকের একজন উল্লেখযোগ্য গ্রন্থকার, মুদ্রক ও প্রকাশক।

★ ছাপাখানা ও বিদ্যাসাগর : প্রাক্-আধুনিক যুগের ছাপাখানার ইতিহাসে বিদ্যাসাগরের অবদানের বিভিন্ন দিক হল-

★গ্রন্থকার রূপে : বিদ্যাসাগর তাঁর লেখা 'বেতাল পঞ্চবিংশতি গ্রন্থটি রোজারিও কোম্পানির ছাপাখানায় ছাপানোর ব্যবস্থা করেন (১৮৪৭ খ্রি:)। পরবর্তীকালে তিনি নিজের রচিত অনেক পুস্তক নিজের ছাপাখানাকেই মুদ্রণের ব্যবস্থা করেন।


★ ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাসাগর তার বন্ধু মদনমোহন তর্কালঙ্কার এর সঙ্গে যৌথভাবে ৬২ নম্বর আমহাস্ট স্ট্রিটে সংস্কৃত যন্ত্র' নামক একটি ছাপাখানা যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে তিনি এই ছাপাখানার একক মালিক হন।


প্রকাশক : এই ছাপাখানা থেকে বিদ্যাসাগর তাঁর নিজের রচিত বর্ণপরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ (১৩ এপ্রিল ও ১৪ জুন, ১৮৫৫খ্রি.)-সহ অন্যান্য লেখকের রচিত গ্রন্থ ছাপান ও প্রকাশ করেন।

পুস্তক বিক্রেতা : উনিশ শতকে বটতলা ও চিনাবাজার এলাকায় বই বাজার গড়ে উঠলেও হিন্দু কলেজ ও সংস্কৃত কলেজ অঞ্চলে বইয়ের দোকান না থাকায় বিদ্যাসাগর এই অঞ্চলে 'সংস্কৃত প্রেস ডিপজিটরি' (১৮৪৭ খ্রি.) নামক একটি বইয়ের দোকান খোলেন। "

উপসংহার : এভাবে বিদ্যাসাগর গ্রন্থকার, প্রকাশক ও মুদ্রাকর টেকনিক্যাল ব্যাপারেও উন্নতি ঘটাতে সচেষ্ট হন, যার উদাহরণ হয়ে ওঠেন এবং বিদ্যাৰণিক' নামে পরিচিত পাশাপাশি ছাপাখানার হল বিদ্যাসাগর সাট।