টিকা /জগদীশচন্দ্র বসু - Online story

Thursday, 13 February 2025

টিকা /জগদীশচন্দ্র বসু

 


টীকা লেখো : জগদীশচন্দ্র বসু।

উত্তর ভূমিকা : উনিশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বাঙালির বিজ্ঞানসাধনা ও বিজ্ঞান গবেষণার সূচনা হয় এবং এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য গবেষক

ছিলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু (১৮৫৮-১৯৩৭ খ্রি.)। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু

শিক্ষালাভ : জগদীশচন্দ্র বসু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে পদার্থবিদ্যায় বি এ পাস করে (তখন বি.এসসি ছিল না) কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন, পদার্থবিদ্যা ও উদ্ভিদ বিদ্যায় ট্রাইপস ডিগ্রি (অনার্স-সহ ডিগ্রি পরীক্ষা) লাভ করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাস করে দেশে ফেরেন।


কর্মজীবন : ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে তিনি প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপকরূপে যোগদান করেন (১৮৮৫ খ্রি.) এবং অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি কলেজের মাত্র ২৪ বর্গফুট ঘরেই বিজ্ঞান গবেষণাও করতে থাকেন। তাঁর গবেষণার তিনটি পর্যায় ছিল—প্রথম পর্যায়ে তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ' সম্পর্কে গবেষণা করেন ও 'বেতার যন্ত্র' আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে জীবনের উৎপত্তি সংক্রান্ত গবেষণা করেন।

এবং তৃতীয় পর্যায়ে উদ্ভিদ ও প্রাণী সংক্রান্ত গবেষণা করেন। তিনি উদ্ভিদের স্নায়বিক ক্রিয়াকলাপ ও বৃদ্ধি মাপার জন্য 'ক্রেস্কোগ্রাফ'

নামক একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেন।

★বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা : জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর নিজস্ব অর্থ ও সংগৃহীত ১১ লাখ টাকার অনুদানের সাহায্যে প্রতিষ্ঠা 'বসু বিজ্ঞান মন্দির' (২৩ নভেম্বর, ১৯১৭ খ্রি.)।করেন


উপসংহার: সফল বাঙালি বৈজ্ঞানিক এবং উদ্যোগপতি জগদীশচন্দ্র বসু প্রতিষ্ঠিত 'বসু বিজ্ঞান মন্দির' হয়ে উঠেছে আধুনিক ভারতের অন্যতম বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার।